আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম।
(বি: দ্র:  এই প্রশ্ন আগে করেছিলাম কিন্তু উত্তর পাই নি।পয়েন্ট আকারে কিছু প্রশ্ন করা আছে।
সেগুলোর উত্তর দিলে ভালো হয়।অন্তত এটা বলেন যে শিরক হচ্ছে কিনা?

আর আমি কি এখন ওকে বিয়ে করতে পারব কিনা??)

ধরুন আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা, জান্নাত চাই

সেই উদ্দেশ্যেই ইবাদাত করি।

এখন আমার একটা মেয়েকে পছন্দ,তার ও আমাকে খুব পছন্দ ।রিলেশনে নাই।কথাও বলি না,দেখাও করি না।শুধু দুইজন আশা করি আমাদের বিয়ে হবে।

আমি ভাবলাম তাকে বিয়ে করব।সেও রাজি হইল।

কিন্তু আমরা কোন সম্পর্কে নাই আর কি।

তাকে বিয়ে করব এই কথা দেওয়ার পর থেকে আমি তার ভালবাসাই মশগুল হয়ে গেছি।

এখন আর মনের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছা অনুভব হচ্ছে না।

তো আমি ভাবলাম যে আমি আল্লাহর প্রতি ভালবাসা অনুভব করছি না কিন্তু ওই মেয়ে কে প্রচন্ড ভালবাসছি এতে শিরক হবে হয়তো। তো যেন মুশরিক না হই,সেজন্য ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও জোর করে আমি আল্লাহ কে ভালবাসার চেষ্টা করতে লাগলাম আর ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা চাইতে থাকলাম।মানে এমন না যে আমি মুনাফিকি করছি।

কিন্তু মনের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা আসছেই না।

তাও আমি জোর করে ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও আল্লাহ ভালবাসা,সন্তুষ্টির আশায় ইবাদাত করে যাচ্ছি।

১)আমার কি শিরক হচ্ছে???

২)আমার কি উচিত এভাবেই জোর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসার আশায় ইবাদাত করতে থাকা?

আমি এভাবে করলে কি আমি আল্লাহর ভালবাসা, সন্তুষ্টি, জান্নাত পাব??

নাকি আমার উচিত ওই মেয়ের সাথে বিয়ের কথা বাদ দিয়ে দেওয়া যাতে মনের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছা জাগে?

৩) উপরের দুইটা অবস্থার মধ্যে কি এটা উত্তম যে আমি ওকে বিয়ের কথা বাদ দিব যেন মনে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছা জাগে?

নাকি জোর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার আশা করে ইবাদাত করে গেলেও সেটাও উত্তম???

শুধু আগে মনে ইচ্ছা আসত আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাইতে আর এখন ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও জোর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার আশা নিয়ে ইবাদাত করছি।

৪)আশা করি দুই মাস পর হাতে টাকা আসবে বেশ কিছু।বিয়ে করে নিতে চাচ্ছি।

আপনারা কি পরামর্শ দিবেন? উনাকেই আমার বিয়ে করা উচিত নাকি অন্য কাউকে?

নাকি যেটাই করি সমস্যা নাই?

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/16411/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামে বিবাহ পূর্ব প্রেম স্পষ্ট  হারাম।
হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন-

اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْككَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه

“দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, যবানের ব্যভিচার হল অশোভন উক্তি, হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (মেশকাত ১/৩২)

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াতে যাকে ইবাদত করা হয় (উদাহরণ স্বরুপ মূর্তি) উদ্দেশ্য।
কোনো প্রেমিক প্রেমিকা এখানে উদ্দেশ্য নয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে । আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, (তবে তারা নিশ্চিত হত যে,) সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।

অর্থাৎ কাফেররা আল্লাহকে যেমন ভালবাসে তাদের (মিথ্যা) মা’বুদদেরও তেমন ভালবাসে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা কাফেরদের মনেও ছিল, কিন্তু তা ছিল শির্কযুক্ত। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য নয়।
,
★সুতরাং বুঝা গেলো যে অবৈধ প্রেম হারাম হলেও তাহা শিরক নয়। 
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ   
হারাম-প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। 
,
সুতরাং এটি যেহেতু বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়,তাই যেকোনো ভাবেই হোক,দ্রুত এর থেকে হেফাজত থাকতে হবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
শিরক হচ্ছেনা।

(২-৩)
জোড় করে আল্লাহর সন্তুষ্টির বিষয়টি মনের মধ্যে নিয় আসা। পাশাপাশি অন্তর থেকে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক ঝেড়ে ফেলে দেয়া।

(০৪)
পারিবারিকভাবে তাকে আপনি বিবাহের প্রস্তাব দিতে পারেন। 
এক্ষেত্রে তার পরিবার রাজী হলে বিবাহ করতে পারেন,অথবা অন্যত্রে বিবাহের প্রস্তাব দিতে পারেন।

কোনো সমস্যা নেই।

তাকেই বিবাহ করতে হবে,এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...