আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ,

১. সামি মনোমালিন্য চলাকালীন তার স্ত্রীকে বলসে, তোমার বাসার মানুষকে বলতেসি, (কিংবা বলসে তাদেরকে তুমি জানাও) তোমার সাথে আর থাকবো না বা থাকা সম্ভব না। (কম বেশ এমনকিছু বলসে, ১০০% নিশ্চিত নই). সে তখন স্ত্রীর বাবার বাসায়ই ছিলো, তাও কাউকে ডাকে নাই। এর মানে কি তার নিয়ত ছিলো না ধরে নেয়া যায়, ঝগরার পর সে সাভাবিক আচরণ করে স্ত্রীর মা বাবার সাথে। হয়তো তার ইচ্ছা ছিলো , পরিবারের কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নিবে বা তালাক দিবে। মুলত স্ত্রীকে অপমান করার উদ্দেশ্য ছিলো ।
ওক্ত সময় স্ত্রী ৪ মাসের অন্তসত্তা ছিলো, বাচ্চার ওয়ারিশ কার যদি সত্যিই তালাক হয়?

এটা প্রায় বছরখানেক আগে ঘটনা, তাই তার তালাকের নিয়ত নিয়ে সন্দেহ আছে। সামি বলসে, বাচ্চা পেটে না থাকলে, তালাকই দিতো। বাচ্চার কথা মাথায় থাকায় কোনো তালাকের নিয়ত করে নাই।

২. সামি তার স্ত্রীকে বলেছে, তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ড এর কাছে যাও। ওই ছেলেকে ভালো লাগলে যাইয়া বিয়ে করো যাও।  (হয়তো এটাই বলসে, ৯০% নিশ্চিত) অথবা এটা হতে পারে, ( তুমি ওকে বিয়ে করতে চাইলে আমি তোমার বিয়ে দিবো ওর সাথে।, যাও ওর কাছে যাও) অথবা , ওরে বিয়ে করো যেয়ে। অথবা বলসে, কোনো দাবি নাই তোমার উপর , অথবা দাবি রাখবো না তোমার উপর ।
উল্লেক্ষ্য, ওই ছেলে কাদিয়ানী ধর্মের।

এটা সে তার স্ত্রীকে মনে কষ্ট দেয়ার জন্য বলেছে। সামির ইচ্ছা ছিলো, বউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তালাক দিয়ে দিবে। কিন্তু ওই কথার মাধ্যমে তালাকের নিয়ত ছিলো না। এই কথার কিছু সময় আগে সে স্ত্রীকে মারধর করে। কিন্তু এই কথা গুলা বলার সময় একি বিছানায় শুয়ে বলতেসিলো।

ফতোয়াতে দেখলাম, এগুলা তালাকের মজলিশে বল্লে, তালাক হবে? এই মজলিশ টা কিভাবে হয়? ওইদিন তালাক শব্দ দিয়ে কোনো কথা হয় নি যতটুকু মনে পড়ে।

৩. সামি বলসে, আমাদের আর সম্পর্ক নাই। তারপর বলসে, এটার মানে ভালোবাসার সম্পর্ক শেষ , শুধু বিয়ে হইসে তাই একসাথে থাকা। এখানেও বলসে, তালাকের নিয়ত নাই।

৪. সামি বলসে, বাচ্চা হওয়ার পর তুমি চলে যাইয়ো , বাচ্চা হয় আমারে দিয়ো নাহলে তুমি নিয়ে যাও। এটায় তালাক হইসে?

৫. স্ত্রী ওয়াসওয়াসা রোগি হওয়ার কারনে এখন খুবি পেরেশানিতে আছে। সামি বলসে, তাকে পাগলের ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবে, কিন্তু স্ত্রী সন্দিহান , আদোও তালাক হয়ে গেলো কিনা। সামির ভাষ্যমতে সে তালাক দিতে চাইলে স্পষ্ট তালাক দিবে, ঘুরায় পেচায় দিবে না। সে তার বউকে কষ্ট দিয়ে যাবে সারাজিবন, কিন্তু এতো সহজে ছেড়ে দিবে না।এক্ষেত্রে করনীয় কি?

