আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
495 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (115 points)
আমার এক ফ্রেন্ড দ্বীনদার।কিন্তু তার ফেমিলি মর্ডান। তার আর ও বড় এক ভাই আর বোন বাকি আছে।তারা অবিবাহিত।আমার ফ্রেন্ড এর ফেমিলি চায় সে যাতে ক্যারিয়ার গঠন করে।মানে নেভি,পাইলট,ডক্টর এসব কিছু হোক।কিন্তু ও ডক্টর না হলেও অন্যান্য সেক্টরে ওকে পরিক্ষা দিতে হবে।কিছু হওয়ার জন্য।  যা ও চায় না।মানে যেখানে ফিতনার আশংকা আছে+হারামে থাকার চান্স বেশি। তাই ও চাচ্ছে বিয়ে করে নিতে।কিন্তু ওর ফেমিলি ওকে এখন বিয়ে দিবে না।আর বিয়ে দিলেও এই মুহুর্তে দিবে না। আর আমার ফ্রেন্ড এর এক দ্বীনি ছেলে পছন্দ। কিন্তু ওর ফেমিলি এখন বিয়ে দিতে নাও পারে।কারণ মাত্র হসচ দিবে।কিন্তু এরফলে ওই ছেলের প্রতি তার পছন্দতা রয়ে গেল+ফিতনার আশংকা হলো।।এখন ছেলেটিকে সে হানাফি মাহযাব অনুযায়ী বিয়ে করতে পারবে?আর বিয়ে না করলেও ছেলের প্রতি যে পরে অনুভূতি জাগবে তাহলে সেটা কিভাবে কনট্রোল করবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো   বিবাহ পূর্ব  প্রেম স্পষ্ট আকারে হারাম।
ইসলাম এর কোনোভাবেই অনুমতি দেয় না।
বিবাহ পূর্ব  প্রেম বা ভালোবাসা হচ্ছে জিনা ব্যভিচারের প্রবেশপথ। 

ব্যভিচারের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, 

ولا تقربوا الزني إنه كان فاحشة وساء سبيلا 

‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ (সূরা: বনী ইসরাইল, আয়াত: ৩২)

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
কোনো মুসলমান যুবক-যুবতীর জন্য উচিৎ হবে না মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কোনো কাজ করা বা নিজ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া। মা-বাবাকে যে কোনো মূল্যে রাজি করিয়ে সিদ্ধান্ত নিন,নতুবা তাদের সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।তাদের অসন্তুষ্টিতে কোনো কিছু করা আপনার জন্য কখনো মঙ্গলজনক হবেনা।
এবং না হওয়াই যুক্তিসংগত।

আরো জানুনঃ 

,
এর পরেও যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাবা মার অনুমতি ব্যাতিত তাকেই বিবাহ করে,তাহলে এক্ষেতে
শরীয়তের বিধান মতে বিবাহ করলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

আরো জানুনঃ 
,
★আর যদি বিবাহ না করে,পরবর্তীতে উক্ত ছেলের প্রতি যে পরে অনুভূতি জাগবে তাহলে সেটা কনট্রোল করার পদ্ধতিঃ
পরিপূর্ণ দ্বীন মানবে,তার সাথে কোনো কথা,দেখা সাক্ষাৎ ইত্যাদি করা যাবেনা। আল্লাহর ভয়ে তার চিন্তা মাথায় আসতে দিবেনা।

তার চিন্তা মাথায় আসলেই ইস্তেগফার পাঠ করবে।
নামাজ কুরআন তেলাওয়াত যিকির আযকারে লিপ্ত হবে।
,
তার চিন্তা মাথায় আসে,এমন কোনো চিন্তা/কাজ কিছুই করবেনা।
যে জায়গায় গেলে তার চিন্তা আসে,যেটা দেখলে তার চিন্তা আসে,সেটা থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকবে। 
ইনশাআল্লাহ এ ভাবে কষ্ট করে চললে দূরে থাকা যাবে।   
     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 208 views
...