আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ,
আমি কনসিভ করেছি আলহামদুলিল্লাহ!  কিন্তু আমার জাওজ কোনো ভাবেই এখন বেবী নেয়ার ইচ্ছা রাখছেনা।এর আগেও সে চায়নি । কিন্তু আমার ও তার পরিবার সবাই আমাকেই বলছে যে আমি কেন নিচ্ছিনা।। এখন এই ব্যাপার নিয়ে আমাদের বিয়ের পর থেকে অনেক ঝামেলা হইসে আমি বার বার সবর করছি।। তার বাচ্চা নেয়ার ইচ্ছে নেই মূলত সে রাজনীতির সাথে জড়িত ,যুবদল করে যার কারণে আমাদের বিয়ের ব্যাপার টাও পরিবার এর বাহিরে  কেউ ই জানেনা জানলে দল থেকে বের হয়ে যেতে হবে। আড়াই বছরে আমাকে মাত্র দুইবার ডাক্তার দেখাইছে অথচ আমি অনেকবারই অসুস্থ হইছি। আপনাদেরকে আমি আগেও প্রশ্ন দিয়েছি। কিন্তু সমধান হিসেবে সবরই করেছি ,রাগ অভিমান এর সময় নেই । আমাকে সময় দেয়না ,সারাদিন বাহিরে আড্ডা ! আমার দায়ীত্ব বলতে সে বুঝে এক বেলা ভাত খাওয়ানো।। আমার শ্যাম্পু টাও সে এনে দেয়না আমি নিজের টাকায় চলছি । যখন বলি বা অভিযোগ করি সে বলে তার টাকা নেই হলে সব করবে। সে সরাসরি বলে তার দায়ীত্ব নিতে বিরক্ত লাগে । মেয়েরা কেন দায়ীত্ব নেয় না ! এখন  সে চাইছে আমি মেডিসিন খাই। তার লজিক সে আমাকে দেখাচ্ছে সে আমি মিলে ত প্লান করিনি ,আল্লাহর কাছে দুয়া করিনি ,নেক সু সন্তান চাইনি।এভাবে কাউরে সে দুনিয়ায় আনতে ইচ্ছুক না।  কিন্তু মূল রিজন হচ্ছে তার রাজনিতী গত কারণ।। এই কারনেই সে এই ব্যাপারে আগায়নি ,তার চিন্তা দ্বারা হচ্ছে আরো ২-৩ বছর পরে ট্রাই করবে।  আমাদের সংসার আড়াই বছর এর ভেতরে আমার ইচ্ছা থাকলেও তার ইচ্ছে নেই আজো নেই কিন্তু আমার জানা নাই এটা কিভাবে কি হইছে! এখন সে বলতেছে আমি বেইমানি করছি অথবা চালাকি করছি!
আর সে চাচ্ছে পরিবার এর কাউরে না জানিয়ে আমি ডাক্তার দেখায়ে মেডিসিন খেয়ে নি।  এটা কতটা উচিত হবে? আমার করণিয় কি? তাকে বুঝালে সে আমাকে ব্লেম করবে অলরেডি বলতেসে আমি তাকে ফাসাতে এই ফন্দি করসি।।

1 Answer

0 votes
by (647,820 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং এ্যাবর্শন(গর্ভপাত) সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।যথাঃ-

(১)(চিরস্থায়ী)জন্মনিরোধ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ-এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে চিরস্থায়ীভাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

(২)(অস্থায়ী)জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে সন্তান জন্মানোর ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকা সত্বেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সন্তান জন্ম নিবে না।

(৩)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

(৪)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/446


এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1907

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ যেই সন্তান দিবেন। সেই সন্তানের জীবনোপকরণ দিয়েই এই দুনিয়াতে প্রেরণ করবেন। এখন সন্তান দিচ্ছেন,কিন্তু হয়তো ভবিষ্যতে দেড়ীও হতে পারে, তাই সন্তান যখন এসেই গেছে, এই সন্তানকে অযথা হত্যা করা জায়েয হবে না। বিয়েকে শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য দেয়া হয়নি, বরং উম্মত বৃদ্ধিই বিয়ের হেকমত সমূহের মধ্য থেকে বড় একটি হেকমত। কাজেই স্বামীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...