আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
closed ago by
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর ভিসা জন্য মেডিকেল টেস্ট দিতে যদি এজেন্ট/দালাল এর মাধ্যমে করি আর সে যদি ঘুষ দিয়ে কাজ করে তাহলে কি আমার এই গুষের গুনাহ হবে ।
বর্তমানে ভিসার জন্য মেডিকেল দিতে অনকে হয়রানি করে যার জন্য দালাল দের মাধ্যমে করা কাজ করাতে হয় । যদিও আমি জানি না দালাল ঘুষ দিয়ে কাজ টা করবে কিনা। কাগজ পত্রের কোনো সমস্যা নাই । এবং শরীরে কোনো সমস্যা না।

ঘুষ দিয়ে যদি এসব কাগজ পত্রের (মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ইত্যাদি) কাজ গুলো করে কোনো প্রবাসী প্রবাসে গিয়ে কাজ করে তাহলে তার ইনকাম কি হালাল হবে ?
closed

1 Answer

0 votes
by (652,710 points)
selected ago by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(এক) ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

(দুই) ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/604


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
ঘুষ দিয়ে কাজ করানো হারাম। তবে যদি সবকিছু ঠিক থাকার পরও অযথা হয়রানি করা হয়ে থাকে, তাহলে তখন নিজ অধিকার অর্জনের নিমিত্তে ঘুষ দেওয়া বৈধ হবে।

আপনি শারিরীকভাবে ফিট কি না? সে সম্পর্কে পূর্ব থেকেই যদি আপনার চেক করা থাকে বা নিশ্চিত জানা থাকে, এবং তখন এজেন্সি ঘুষ দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে নেয়, তাহলে সেটাও অন্যায় হবে। আর শারিরীকভাবে ফিট নয় এমন অবস্থায় ঘুষ দিয়ে সার্টিফিকেট নিলে সেটা তো ধোকা ও প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত হবে। যাইহোক, মিথ্যা মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে কেউ বিদেশ গেলে যদিও কাজটা নাজায়েয তথাপি কাজের বিনিময় নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...