আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।শায়েখ একটা প্রশ্ন ছিলো।আরো কয়েকমাস আগে আমি একটা বিড়াল এডপ্ট নিয়েছিলাম এক আপুর থেকে। মূলত ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য বিড়াল টাকে নিয়েছিলাম। বিড়াল টা আনার আগে ওই আপু বলেছিলো যে ওর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কোনো টেনশন করতে হবে না। কিন্তু ওরে নিয়ে আসার পর এর বিপরীত টা হয়েছে,, বিড়াল টা ঠিকমতো খেতে চাইতো না+সারাক্ষন শুয়ে বসে থাকতো। এজন্য ওই আপুকে যোগাযোগ করেছিলাম যাতে ওনারা বিড়াল টা আবার ফেরত নিয়ে নেয়। কিন্তু ওনারা আমার মেসেজই সীন করেনি। এজন্য আমি পরবর্তীতে বিড়াল টাকে বাধ্য হয়ে রেখে দিয়েছি।এর দুই মাস পর বিড়াল ৫ টা বাচ্চাও হইছে। কিন্তু ওর খাদ্যাভ্যাস এর কারণে বাচ্চা গুলোও ঠিকমতো বড় হচ্ছেনা।এগুলো ছাড়াও আরো কিছু সমস্যার কারনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওকে দূরে কোথাও ফেলে রেখে আসবো এবং ওর যে বাচ্চাগুলো আছে সেগুলো প্রতিবেশীরা অনেকেই নিয়ে যাবে। কিন্তু ওরে কেউ নিতে চাচ্ছেনা।এমতাবস্থায় যদি ওরে বাইরে ফেলে রেখে আসি এবং ওর যদি কোনো ক্ষতি হয় এটার জন্য কি আমি গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
ago by (645,000 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি বিড়ালকে বাহিরে ছেড়ে দিয়ে আসতে পারেন। এতেকরে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...