ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس - رضي الله عنه - قال: قال رسول الله: " «ليسأل أحدكم ربه حاجته كلها، حتى يسأله شسع نعله إذا انقطع» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, মানুষ যেন সকল বিষয়ে তার রবের নিকট দু'আ করে,এমনকি যদি তার জুতার ফিতা ছিড়ে যায়, তখনও যেন সে এ সম্পর্কে (প্রথমে) আল্লাহর নিকট সাহায্য চায়(অতঃপর ফিতা লাগানোর চেষ্টা করে)। (মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৫১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
কুরআন হাদীসের দৃষ্টিতে এটাই সাব্যস্ত যে, দু'আ করা পৃথক একটি ইবাদত।বান্দা দু'আ করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।এবং দু'আ কারী ব্যক্তিকেই আল্লাহ পছন্দ করেন।বান্দা দু'আ না করলে আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট হন।আল্লাহ পাক অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছুই জানেন।তাই কোন জিনিষটি কার জন্য কখন উপকারী হবে,আল্লাহ পাক সেটা ভালো করেই জানেন।কোনো জিনিষ বান্দার জন্য যখন উপকারী হবে,সেই জিনিষ আল্লাহ পাক তখন উক্ত বান্দাকে দান করেন।নতুবা তার উপকারী কিছু তাকে দান করেন।সেজন্য আমাদের উচিৎ বেশী বেশী করো দু'আ করা।কেননা মু'মিনের কোনো দু'আ-ই বৃথা যায় না,বরং সকল দু'আই কবুল হয়।কবুলের ধরণ হয়তো ভিন্ন হবে বা একটু দেড়িতে কবুল হবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/987
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উচিত দুআকে চালিয়ে যাওয়া, এবং নিজেকে শান্ত রেখে দু'আ চালিয়ে যাওয়াই একান্ত কাম্য।