আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
একজন ব্যাক্তির কাছ থেকে আমি কিছু টাকা ধার নিতে চাই। সে আমাকে দুইটার যেকোনো একটা সুরতে টাকা দিতে সম্মত হয়েছে।
১/ আমাকে আধা ভরি ২২ কেরেট স্বর্ণ দিবে। ফেরত দেওয়ার সময়ে তাকে আধা ভরি স্বর্ণই দিতে হবে। কিন্তু আধা ভরি স্বর্ণ বাজারে বিক্রি করতে গেলে ২২ কেরেট স্বর্ণের বাজার দর থেকে আমি ২০% কম টাকা পাবো। এটা বাজুস এর নিয়ম। এক্ষেত্রে ফেরত দেওয়ার সময় আধা ভরি স্বর্ণ কিনতে গেলে আমাকে আবার বাজার দর অনুযায়ী পুরো দাম দিয়েই  স্বর্ণ কিনে তাকে ফেরত দিতে হবে।

অথবা,

২/ সে আমাকে আধা ভরি ২২ কেরেট স্বর্ণের বিক্রয়মূল্য সমপরিমাণ টাকা দিবে। পরবর্তীতে তাকে আধা ভরি স্বর্ণই দিতে হবে অথবা আধা ভরি ২২ কেরেট স্বর্ণের মূল্য অনুযায়ী টাকা ফেরত দিতে হবে।


মুহতারাম, উল্লেখিত দুই সুরতের দুইটাতেই কি সুদ হয় যাচ্ছে? এক্ষেত্রে করণীয় কি? কিভাবে স্বর্ণের ভিত্তিতে ঋণ লেনদেন করলে সুদ হবে না?

1 Answer

0 votes
ago by (647,820 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আমরুন নাকিদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ سَوَاءً بِسَوَاءٍ يَدًا بِيَدٍ فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الأَصْنَافُ فَبِيعُوا كَيْفَ شِئْتُمْ إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ " .
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রৌপ্য বৌপ্যের বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খেজুর খেজুরের বিনিময়ে এবং লবন লবনের বিনিময়ে সমান সমান সমপরিমাণ ও হাতে হাতে হতে (নগদ) হবে। অবশ্য এই দ্রব্যগুলো যদি একটা অপরটার সাথে বিনিময় হয়। (অর্থাৎ পণ্য এক জাতীয় না হয়) তোমরা যেরূপ ইচ্ছা করতে পার যদি হাতে হাতে (নগদে) হয়।(সহীহ মুসলিম-৩৯১৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেউ যদি আপনাকে স্বর্ণ ধার দেয়, ফিরিয়ে দেয়ার সময় ততটুকু স্বর্ণ দেয়া শর্ত যতটুকু তার কাছে থেকে আপনি ধার নিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে কমবেশ হলে সুদ হিসেবে বিবেচিত হবে। আপনি স্বর্ণ বিক্রি করতে ২০% কম পাবেন, এবং কিনতে পুরো টাকাই দিতে হবে। এটা আপনার বিষয়। এদ্বারা স্বর্ণের আদান প্রদানে কোনো প্রভাব পড়বে না। মোটকথা, যেই জিনিষ যেই পরিমাণ  ধার নিবেন, হুবহু সেই পরিমাণ জিনিষই আপনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। হ্যা, ভিন্ন জিনিষ দ্বারা ঋণ পরিশোধ করলে কমবেশ করা জায়েয হবে।


(২) যদি কেউ আপনাকে আধা ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বিক্রয়মূল্য সমপরিমাণ টাকা দেয়। পরবর্তীতে সেই পরিমাণ টাকাই আপনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে, যেই পরিমাণ টাকা আপনি ধার নিয়েছিলেন। হ্যা, আধা ভড়ি স্বর্ণ ক্রয় করে তাকে ঋণ পরিশোধ বাবৎ দিতে পারবেন যদি সে সম্মত থাকে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...