ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(এক) ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)
(দুই) ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/604
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
ঘুষ দিয়ে কাজ করানো হারাম। তবে যদি সবকিছু ঠিক থাকার পরও অযথা হয়রানি করা হয়ে থাকে, তাহলে তখন নিজ অধিকার অর্জনের নিমিত্তে ঘুষ দেওয়া বৈধ হবে।
আপনি শারিরীকভাবে ফিট কি না? সে সম্পর্কে পূর্ব থেকেই যদি আপনার চেক করা থাকে বা নিশ্চিত জানা থাকে, এবং তখন এজেন্সি ঘুষ দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে নেয়, তাহলে সেটাও অন্যায় হবে। আর শারিরীকভাবে ফিট নয় এমন অবস্থায় ঘুষ দিয়ে সার্টিফিকেট নিলে সেটা তো ধোকা ও প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত হবে। যাইহোক, মিথ্যা মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে কেউ বিদেশ গেলে যদিও কাজটা নাজায়েয তথাপি কাজের বিনিময় নাজায়েয হবে না।