আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (9 points)
আস সালামু আলাইকুম সম্মানিত মুফতি সাহেবগন ।

ধরেন,এক ব্যাক্তি মুসলিম থেকে নাস্তিক হয়ে যায়।সে শিরিকি কাজ শুরু করে ১০ বছর শিরিক য়ে জড়িত ছিল।সে আল্লাহ কে নিয়ে আজে বাজে কথা অসংখ্য বার বলেছে রাসূল কে নিয়ে আজে বাজে কথা অসংখ্য বার বলেছে।সে ইসলাম কে নিয়ে কুরআন কে নি মসজিদ কে নিয়ে অবমাননাকর কথা ও কাজ করেছে ।নিশ্চিত সে মারাত্মক গুনাহগার।

প্রশ্ন:উপরোক্ত ব্যাক্তির কি ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ আছে না সব পথ বন্ধ ।

প্রশ্ন:বিশ্বাসের সাথে কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করলে কি অই ব্যাক্তি ঈমানদার হয়ে যাবে।

প্রশ্ন:এই ধরনের ব্যাক্তি কি আল্লাহ র রহমতের আশা করবে।

প্রশ্ন :তওবা করে কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করলে কি ঈমান চলে আসবে না তওবা কবুল হওয়া শর্ত।

প্রশ্ন:রাসূলের শানে অবমাননা কি তওবায় মাফ হয়।

প্রশ্ন:ধরেন অই ব্যাক্তি কালেনা শাহাদাৎ বিশ্বাসের সহিত পাঠ করে মুসলিম হল কিন্তু তওবা কবুল হল না উপরে উল্লেখিত গুনাহ রয়ে গেল ,সে কি কোন না কোন সময় জান্নাতে যাবে?

আল্লাহর ওয়াস্তে দয়া করে সব প্রশ্নের উওর দিয়ে বাধিত করবেন ।

1 Answer

0 votes
by (648,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাওবাহর দ্বারা আল্লাহ পাক সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা যুমার-৫৩)

তাওবাহ করলে আল্লাহ সকল প্রকার গোনাহকেও ক্ষমা করে দেন। তাওবাহ করার পর নেক কাজ করলে, আল্লাহ তা'আলা পূর্বে গোনাহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা ফুরকান-৬৯) এ সম্পর্কে আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1012



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক) প্রশ্নে বর্ণিত উপরোক্ত ব্যক্তির অবশ্যই ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ আছে। 

(খ) বিশ্বাসের সাথে কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করলে অবশ্যই ঐ ব্যক্তি ঈমানদার হয়ে যাবে।

(গ) এই ধরনের ব্যাক্তি আল্লাহর রহমতের আশা করতে পারবে।

(ঘ) তওবা করে কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করলেও ঈমান চলে আসবে, তওবা কবুল হওয়া শর্ত নয়।

(ঙ) রাসূলের শানে অবমাননা কররে সেটাও তওবাহ দ্বারা মাফ হয়।

(চ) এগুলো ওয়াসওয়াসা প্রশ্ন। সুতরাং উত্তর দেয়ার আমাদের নিয়ম বহির্ভূত কাজ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...