ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( «آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ» . زَادَ مُسْلِمٌ: «وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ» . ثُمَّ اتَّفَقَا: «إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤتمن خَان»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিক্বের নিদর্শন তিনটি- (১) যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে; (২) যখন ওয়া’দা করে, তা ভঙ্গ করে এবং (৩) যখন তার নিকট কোন আমানাত রাখা হয়, তার খিয়ানত (বিশ্বাসঘাতকতা) করে। ইমাম মুসলিমের বর্ণনায় আরো আছে, চাই সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করুক ও সিয়াম পালন করুক এবং দাবী করে সে মুসলিম।[সহীহ : বুখারী ৩৩, মুসলিম ৫৯, তিরমিযী ২৬৩১, আহমাদ ৮৬৮৫, শু‘আবুল ঈমান ৪৪৬৫, সহীহ আত্ তারগীব ২৯৩৬, মিশকাত-৫৫]
হযরত আবু উমামাহ বাহেলী রাযি থেকে বর্ণিত,
" وعن أبي أمامة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يطبع المؤمن على الخلال كلها إلا الخيانة والكذب."
মু'মিনের মধ্যে যে কোনো চরিত্র হঠাৎ এসে যেতে পারে। তবে খিয়ানত এবং মিথ্যা বলা কখনো আসতে পারে না।(মুসনাদে আহমাদ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মু'মিন কখনো কাউকে ধোকা দিতে পারেনা। সুতরাং আপওয়ার্ক কম্পানিকে ধোকা দিয়ে এভাবে ইনকাম করাটাও জায়েয হবে না। সেটা যদি অমুসলিম কম্পানি হয়, তবেও তাদেরকে ধোকা দেয়া জায়েয হবে না। যুদ্ধরত কাফির হলে, তাদেরকে ধোকা দেয়ার রুখসত রয়েছে, সে হিসেবে কম্পানিটি যদি ইসরায়েলি হয়, তাহলে সুযোগ থাকার কথা। সর্বোপরি এমন ইনকাম থেকে নিজেকে দূরে রাখাই উচিত।