বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চুল কাটা ও শরয়ী বিধি-বিধান।
চুল সম্পর্কে শরয়ী বিধান হচ্ছে,পরিবেশ ও পরিস্থিতি এবং আবহাওয়া সাথে সমতা রেখে বাবড়ি চুল ও চুলমুন্ডন,এ দু-থেকে যে কোনো একটিকে গ্রহণ করা যাবে,এতে কোনোপ্রকার বিধি-নিষেধ নেই।তবে বাবড়ি চুল রাখা সুন্নাত এবং চুল মুন্ডন করাও হানাফি মাযহাব মতে সুন্নাত,অর্থাৎ উভয়টিই সুন্নাত ।(ফাতওয়ায়ে রশিদিয়া)
এবং চুলকে কেটে খাটো করাও যাবে তবে বিষয়টা একটু ব্যখ্যা সাপেক্ষ্য।
সুতরাং চুল কাটা সম্পর্কে ইসলামী বিধান হচ্ছে,চতুর্দিকে সমান করে কাটা,যতটুকু সামনের দিকে কাটা হবে ততটুকু পিছন ও মাথার মধ্যখান এবং উভয় সাইট থেকেও কাটতে হবে,উভয় সাইট ও পিছনের দিকে চুল ফেলে দিয়ে সামন বা মধ্যখানে চুল রেখে দেয়া কখনো জায়েয হবে না বরং তা হারাম হবে। আফসোস!আজকে আমাদের যুবসমাজ এ বিজাতীয় বিকৃতিমূলক সংস্কৃতিককে অত্যান্ত আন্তরিকতা সাথে গ্রহণ করছে।অথচ হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে,যে যে ব্যক্তি যে জাতীর অনুকরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/3411
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি চুলের অবস্থা এতটাই বাজে হয়ে যায় যে, অনেকখানি কাটা লাগবে, যেমন অনেক বেশি আগা ফেটে যাওয়া বা চুলের পুষ্টি দুইটাই নষ্ট হয়ে যাওয়া। তাহলে গর্দান সমপরিমাণ কর্তন করা যাবে।