আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্

#_১|আমার একসময় ইচ্ছে ছিলো পড়াশোনা করে ভালো কোন চাকরি করবো,পরিবারের জন্য কিছু করবো, বিসিএস দিবো আরও কত স্বপ্ন। পড়াশোনায় আগ্রহী ছিলাম অনেক।পরিবারের লোকেরও আমায় নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো।কিন্তু অনার্সের প্রথম বর্ষ শেষ না হতেই আব্বু মারা যাওয়ার পরে আমার দ্বীনের বুঝ আসে। ধীরে ধীরে সবকিছু জানার সাথে সাথে আমি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।আম্মুর প্রচেষ্টায় অনার্স শেষ করি গতবছর।স্বাভাবিক আব্বু না থাকায় আমার আম্মু পড়াশোনা চালিয়ে নিয়েছেন তার উপর নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার।সবাই চায় আমি চাকরি করি।কিন্তু আমি কিছুতেই চাকরি করতে চাই না।আর আমাদের দেশে তো শরঈ পর্দা করে,ফ্রী মিক্সিং এড়িয়ে চাকরি করাও সম্ভব নয়।আমার জন্য চাকরি ঠিকও করা হয়েছে। আমি করি নি দেখে আমায় পরিবারের মানুষই অনেক কথা বলে।এই অবস্থায় শরীয়া মোতাবেক আমার কি করা উচিত? তাদের কথা না শুনে তাদেরকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে কি আমার গুনাহ হচ্ছে? ((বিশেষ করে আমার মাকে))

#_২|বিয়ের বয়স হওয়ায় সবাই আমার বিয়ে নিয়েও চিন্তিত।পর্দা করার পর থেকে আমি টোটালি নন মাহরমদের সামনে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।তাই আমি কোন ঘটকের সামনেও যাই না।আর কাউকেও ছবি দেই না।যার কারণে সবাই মনে করে আমার বিয়ে কঠিন হয়ে আছে।কেউ না দেখলে নাকি হবে না।মেয়ের বিবরণ দিতে পারবে না।আর আমি যেমন চাই ওনারা তেমন খুঁজতেও পারবে না নাকি।এটকম পাত্র নাকি পাওয়া মুশকিল।ওনারা এ-ও মনে করে যে চাকরি করলে নাকি বিয়েটা আরও সহজ হয়ে যাবে।এই অবস্থায়-ই বা আমি করবো?আমি নাকি এসব বাড়াবাড়ি করছি।ইসলাম নাকি এতো কঠিন না।আমার এসব কাজের জন্য কি তাদেরকে কষ্ট দিয়ে আমার গুনাহ্ হচ্ছে??
by
অনলাইনে কিছু ম্যট্রিমনি সাইট আছে চাইলে সেখানে বায়োডাটা দিতে পারেন। তবে অনলাইনে ক্ষেত্রবিশেষে স্ক্যাম হতে পারে তাই সাবধান। ahliya, ordheekdeen এরকম আরো কিছু ইসলামিক ম্যট্রমনি টাইপ সাইট আছে। অনলাইনে পাত্রের সন্ধান পেলে সেক্ষেত্রে পারিবারিকভাবে আগাবেন 

1 Answer

0 votes
by (618,420 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়। 
যেমন,
★ যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
★চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
★ কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
★ চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
★কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
★নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)
,
বিস্তারিত  জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি সত্যিকারে আপনার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত শর্ত গুলো পূর্ণ ভাবে মেনে চলার মতো কোনো চাকরি পেলে আপনান্র জন্য সেই চাকুরী করা জায়েজ আছে।
অন্যথায় জায়েজ নেই।

(০২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
দ্বীনদার পাত্রের সাথে বিবাহের গুরুত্ব পরিবারকে বুঝাবেন।

আপনার পরিবারের লোকেরা যেনো দ্বীনদার ব্যাক্তিদের সাথে বিবাহ দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে,সেজন্য তাদের চেষ্টা করতে বলবেন।

এক্ষেত্রে তারা চাইলে এলাকার ইমাম সাহেব,ও অন্যান্য দ্বীনদার ব্যাক্তিদের সহায়তা নিতে পারে।

এমতাবস্থায় প্রত্যাহ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে দোয়া করার পাশাপাশি দ্রুত বিবাহের আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবে। 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

অনলাইনে কিছু নির্ভরযোগ্য ম্যট্রিমনি সাইট আছে চাইলে সেখানে বায়োডাটা দিতে পারেন। ahliya, ordheekdeen এরকম আরো কিছু নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ম্যট্রিমনি টাইপ সাইট আছে। 
সেখানে বায়োডাটা দিলে ইনশাআল্লাহ পাত্র পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে পাত্রের সন্ধান পেলে সেক্ষেত্রে পারিবারিকভাবে আগাবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...