আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
আমি বর্তমানে কিছুসময়ের জন্য আমার স্বামীর সাথে অন্য শহরে অবস্থান করছি। কিন্তু এখানে কিছু কিছু জিনিসপত্র যা প্রতিদিন ব্যবহার করতে হচ্ছে তা হারাম টাকায় কেনা। আমার স্বামী আমাকে বলেছিলেন আমি চাইলে বাসায় রেখে আসবেন। কিন্তু আমি চলে গেলে ওনার থাকা খাওয়ার কষ্ট হয়ে যাবে।
এই অবস্থায় যে জিনিসগুলা হারাম টাকায় কেনা সেগুলোর সমপরিমান হালাল টাকাও আমার কাছে নেই যাতে আমি সেই হালাল টাকা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সাদাকা করবো। সেই হারাম টাকার জিনিসগুলো হয়ত ৫-১০ হাজার টাকার মত হবে।
১. এখন আমি যদি কারো থেকে আপাতত কিছু দময়ের জন্য হালাল ১ হাজার টাকা ধার  নিয়ে সেটি এই জিনিসগুলা ব্যবহার করার জন্য সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সাদাকা করে দেই তাহলে কি কিছু সময়ের জন্য এই জিনিসপত্র গুলো ব্যবহার করতে পারবো?  আমি হালাল টাকার মাধ্যমেই পরে টাকাটা শোধ করে দিতাম।

দয়া করে জানাবেন
জাযাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপাতত কারো কাছ থেকে ঋণ নিয়ে হারাম মালের বিপরীতে সদকাহ করে নিলে উক্ত আসবাবপত্র ব্যবহারহ হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুযুর সমপরিমাণ টাকা ঋণ নিতে পারবো না। আপাতত ওই হারাম জিনিসপত্রের টাকার তিন ভাগের একভাগ দিলে কি জায়েজ হবে এখানে থাকা?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...