আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।
দ্বীনের বুঝ পাওয়ার আগে একাডেমিক পরীক্ষায় নিজে কিছু ভুলে গেলে অন্যদের জিজ্ঞেস করতাম। পরীক্ষায় অন্যদের সাহায্য নেওয়া গুনাহ জানতাম না তখন। তওবা করার পরে এখন আগের সেসব পরীক্ষার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি করা হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (636,510 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

পরীক্ষার হলে কাহারো থেকে দেখে লেখা,কাহারো থেকে সাহায্য নেয়া, নকল করা সবই ধোকার শামিল,বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

হাদিস শরীফে এসেছে
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়; আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৯৪)

ইবনে মাসউদের (রা.) হাদিসটি যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন: যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতারক জাহান্নামে যাবে না।  এবং আবু বকর সিদ্দিক রা. থেকে বর্ণিত ‘অভিশপ্ত সে যে কোনো মুসলমানের ক্ষতি করে বা তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে।’ তিরমিজি বর্ণনা করেছেন। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকামি: ৯/৩৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লিখিত অবস্থায় আপনি যদি সেই সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে চাকরি নেন, তা হলে আপনি গুনাহগার হবেন। 

এর ফলে আপনার জন্য আন্তরিকভাবে আবারো তওবা করা আবশ্যক  হবে। 

তবে আপনি যদি সেই চাকরির জন্য যোগ্য হোন এবং আপনি নিজের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারেন, তা হলে সেই অবস্থায় বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে। কারণ বেতন বা মজুরি কর্মের বিনিময়ে হচ্ছে।

বেতন হালাল হওয়ার সম্পর্ক হলো দায়দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করার সঙ্গে।
আর যদি এমন হয় যে আপনি ওই দায়িত্ব ও চাকরির যোগ্য না হোন,অথবা চাকরির যোগ্য কিন্তু সঠিকভাবে দ্বীনদারির সাথে কাজ করেন না, তাহলে আপনার বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে না।(অর্থাৎ যে পরিমাণ খিয়ানত হবে সে পরিমাণ বেতন হালাল হবে না।)
 
আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...