আসসালামু আলাইকুম ,
১. সামি মনোমালিন্য চলাকালীন তার স্ত্রীকে বলসে, তোমার বাসার মানুষকে বলতেসি, (কিংবা বলসে তাদেরকে তুমি জানাও) তোমার সাথে আর থাকবো না বা থাকা সম্ভব না। (কম বেশ এমনকিছু বলসে, ১০০% নিশ্চিত নই). সে তখন স্ত্রীর বাবার বাসায়ই ছিলো, তাও কাউকে ডাকে নাই। এর মানে কি তার নিয়ত ছিলো না ধরে নেয়া যায়, ঝগরার পর সে সাভাবিক আচরণ করে স্ত্রীর মা বাবার সাথে। হয়তো তার ইচ্ছা ছিলো , পরিবারের কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নিবে বা তালাক দিবে। মুলত স্ত্রীকে অপমান করার উদ্দেশ্য ছিলো ।
ওক্ত সময় স্ত্রী ৪ মাসের অন্তসত্তা ছিলো, বাচ্চার ওয়ারিশ কার যদি সত্যিই তালাক হয়?
এটা প্রায় বছরখানেক আগে ঘটনা, তাই তার তালাকের নিয়ত নিয়ে সন্দেহ আছে। সামি বলসে, বাচ্চা পেটে না থাকলে, তালাকই দিতো। বাচ্চার কথা মাথায় থাকায় কোনো তালাকের নিয়ত করে নাই।
২. সামি তার স্ত্রীকে বলেছে, তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ড এর কাছে যাও। ওই ছেলেকে ভালো লাগলে যাইয়া বিয়ে করো যাও। (হয়তো এটাই বলসে, ৯০% নিশ্চিত) অথবা এটা হতে পারে, ( তুমি ওকে বিয়ে করতে চাইলে আমি তোমার বিয়ে দিবো ওর সাথে।, যাও ওর কাছে যাও) অথবা , ওরে বিয়ে করো যেয়ে। অথবা বলসে, কোনো দাবি নাই তোমার উপর , অথবা দাবি রাখবো না তোমার উপর ।
উল্লেক্ষ্য, ওই ছেলে কাদিয়ানী ধর্মের।
এটা সে তার স্ত্রীকে মনে কষ্ট দেয়ার জন্য বলেছে। সামির ইচ্ছা ছিলো, বউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তালাক দিয়ে দিবে। কিন্তু ওই কথার মাধ্যমে তালাকের নিয়ত ছিলো না। এই কথার কিছু সময় আগে সে স্ত্রীকে মারধর করে। কিন্তু এই কথা গুলা বলার সময় একি বিছানায় শুয়ে বলতেসিলো।
ফতোয়াতে দেখলাম, এগুলা তালাকের মজলিশে বল্লে, তালাক হবে? এই মজলিশ টা কিভাবে হয়? ওইদিন তালাক শব্দ দিয়ে কোনো কথা হয় নি যতটুকু মনে পড়ে।
৩. সামি বলসে, আমাদের আর সম্পর্ক নাই। তারপর বলসে, এটার মানে ভালোবাসার সম্পর্ক শেষ , শুধু বিয়ে হইসে তাই একসাথে থাকা। এখানেও বলসে, তালাকের নিয়ত নাই।
৪. সামি বলসে, বাচ্চা হওয়ার পর তুমি চলে যাইয়ো , বাচ্চা হয় আমারে দিয়ো নাহলে তুমি নিয়ে যাও। এটায় তালাক হইসে?
৫. স্ত্রী ওয়াসওয়াসা রোগি হওয়ার কারনে এখন খুবি পেরেশানিতে আছে। সামি বলসে, তাকে পাগলের ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবে, কিন্তু স্ত্রী সন্দিহান , আদোও তালাক হয়ে গেলো কিনা। সামির ভাষ্যমতে সে তালাক দিতে চাইলে স্পষ্ট তালাক দিবে, ঘুরায় পেচায় দিবে না। সে তার বউকে কষ্ট দিয়ে যাবে সারাজিবন, কিন্তু এতো সহজে ছেড়ে দিবে না।এক্ষেত্রে করনীয় কি?
৬। সামি বলছে , বারবার এগুলা জিগ্যেস করলে আসলেই তালাক দিয়ে দিবে, কেননা আগে কখনো তালাকের নিয়ত করে নাই, কিন্তু পাগল স্ত্রীর সাথে সে থাকবে না। এখন স্ত্রী কি করবে! স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী হলেও, সামির তো এই সমস্যা নেই। সামির কথা বিশাস করবে?
হাটহাজারী চট্টগ্রাম মাদ্রাসার এক মুফতি বলেছেন, নিয়ত না থাকলে তালাক হয় নি। কিন্তু সিউর হতে হবে, আসলেই নিয়ত ছিলো নাকি।
কিন্তু স্ত্রী দিধাধন্দে আছে। আরেকজনের অন্তরের খবর কিভাবে জানবে। সে সম্পুর্ন সিউর হতে চায়, সামি যদি নিয়ত করে থাকে, এবং পড়ে ভুলে যায়, তাহলে কি হবে? স্ত্রী মরন আগ পর্যন্ত এই আশংকায় বাচবে।
সামিকে বেশি ঘাটালে, আগে তালাক না দিয়ে থাকলেও এখন রাগের মাথায় তালাক দিয়ে দিতে পারে। আর তালাক হলেও, তার সামী মানতে চাইবে না। কারন সে বলসে, এতো সহজে ছাড়বে না বউকে।
স্ত্রী মনে মনে ভাবতেসে,শরয়ি হালালাহ কথা। যাতে আবার বিয়ে করতে পারে। কিন্তু তার পরিবার মানবে না হয়তো , কারন তার সামি তার পরিবারের দেখা অত্যন্ত ভালো মানুষ , সেটা সত্যিই। তাই স্ত্রী হালালাহ করে হলেও বিয়ে করতে চায়। অবশ্য সামি আর গ্রহন করবে কিনা তা জানে না। বাচ্চাটার ভবিষ্যতে কি হবে এগুলো শুনে, তাও বুঝতেসে। আসলে তালাক হইসে কিনা তাই বুঝতেসে না।
সামিকে আল্লাহর কসম কাটতে বল্লে, সে রেগে যাবে, রেগে যেকোনো কিছু করতে পারে। তখন এমনিতেই সংসার ভাংতে পারে, আল্লাহু আলাম।
এখন ভবিষ্যতে আল্লাহ চাইলে বাচ্চা কাচ্চা হলে, তখন কি হবে?