আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
edited by
শায়েখ আসসালামু 'আলাইকুম,,,

১/আমি একবার ভুলবশত ১ টি কলম বশি নিয়ে নিয়েছিলাম,,,কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার আগে কলেজ থেকে ফাইল -কলম এসব দিয়েছিল,,,আমাকে যেইসময় প্রথম দিয়েছিল সেসময় আমি কলম বের করেছিলাম আমার কাজের জন্য,,পরবর্তীতে কেউ কেউ বেশি করে ফাইল নিয়ে নেয়ায় আবার সবারটা নিয়ে নেয়া হয়,,, কিন্তু আমার আর সেই কলমের কথা মনে ছিল না,,,পরবর্তীতে আমি আরেকটি ফাইল পাই এবং সেখনেও কলম ছিল,,,পরবর্তীতে আমি এক্সট্রা কলমটি আরেকজনকে দিয়ে দিই এটা বলে যে,,যার কাছে কম গেছে তাকে যেন দিয়ে দেয়,,এক্ষেত্রে কি আমি দায়মুক্ত?

২/ শায়েখ আমি আগে একটি প্রশ্ন করেছিলাম শ্রমিকের মজুরি নিয়ে,,, https://ifatwa.info/113323/  প্রশ্নটি,,,এক্ষেত্রে শায়েখ এখানে কমেন্টে বলা হয়েছিল  যে,,,আবার টাকা দিয়ে দিতে,,,কিন্তু তার সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ নেই,,তার সাথে আমার দেখাও হয় না,, তার সাথে যোগাযোগ   যোগাযোগ করতে হলেও আবার অন্যদের মাধ্যমে করতে হবে,,,প্রথমে আমি যেখানে থাকি সেখানকার মানুষদের কাছ থেকে খাতিনদারদারের প্রধানের নাম্বার নিতে হবে,,,,খাতিনদারদের প্রধানের নাম্বার পাওয়া না গেলে আবার ডেকোরেটোরের লোকদের নাম্বার নিতে হবে ( উল্লেখ্য ডেকোরেটরের লোকদের আমি আগেই টাকা দিয়েছিলাম তাকে দেয়ার জন্য) এবং তারপর খাতিনদারদের প্রধানের নাম্বার নিতে হবে এবং তাকে বলতে হবে তাদের ছবি পাঠাতে( কিন্তু আমার মনে হয় না তারা পাঠাবে)আর যদি পাঠায়ও  তাহলেও আমি টাকা দিলেও উক্ত শ্রমিকের কাছে টাকা পৌছাবে কিনা সন্দেহ,,,আর যদি সরাসরি দেখা করতে বলা হয় তাহলেও দেখা করবে কিনা জানি না,,,, এখন আমার কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
ago by (619,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ؟» . قَالُوا: الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لَا دِرْهَمَ لَهُ وَلَا مَتَاعَ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا. وَأَكَلَ مَالَ هَذَا. وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرح فِي النَّار» . رَوَاهُ مُسلم

আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, (প্রকৃত) গরীব কে? সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ আমরা তো মনে করি, আমাদের মধ্যে যার টাকা-পয়সা, ধনদৌলত নেই, সে-ই গরীব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি গরীব হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে সালাত, সিয়াম ও যাকাত আদায় করে আসবে; কিন্তু সাথে সাথে সেসব লোকেদেরকেও নিয়ে আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো অপবাদ রটিয়েছে, কারো সম্পদ খেয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে; এমন ব্যক্তিদেরকে তার নেকীগুলো দিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর যখন তার পুণ্য শেষ হয়ে যাবে অথচ পাওনাদারদের পাওনা তখনো বাকি, তখন পাওনাদারদের গুনাহ তথা পাপ তার ওপর ঢেলে দেয়া হবে, আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(মুসলিম ৫৯-(২৫৮১), তিরমিযী ২৪১৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৮৪৫, সহীহুল জামি‘ ৮৭, সহীহ আত্ তারগীব ২২২৩, শু‘আবুল ঈমান ৩৩, আহমাদ ৮০২৯, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৬৪১৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪১১, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ৫৬১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ২৭৭৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৮৩৮।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যার কাছে কম গিয়েছে,তাকে কলমটি ফেরত দিলে আপনি দায়মুক্ত হবেন।

বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আপনি যার কাছে কলমটি দিয়েছেন,তার থেকে শুনে নিতে পারেন যে আসলেই যার কাছে কম গিয়েছে,তার নিকট কলমটি পৌছানো হয়েছে কিনা।

যদি তার কাছে কলম না পৌছায়,সেক্ষেত্রে আপনি যেহেতু কলমটি তাকে দেয়ার দায়িত্ব একজনকে দিয়েছেন,সুতরাং আপনি দায়মুক্ত হয়ে যাবেন।

এক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তি কলমটি না পৌছালে সে দায়ী হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে আপনি যাদেরকে টাকা দিয়েছেন,তারা আসলেই হকদার ব্যাক্তিকে টাকা দিয়েছে কিনা,সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

তারা যদি বলে যে তারা হকদার ব্যাক্তিকে টাকাটি দিয়েছে,সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত ভাবে দায়মুক্ত। 

বিষয়টি নিয়ে আর কোনো চিন্তা করতে হবেনা।

★যদি তাদেরকে আর খুজে না পান,বা তারা হকদার ব্যাক্তিকে টাকাটি না দেয়,সেক্ষেত্রে আপনি দায়ী থাকবেননা।

বরং এক্ষেত্রে তারা দায়ী হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...