আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,

১) গর্ভাবস্থায় নেককার ইলমদার আমলদার চক্ষু শীতলকারী অন্তরপ্রশান্তকারী সুসন্তান লাভের জন্য কি আমল ও কি দোয়া করবো? 

২) গর্ভাবস্থায় চন্দ্রগ্রহণ/সূর্য গ্রহণ হলে বিভিন্ন নিয়ম মানতে হয়, এগুলো কি সঠিক?

৩) গর্ভাবস্থায় মা যা করে (আমল/গুনাহ) তা কি সন্তানও বড় হয়ে করে?

৪) এক আর্টিকেলে নিচের সুরা আমলগুলো পেলাম, এইরকম মেনে তিলাওয়াত করলে কি বিদআত হবে? বা কি আমল করা যায়? 

❝অনেক বুজুর্গ এসব সুরা বেশি বেশি পড়তে বলেছেন:- 

 ♦প্রথম মাসে- সুরা আল-ইমরান।

♦দ্বিতীয় মাসে-সূরা ইউসুফ।

♦তৃতীয় মাসে-সূরা মারিয়াম।

♦চতুর্থ মাসে-সূরা লোকমান।

♦পঞ্চম মাসে-সূরা মুহাম্মদ।

♦ষষ্ঠ মাসে- সূরা ইয়াসীন।

♦সপ্তম, অষ্টম,নবম ও দশম মাসে-সূরা ইউসুফ, মুহাম্মদ ও ইব্রাহীম।❞

1 Answer

0 votes
ago by (649,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমেই বলব যে,
নিম্নে বিক্ষিপ্ত কয়েকটির বর্ণনার প্রতি লক্ষ্য করুন।

ﻋَﻦْ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺑْﻦِ ﺟَﻌْﻔَﺮٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺃَﻃْﻌِﻤُﻮﺍ ﺣُﺒْﻼﻛُﻢُ ﺍﻟﻠِّﺒَﺎﻥَ؛ ﻓَﺈِﻥْ ﻳَﻜُﻦْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻬَﺎ ﺫَﻛَﺮٌ ﻳَﻜُﻦْ ﺫَﻛِﻲَّ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐِ ، ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﻜُﻦْ ﺃُﻧْﺜَﻰ ﻳَﺤْﺴُﻦُ ﺧُﻠُﻘُﻬَﺎ ﻭَﺗَﻌْﻈُﻢُ ﻋَﺠِﻴﺰَﺗَﺎﻫَﺎ-(رواه ابو نعيم فيﺃﺭﺑﻌﻮﻥ ﺣﺪﻳﺜًﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﻣﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ - رقم الحديث 38)
রাসূলুল্লাহ বলেন,তোমরা গর্ভবর্তী মহিলাদের দুধ পান করাও।যদি গর্ভে ছেলে সন্তান থাকে তাহলে সে অত্যান্ত বুদ্ধিমান হবে।আর যদি মেয়ে সন্তান থাকে তাহলে তার চরিত্র সুন্দর হবে এবং তার শারিরিক গঠন ও অভয়ব সুন্দর হবে। 

এক বর্ণনায় এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
তোমরা আতাফল ভক্ষণ করো।এবং পরস্পর হাদিয়া প্রদান করো।এবং তোমাদের গর্ভবর্তী মা'দের কে তা ভক্ষণ করাও।কেননা আতাফল সন্তানাদিগকে সুন্দর করে।

হাজেরা আঃ কে অনুসরণ করে পাহাড় বা এ জাতীয় স্থানে গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য কিছু সময় দৌড়ানো উচিৎ।(খাওয়াতিনে ইসলামি ইন্সাইক্লোপিডিয়া:৪০৭)

গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান ভূমিষ্ঠের পর খেজুর খাওয়া সাস্থ্যকর।যেমনঃ-
হযরত ঈসা আঃ এর জন্মের পর হযরত মরিয়ম আঃ কে লক্ষ্য করে আল্লাহ তা'আলা  বলেন,
ﻭَﻫُﺰِّﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚِ ﺑِﺠِﺬْﻉِ ﺍﻟﻨَّﺨْﻠَﺔِ ﺗُﺴَﺎﻗِﻂْ ﻋَﻠَﻴْﻚِ ﺭُﻃَﺒًﺎ ﺟَﻨِﻴًّﺎ
আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।(সূরা মরিয়ম-২৫)

বুজুর্গানে কেরাম বলেন,
গর্ভধারণের সময় কুরআন তেলাওয়াত সহ সকল প্রকার ইবাদত বেশী বেশী করে করলে সন্তান নেককার হয়। যতটুকু সম্ভব বেশী বেশী করে ফরয সহ নফল ইবাদত করলে, এবং নেককার/বুজুর্গানে কেরামদের অভয়বকে কল্পনায় রাখলে সন্তান নেককার হয়।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/337


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত সন্তান উত্তম চরিত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সমস্ত কুরআন বা প্রশ্নে উল্লেখিত সূরা সমূহ তিলাওয়াত করা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...