আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in সালাত(Prayer) by (34 points)
আমার সালাতে মুখ দিয়ে নিশ্বাস ফেলার সময় যেন বিভিন্ন আওয়াজ বের হয় তো আজকে সালাতে  দীর্ঘশ্বাস মুখ দিয়ে নিশ্বাস ফেলার সময় নাক ও কন্ঠনালির থেকে৷ "হুহ৷" বা হুম এর মত শব্দ বের হয়  যা  আমার ইচ্ছায় করছি। তখন এমন অবস্থা হয় যে আমাকে এখন হুম বা হুহ বলতে হবে আর তখন "হুম"  শব্দ বের হয় এতে কি আমার নামাজ হয়েছে?


কিন্তু কন্ঠনালি থেকে কোনো আওয়াজ বের হয়নি মনে হয় শুধু মনে হয় মুখের মধ্যে হুম উচ্চারণ হয়ে আমার ইচ্ছাকৃত।

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাজে ইচ্ছাক্রিত নাক টানলে বা গলা খাকাড়ি দিলে নামাজ ফাসিদ হবে না। তবে নামায মাকরুহ হবে।কিন্তু যদি কোনো হরফ সৃষ্টি হয়ে যায় তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 613):
"باب ما يفسد الصلاة وما يكره فيها
عقب العارض الاضطراري بالاختياري (يفسدها التكلم) ... "(قوله: والتنحنح) هو أن يقول: أح بالفتح والضم، بحر. (قوله: بحرفين) يعلم حكم الزائد عليهما بالأولى، لكن يوهم أن الزائد لو كان بعذر يفسد، ويخالفه ظاهر ما في النهاية عن المحيط، من أنه إن لم يكن مدفوعاً إليه بل لإصلاح الحلق؛ ليتمكن من القراءة إن ظهر له حروف". فقط والله أعلم

নামাযে কান্না করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/431
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যেহেতু কন্ঠনালি থেকে কোনো প্রকার আওয়াজ বের হয়নি, তাই নামায ফাসিদ হবে না। শুধিমাত্র মনে হওয়ার দরুণ নামায ফাসিদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...