আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার কাছে আনুমানিক ৮০-৯০ হাজার টাকার মতো স্বর্ন আছে।মোহরানা টাকা বাবদ যে টাকা ধরা হয়েছে তা আমার হাসবেন্ড এর মত অনুযায়ী ব্যাংকে আছে। আমি যতটুকু জানি স্বর্ন,টাকা মিলে আমার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে।

ব্যাংকে থাকলেও উনি বলতেছেন তিনি সেটা বন্ড হিসেবে রাখছেন।যাতে কেও হস্তক্ষেপ করতে না পারে।যেহেতু বন্ড হিসেবে রাখছেন এখন উনি এর মাসালা খুজতেছেন যে আমার কুরবানি ওয়াজিব হবে কিনা?বন্ড হিসেব টা আমিও বুঝিনা।

তাই দয়া করে এই বিষয় টি জানাবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (653,130 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২,কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1642

মহরের টাকা  হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের কোনো যাকাত দিতে হবে না এবং হস্তগত না হলে এই টাকার উপর কুরবানিও ওয়াজিব হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1483


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামী যেহেতু এখনো ঐ টাকার মালিক আপনাকে বানিয়ে দিচ্ছেন না, তাই ঐ টাকার যাকাত বা কুরবানি আপনাকে দিতে হবে না বরং স্বামীকেই দিতে হবে। ৮০/৯০ হাজার টাকা সমপরিমাণ স্বর্ণর সাথে যদি প্রয়োজন অতিরিক্ত আর কোনো সম্পদ,সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, কাপড় ইত্যাদি আপনার না থাকে, যা দ্বারা ৫২.৫ ভড়ি রূপা সমপরিমাণ হয়, তাহলে আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। নতুবা কুরবানি ওয়াজিব হবে। মহরের টাকা হস্তগত হওয়ার পূর্বে আটনার একচ্ছত্র মালিকানা প্রতিষ্টা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আপনার সম্পদ গণ্য হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...