আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,আমার বিষয়টা একটু জটিল।এটার সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

আমি একটা সিস্টেমে বা বিজনেস বলা যায় মাসে ১০০ ডলার করে আয় করি।বিষয় টা হলো আমার এক ফ্রেন্ডের ন্যাশনাল আইড দিয়ে একটা আপওয়ার্ক(ফ্রিল্যান্সিং) একাউন্ট খোলা হয়।অই একাউন্ট আমি একটা ল্যাপটপ এ লগিন করা থাকে এবং একজন চাইনিজ লোক অনলাইনে সেই একাউন্ট ব্যাবহার করে প্রোগ্রামিং করে ইনকাম করে।চায়না তে সে এই ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে কাজ করতে পারেনা।সে এক্সপার্ট।যথাযথ সার্ভিস দিয়েই ইনকাম করে।কিন্ত সেই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ একজনের আইডি অন্য কেউ ব্যাবহার করা নিষেধ।যদিও আইডি আমি ব্যাবহার করিনা,করে চাইনিজ লোকটা।এবং ইনকাম ও সেই নিয়ে যায়।আমি ল্যাপটপ ২৪ ঘন্টা চালু রাখি ইন্টারনেট সহ।এর জন্য সে আমাকে মাসে মাসে ১০০ ডলার করে দেয়।আর যার আইডি নিয়েছি তাকে বলেই নিয়েছি সে আমাকে দিয়েছে।তাকেও মাঝে মাঝে ২-৪ হাজার টাকা দেই।এখন ইসলামিক দিক দিয়ে এই ইনকাম কি হালাল?(আমার ইনকাম টা মূলত ইন্টার্নেট সহ ল্যাপটপ চালু রাখার জন্য প্রতি মাসে দেয়।)
ago by (2 points)
শায়েখ বেয়াদবি নিবেন না।আরো কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করছি। 

অজ্ঞতাপুর্ন ভাবে আমি যতটুকু জানি এবং রিসার্চ করে যতটুকু পেয়েছি তার উপর ভিত্তি করে এটা হালাল হবে(যাস্ট আমার কথা) কারণঃ

১।আমি ইনকাম করছি ল্যাপ্টপ ভাড়া দিয়ে।অর্থাত ল্যাপ্টপ ইন্টারনেট সহ চালু রেখে।

২।যার আইডি ব্যাবহার করা হয়েছে তার অনুমতি নিয়েই আইডি নেয়া হয়েছে এবং সে ফ্রিল্যান্সিং ও চাইনিজ এর বিষয়টা জানে।সুতরাং এদিক দিয়ে সমস্যা নাই।উপরন্ত তাকে বিভিন্ন সময় আর্থিক ভাবে লাভবান করায় সে খুশি।

৩।যেই কাজ টা করা হচ্ছে অই কাজ টা হালাল।কাজটা হচ্ছে প্রোগ্রামিং।Front end and backend and react developer.Website বানায়।

৪।নিয়ম ভাংগা হচ্ছে যে ফ্রিল্যান্সিং সাইট টা একজনের আইডি আরেকজন চালানো বা কাজ করা সমর্থন করে না।কিন্ত এই সিস্টেমে অই সাইট লাভবান হচ্ছে।ক্ষতি ত হচ্ছেই না।কারণ প্রতিটা কাজের টাকা থেকে পার্সেন্ট কেটে রাখে তাছাড়া কাজ খুজতে টাকা ব্যয় করতে হয়।

৫।সর্বশেষ কথা হচ্ছে আমি শুধু ল্যাপটপ ভাড়া দিয়ে ইনকাম করছি।অই আইডি ব্যাবহার করছে চাইনিজ লোকটাই এবং অই আইডি থেকে উপার্জন সম্পূর্ন সে ই নেয়।

৬।আরেকটা বিষয় হচ্ছে এই কাজ চলছে ২১ সাল থেকে।কিন্ত ২৩ সালের জুলাই এর পর থেকে সে আর কোনো কাজ করেনি ওই ওয়েবসাইট এ।কিন্ত আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ আছে এবং প্রতি মাসে ১০০ ডলার করে দেয় কারণ ল্যাপটপ চালু আছে।


এভাবে আমার বর্তমানে জমানো ৩ লাখ টাকা আছে। এবাদেও ১ লাখ টাকা দিয়ে কম্পিউটার কিনেছিলাম ২০২২ সালে এবং মাঝে মাঝে অল্প কিছু টাকা উত্তোলন করে খরচ করেছি তবে বেশিনা আমার ধারণা ২০-৩০ হাজারের মত।

 

সর্বশেষ আমার বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জানাবেন।জাজাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
ago by (653,130 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( «آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ» . زَادَ مُسْلِمٌ: «وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ» . ثُمَّ اتَّفَقَا: «إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤتمن خَان»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিক্বের নিদর্শন তিনটি- (১) যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে; (২) যখন ওয়া’দা করে, তা ভঙ্গ করে এবং (৩) যখন তার নিকট কোন আমানাত রাখা হয়, তার খিয়ানত (বিশ্বাসঘাতকতা) করে। ইমাম মুসলিমের বর্ণনায় আরো আছে, চাই সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করুক ও সিয়াম পালন করুক এবং দাবী করে সে মুসলিম।[সহীহ : বুখারী ৩৩, মুসলিম ৫৯, তিরমিযী ২৬৩১, আহমাদ ৮৬৮৫, শু‘আবুল ঈমান ৪৪৬৫, সহীহ আত্ তারগীব ২৯৩৬, মিশকাত-৫৫]


হযরত আবু উমামাহ বাহেলী রাযি থেকে বর্ণিত,
 " وعن أبي أمامة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يطبع المؤمن على الخلال كلها إلا الخيانة والكذب."
মু'মিনের মধ্যে যে কোনো চরিত্র হঠাৎ এসে যেতে পারে। তবে খিয়ানত এবং মিথ্যা বলা কখনো আসতে পারে না।(মুসনাদে আহমাদ) 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মু'মিন কখনো কাউকে ধোকা দিতে পারেনা। সুতরাং আপওয়ার্ক কম্পানিকে ধোকা দিয়ে এভাবে ইনকাম করাটাও জায়েয হবে না। সেটা যদি অমুসলিম কম্পানি হয়, তবেও তাদেরকে ধোকা দেয়া জায়েয হবে না। যুদ্ধরত কাফির হলে, তাদেরকে ধোকা দেয়ার রুখসত রয়েছে, সে হিসেবে কম্পানিটি যদি ইসরায়েলি হয়, তাহলে সুযোগ থাকার কথা। সর্বোপরি এমন ইনকাম থেকে নিজেকে দূরে রাখাই উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...