হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، وَقَتَادَةُ، وَثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ نَاسًا، مِنْ عُرَيْنَةَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ فَاجْتَوَوْهَا فَبَعَثَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي إِبِلِ الصَّدَقَةِ وَقَالَ " اشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا "
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, উরাইনা গোত্রের লোকেরা মাদীনায় আসলো। কিন্তু এখানকার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে সাদকার উটের নিকট পাঠিয়ে দিলেন এবং বললেনঃ “তোমরা এর দুধ ও পেশাব পান কর।"
(তিরমিজি ৭২)
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ أُنَاسًا أَوْ رِجَالاً مِنْ عُكْلٍ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمُوا بِالإِسْلاَمِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أَهْلُ ضَرْعٍ وَلَمْ نَكُنْ أَهْلَ رِيفٍ . وَاسْتَوْخَمُوا الْمَدِينَةَ فَأَمَرَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَوْدٍ وَرَاعٍ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فِيهَا فَيَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا فَلَمَّا صَحُّوا وَكَانُوا بِنَاحِيَةِ الْحَرَّةِ كَفَرُوا بَعْدَ إِسْلاَمِهِمْ
মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উকল গোত্রের কিছু লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাদের ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিল। তারপর তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা দুগ্ধবতী পশু রাখি; আমরা কৃষিকাজের লোক নই। মদিনার আবহাওয়া তাদের উপযোগী হল না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে কিছু উট ও একজন রাখাল প্রদানের নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তাদের উটের প্রতিপালনের কাজে মদিনার বাইরে যেতে এবং উটের দুধ ও এর পেশাব পান করার নির্দেশ দিলেন। যখন তারা সুস্থ হয়ে গেল এবং হাররা নামক স্থানে অবস্থান করল, তখন তারা ইসলাম পরিত্যাগ করল।
সহিহ, নাসায়ী ৩০৬.ইবনু মাজাহ হাঃ ৩৫০৩, বুখারি হাঃ ৪১৯২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৪২০৭
হারাম ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা নেয়া যাবে না। এ সংক্রান্ত হাদীসগুলোর মাঝে দ্বন্দ্ব।
এ দ্বন্দ্বের নিরসন করা যায় তা এভাবে যে, নিষ্প্রয়োজনে বা নিরুপায অবস্থার সম্মুখীন হতে না হয় তাহলে হারাম বা অপবিত্র ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন হারাম হারাম উভয় প্রকার ঔষধ পাওয়া যায় এমন ক্ষেত্রে হারাম বা অপবিত্র ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না। আর হারাম বা অপবিত্র ঔষধের বিকল্প না থাকে; তাহলে সে ঔষধ ব্যবহার করা যায়।
তবে ‘আল্লামা শাওকানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ সমাধানটিকে না বুঝে দেয়া হয়েছে। তাতে কোন গোপনীয়তা নেই। কেননা বিতর্কিত উটের পেশাব হারাম বা অপবিত্রের সাথে সম্পর্কিত হয়। তবে যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে ‘আম, (যেমন- হারাম দ্বারা চিকিৎসা নেয়া) আর খাসের মধ্যে (যেমন- উটের পেশাব দ্বারা ঔষধ ব্যবহার করা)। একত্রিকরণ বা সমাধান করা ওয়াজিব হয়ে পড়বে। আর তা এভাবে যে, সকল প্রকার হারাম দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করা হারাম শুধু উটের পেশাব ব্যতীত।
শারহুস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থে ইবনু রসলান (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ শাফি‘ঈ মাযহাবের সঠিক সিদ্ধান্ত হলো নেশাদার দ্রব্য ছাড়া সকল প্রকারের পবিত্রতা দ্বারা ঔষধ গ্রহণ করা জায়িয। এর দলীল হলো বুখারী মুসলিমে বর্ণিত ‘উরায়নাহবাসীদের হাদীস। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে ঔষধ হিসেবে উটের পেশাব পান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৬৬)
ইসলামী স্কলার গন হারাম বস্তু দ্বারাও চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছেন।
শর্ত হলোঃ
যদি বৈধ বস্তু দিয়ে তৈরি কোনো বিকল্প কোনো ওষুধ না থাকে এবং কোনো মুসলিম চিকিৎসক সুস্থতা অর্জনের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করে থাকে। তাহলে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা জায়েজ আছে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি কোনো রোগের ঔষধ বা প্রতিষেধক হালাল পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা জায়েজ নেই।
তবে যদি কোনো রোগের হালাল কোনো প্রতিষেধক বা ঔষধ পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে হারাম প্রতিষেধক বা ঔষধ গ্রহণ করা মানুষের জন্য জায়েজ রয়েছে। এটাই হচ্ছে ইসলামী স্কলারদের মত।
সুতরাং ঢালাওভাবে প্রশ্নে উল্লেখিত কোম্পানির মেডিসিন গুলিকে হারাম বলার সুযোগ নেই।
এ জন্য আপনার স্বামীর সেখানে চাকরি নাজায়েজ হবেনা।
তবে ঔষধ গুলো যদি এমন হয় যে অন্য কোনো হালাল ঔষধ বা প্রতিষেধক পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে সেখানে জব না করারই পরামর্শ থাকবে।
আরো জানুনঃ-