ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং এ্যাবর্শন(গর্ভপাত) সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।যথাঃ-
(১)(চিরস্থায়ী)জন্মনিরোধ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ-এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে চিরস্থায়ীভাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
(২)(অস্থায়ী)জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে সন্তান জন্মানোর ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকা সত্বেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সন্তান জন্ম নিবে না।
(৩)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
(৪)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ যেই সন্তান দিবেন। সেই সন্তানের জীবনোপকরণ দিয়েই এই দুনিয়াতে প্রেরণ করবেন। এখন সন্তান দিচ্ছেন,কিন্তু হয়তো ভবিষ্যতে দেড়ীও হতে পারে, তাই সন্তান যখন এসেই গেছে, এই সন্তানকে অযথা হত্যা করা জায়েয হবে না। বিয়েকে শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য দেয়া হয়নি, বরং উম্মত বৃদ্ধিই বিয়ের হেকমত সমূহের মধ্য থেকে বড় একটি হেকমত। কাজেই স্বামীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।