আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আস-সালামু আলাইকুম,

আমি গত কয়েক বছর ধরে (৫-৬) এক বিষয়ে দুআ করতেছি। কিন্তু তা এখন পর্যন্ত কবুল হয়নি।এভাবে বলতে লজ্জাবোধ হচ্ছে।আমি জানি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ৩ ভাবে আমাদের দুআ কবুল করে।কোন দুআ ই বিফলে যায়না। কিন্তু আমি এমন এক পরিস্থিতিতে আছি যে কান্না ছাড়া আমি আর কিছু দেখি না। এই দুআ নিয়ে কথা আসলেই আমি কান্না করি। আমার ইবাদতেও কেমন অলসতা এসে গেছে। আমার কেন যেন মনে হয় আমি এই নির্দিষ্ট করে দুআ করা ছেড়ে দেই।আমি আর নিতে পারতেছি না। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু যখনই আমার এমন মনে হয় আবার পরক্ষনেই মনে হয় আমি দুআ করি। আমার আল্লাহ শুনে আমাকে।তিনি জানেন আমার মনের অবস্থা। কিন্তু আবার এই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকি। আমার মনে হয় আমি যেন আল্লাহ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তখন মনে হয় আমার কিছু চাইনা। আমার শুধু আল্লাহ কে চাই। কিন্তু যখন কোন গুনাহ করে ফেলি তখন নিজেকে খুব ছোট মনে হয়।মনে হয় যেন আল্লাহ নারাজ আমার উপর। আমি সারাদিন বিষন্ন থাকি। পড়াশোনা ঠিক ভাবে হচ্ছে না। নিজেকে নিজের কাছে ছোট মনে হয়। আমি কি চাই আসলে আমি নিজেও জানি না হয়তো। সবসময় এমন হয়েছে যে আমি কোনকিছু চেয়েছি আল্লাহ আমাকে দেয়নি কিন্তু আবার পরে দেখেছি যে ঐ জিনিস আমার জন্য কল্যাণকর ছিল না।আমি নিজে বাস্তব উদাহরণ পেয়েও নিজের মনকে শান্ত করতে পারছি না। আমার কি আমার দুআ করে যাওয়া উচিত নাকি থেমে যাওয়া উচিত এই বলে যে আল্লাহ আমাকে আফিয়াহ দাও।আমি নিজেকে শান্ত রাখতে পারছি না।আমি যেন দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (647,850 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس - رضي الله عنه - قال: قال رسول الله: " «ليسأل أحدكم ربه حاجته كلها، حتى يسأله شسع نعله إذا انقطع» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, মানুষ যেন সকল বিষয়ে তার রবের নিকট দু'আ করে,এমনকি যদি তার জুতার ফিতা ছিড়ে যায়, তখনও যেন সে এ সম্পর্কে (প্রথমে) আল্লাহর নিকট সাহায্য চায়(অতঃপর ফিতা লাগানোর চেষ্টা করে)। (মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৫১)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
কুরআন হাদীসের দৃষ্টিতে এটাই সাব্যস্ত যে, দু'আ করা পৃথক একটি ইবাদত।বান্দা দু'আ করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।এবং দু'আ কারী ব্যক্তিকেই আল্লাহ পছন্দ করেন।বান্দা দু'আ না করলে আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট হন।আল্লাহ পাক অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছুই জানেন।তাই কোন জিনিষটি কার জন্য কখন উপকারী হবে,আল্লাহ পাক সেটা ভালো করেই জানেন।কোনো জিনিষ বান্দার জন্য যখন উপকারী হবে,সেই জিনিষ আল্লাহ পাক তখন উক্ত বান্দাকে দান করেন।নতুবা তার উপকারী কিছু তাকে দান করেন।সেজন্য আমাদের উচিৎ বেশী বেশী করো দু'আ করা।কেননা মু'মিনের কোনো দু'আ-ই বৃথা যায় না,বরং সকল দু'আই কবুল হয়।কবুলের ধরণ হয়তো ভিন্ন হবে বা একটু দেড়িতে কবুল হবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উচিত দুআকে চালিয়ে যাওয়া, এবং নিজেকে শান্ত রেখে দু'আ চালিয়ে যাওয়াই একান্ত কাম্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...