ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদিস অস্বীকার করা কিংবা কিছু হাদিস অস্বীকার করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আমরা সংক্ষেপে বলতে চাই: উনার বিদাতটি যদি তাকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়ার পর্যায়ে হয়; যেমন তিনি চূড়ান্তভাবে হাদিসকে অস্বীকার করেন, তার সামনে প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে; কিন্তু তিনি হক্বকে অস্বীকার করছেন; তাহলে তার কুফরীর কারণে তার পিছনে আপনার নামায পড়া জায়েয হবে না। আর যদি তার বিদাত কুফুরীর পর্যায়ে না হয়; যেমন অবহেলা ও কসুরবশতঃ হাদিসে যে আমলের কথা এসেছে সেটা না মানেন; সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামায পড়া আপনার জন্য জায়েয হবে এবং আপনার নামায সহিহ হবে। আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
ােএমন প্রশ্নের ব্যাপারে শাইখ উছাইমীন (রহঃ) থেকে নিম্নোক্ত জবাব এসেছে:
হাদিস অস্বীকার করা হতে পারে অপব্যাখ্যামূলক কিংবা অবিশ্বাসমূলক। অবিশ্বাসমূলক এভাবে যে, সে ব্যক্তি বলে: আমি জানি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন। কিন্তু আমি সেটাকে অস্বীকার করি ও মানি না। যদি এ ধরণের অস্বীকার হয় তাহলে সে ব্যক্তি কাফের মুরতাদ (ইসলাম ত্যাগকারী); এমন ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে না।
আর যদি তার অস্বীকার করাটা অপব্যাখ্যা নির্ভর হয়; তাহলে দেখতে হবে: যদি (আরবী) ভাষার আলোকে এমন ব্যাখ্যা করার অবকাশ থাকে এবং সে ব্যক্তি শরিয়তের উৎসসমূহ ও মূলভিত্তিগুলোর জ্ঞান রাখেন তাহলে তাকে কাফের গণ্য করা যাবে না; বরং তার অভিমতটি বিদাত হলে তাকে বিদাতীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। তার পিছনে নামায পড়া যাবে; যদি না তার পিছনে নামায না পড়ার মধ্যে কোন কল্যাণের দিক থাকে; যেমন সে ব্যক্তি পিছু হটে এসে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা; সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামায না পড়া।
আপনার পিতার অবস্থা হচ্ছে তিনি হাদিসের কিছু অংশকে স্বীকার করেন; যে অংশটি কুরআনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ও কুরআনের ব্যাখ্যামূলক। অন্যদিকে তিনি হাদিসের অপর একটি অংশকে অস্বীকার করেন যাতে রয়েছে কুরআনের অতিরিক্ত কিছু। এ ধরণের বিদাত মারাত্মক বিদাত হিসেবে গণ্য; শরিয়তপ্রেণতা যে বিদাতের ব্যাপারে শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে: "আমি তোমাদের কাউকে তার গদির উপর উপবিষ্ট পাব না…"।
এটি একটি জঘন্য বিদাত; এমন বিদাতকারীর ব্যাপারে আশংকা হয়।