আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম। হায়েজের পর, পবিত্র হওয়া নিয়ে, সন্দেহ থেকে যায়। হায়েজের  রক্ত বাইরে আসা বন্ধ হয়ে গেলে,কয়েকদিন, অল্প একটু ভিতরে, কিছুটা বাদামী বর্ণের স্রাব থাকে। এর কয়দিন পরে আরো হালকা হতে থাকে। হালকা সবুজাভ বাদামি, সবুজাভ স্রাব  থাকে।

আমার প্রশ্ন হল, পুরোপুরি সাদাস্রাব বাইরে না দেখা গেলে, পবিত্রতার, জন্য, কিভাবে চেক করে, কোন ওয়াক্ত থেকে নামাজ শুরু করব,। পবিত্রতার জন্য চেকটা কিভাবে করব। দয়া করে সঠিক নিয়মটা জানাবেন। টিস্যু দিয়ে কতটা ভেতরে চেক করতে পারব। কাইন্ডলি একটু বিস্তারিত বললে ভাল হয়। ভয় লাগে নামাজ মিস হয়ে যাচ্ছে কিনা আসলেই পবিত্র হচ্ছি  কিনা। দয়া করে বিস্তারিত বলবেন। জাযাকাল্লাহু খাইর

1 Answer

0 votes
by (639,990 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে লজ্জাস্থানের ভিতরে স্রাব থাকলে সেটি ধর্তব্য নয়।
মূলত স্রাব বাহিরে আসতে হবে।

টিস্যু দিয়ে ভিতরে চেক করার আবশ্যকীয়তা নেই।

টিস্যু বাহিরে থাকবে,এক্ষেত্রে টিস্যুতে সাদা স্রাব ব্যাতিত অন্য কালারের স্রাব আসলে সেক্ষেত্রে সেটি হায়েজের ১০ দিনের মধ্যে হলে সেটিকে হায়েজ ধরবেন। 

হায়েজের ১০ দিনের পরে হলে সেটিকে ইস্তেহাজা ধরবেন। 

১০ দিন পরেও সাদা স্রাব ব্যাতিত অন্য কালারের স্রাব আসলে সেক্ষেত্রে পূর্বের মাস গুলোর অভ্যাস অনুযায়ী এই মাসেও আপনি হায়েজ ধরবেন। 

অর্থাৎ পূর্বের মাসগুলোতে যদি সাত দিনে হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়, এই মাসেও আপনি সাত দিনের হায়েজ বন্ধ হয়েছে বলে ধরবেন।

পূর্বের মাসগুলোতে যদি ৯ দিনে হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়, এই মাসেও নয় দিনে হায়েজ বন্ধ হয়েছে বলে ধরবেন।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 316 views
0 votes
1 answer 197 views
0 votes
1 answer 220 views
...