৬। সামি বলছে , বারবার এগুলা জিগ্যেস করলে আসলেই তালাক দিয়ে দিবে, কেননা আগে কখনো তালাকের নিয়ত করে নাই, কিন্তু পাগল স্ত্রীর সাথে সে থাকবে না। এখন স্ত্রী কি করবে! স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী হলেও, সামির তো এই সমস্যা নেই। সামির কথা বিশাস করবে?

হাটহাজারী চট্টগ্রাম মাদ্রাসার এক মুফতি বলেছেন, নিয়ত না থাকলে তালাক হয় নি। কিন্তু সিউর হতে হবে, আসলেই নিয়ত ছিলো নাকি।

কিন্তু স্ত্রী দিধাধন্দে আছে। আরেকজনের অন্তরের খবর কিভাবে জানবে। সে সম্পুর্ন সিউর হতে চায়, সামি যদি নিয়ত করে থাকে, এবং পড়ে ভুলে যায়, তাহলে কি হবে? স্ত্রী মরন আগ পর্যন্ত এই আশংকায় বাচবে।

সামিকে বেশি ঘাটালে, আগে তালাক না দিয়ে থাকলেও এখন রাগের মাথায় তালাক দিয়ে দিতে পারে। আর তালাক হলেও, তার সামী মানতে চাইবে না। কারন সে বলসে, এতো সহজে ছাড়বে না বউকে।

স্ত্রী মনে মনে ভাবতেসে,শরয়ি হালালাহ কথা। যাতে আবার বিয়ে করতে পারে। কিন্তু তার পরিবার মানবে না হয়তো , কারন তার সামি তার পরিবারের দেখা অত্যন্ত ভালো মানুষ , সেটা সত্যিই। তাই স্ত্রী হালালাহ করে হলেও বিয়ে করতে চায়। অবশ্য সামি আর গ্রহন করবে কিনা তা জানে না। বাচ্চাটার ভবিষ্যতে কি হবে এগুলো শুনে, তাও বুঝতেসে। আসলে তালাক হইসে কিনা তাই বুঝতেসে না।
সামিকে আল্লাহর কসম কাটতে বল্লে, সে রেগে যাবে, রেগে যেকোনো কিছু করতে পারে। তখন এমনিতেই সংসার ভাংতে পারে, আল্লাহু আলাম।

এখন ভবিষ্যতে আল্লাহ চাইলে বাচ্চা কাচ্চা হলে, তখন কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (623,190 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
হুজুর, বউ ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হলেও, সামি তো সুস্থ।
এই ক্ষেত্রে কি করা যায় ? কোর্সটি করতে হয়তো একটু সময় লাগবে, কিন্তু বিয়ে কি টিকে আছে, এটা জানা অতীব জুরুরি । নাহলে তো জিনার মধ্যে থাকা হচ্ছে।
by (623,190 points)
নিকটতম কোনো ফতোয়া বিভাগে স্বশরীরে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইলো। 
by (6 points)
হুজুর , আমার সামি যাবে না কোথাও। সে নিয়ত এইসব বুঝেও কম। ঘটনা গুলো বেশ কয়েক মাস আগের, আমিও অনুমান করতে পারি সে হয়তো তালাকের নিয়তে বলে নাই, কারন তখন বাসায় মানুশ জন ছিলো, তাই সে খুব জোরে কথা বলে নাই, কারন তাহলে অন্যরা শুনতে পাবে। হয়তো তার ইচ্ছা ছিলো , পরিবারের সাথে পরবর্তীতে কথা  বলে একটা সিদ্ধান্ত নিবে বা তালাক দিবে।
তাহলে কি এটা তালাক হবে? উত্তর দিবেন অনুগ্রহ করে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...