আবু দাউদ শরীফের ৬০৩ নং হাদীসে এসেছে
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَلَا تُكَبِّرُوا حَتَّى يُكَبِّرَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَلَا تَرْكَعُوا حَتَّى يَرْكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " . قَالَ مُسْلِمٌ " وَلَكَ الْحَمْدُ " . " وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَلَا تَسْجُدُوا حَتَّى يَسْجُدَ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম এজন্যই নিয়োগ করা হয়, যেন তার অনুসরণ করা হয়। কাজেই ইমাম তাকবীর বললে তখন তোমরাও তাকবীর বলবে। ইমাম তাকবীর না বলা পর্যন্ত তোমরা তাকবীর বলবে না। ইমাম রুকু' করলে তোমরাও রুকু' করবে। ইমাম রুকু' না করা পর্যন্ত তোমরা রুকু‘ করবে না। ইমাম ‘‘সামিআলাহু লিমান হামিদাহ্’’ বললে তোমরা বলবে, ‘‘আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ’’। মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ ‘‘ওয়া লাকাল হামদ’’। ইমাম সাজদাহ্ করলে তোমরাও সাজদাহ্ করবে। ইমাম সাজদাহ্ না করা পর্যন্ততোমরা সিজদাহ্ করবে না।
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ فَلَمَّا جَلَسَ فِي آخِرِ صَلَاتِهِ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أُقِرَّتِ الصَّلَاةُ بِالْبِرِّ وَالزَّكَاةِ . فَلَمَّا انْفَتَلَ أَبُو مُوسَى أَقْبَلَ عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ قَالَ فَلَعَلَّكَ يَا حِطَّانُ أَنْتَ قُلْتَهَا . قَالَ مَا قُلْتُهَا وَلَقَدْ رَهِبْتُ أَنْ تَبْكَعَنِي بِهَا . قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَنَا قُلْتُهَا وَمَا أَرَدْتُ بِهَا إِلَا الْخَيْرَ . فَقَالَ أَبُو مُوسَى أَمَا تَعْلَمُونَ كَيْفَ تَقُولُونَ فِي صَلَاتِكُمْ إِنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَنَا فَعَلَّمَنَا وَبَيَّنَ لَنَا سُنَّتَنَا وَعَلَّمَنَا صَلَاتَنَا فَقَالَ " إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَرَأَ ( غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ) فَقُولُوا آمِينَ يُجِبْكُمُ اللهُ وَإِذَا كَبَّرَ وَرَكَعَ فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ " . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " فَتِلْكَ بِتِلْكَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ يَسْمَعِ اللهُ لَكُمْ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلي الله عليه وسلم سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَإِذَا كَبَّرَ وَسَجَدَ فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَسْجُدُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ " . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " فَتِلْكَ بِتِلْكَ
হিত্তান ইবনু ‘আবদুল্লাহ আর-রাক্বাশী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) আমাদের সলাত পড়ালেন। সলাতের শেষ দিকে তিনি যখন বসলেন, তখন দলের একজন বললো, নেকী ও পবিত্রতা অর্জনের জন্যই সলাত। সলাত শেষে আবূ মূসা (রাঃ) লোকদের দিকে মুখ ফিরিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে উপস্থিত লোকজন নীরব রইলো। তিনি পুনরায় বললেন, তোমাদের মধ্যকার কে এরূপ কথা বলেছে। বর্ণনাকারী বলেন, তখনও লোকেরা চুপ রইলো। হিত্তান বললেন, তিনি আমাকে বললেন, হে হিত্তান! সম্ভবত তুমিই একথাগুলো বলেছো। হিত্তান বললেন, না, আমি বলি নাই। অবশ্য আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে, এজন্য আপনি আমাকে শাস্তি দিবেন। হিত্তান বললেন, এক ব্যক্তি বললো, কথাগুলো আমিই বলেছি এবং শুধু ভাল উদ্দেশেই বলেছি। আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, সলাতের মধ্যে কি বলতে হয় তাকি তোমরা অবহিত নও? একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে খুত্ববাহ দিলেন। তাতে তিনি আমাদেরকে সলাতের পদ্ধতি ও সলাত শিক্ষা দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা সলাত আদায়ের ইচ্ছা করলে প্রথমে কাতারসমূহ ঠিক করে নিবে। অতঃপর তোমাদের একজন ইমামতি করবে। ইমাম তাকবীর বললে, তোমরাও তাকবীর বলবে, ইমাম যখন ‘‘গাইরিল্ মাগদূূুুবি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন’’ পড়লে তোমরা ‘‘আমীন’’ বলবে।
তবেই আল্লাহ তা কবুল করবেন। ইমাম তাকবীর বলে রুকূ‘ করলে তোমরাও তাকবীর বলে রুকূ‘ করবে। কারণ ইমাম তোমাদের পূর্বে রুকূ‘তে যাবে এবং তোমাদের পূর্বেই রুকূ‘ হতে মাথা উঠাবে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা তার বিকল্প। ইমাম ‘‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ্’’ বললে তোমরা তখন বলবে ‘‘আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল্ হামদ্’’। আল্লাহ তোমাদের একথা শুনবেন। কেননা মহান আল্লাহ তাঁর নাবীর যবানীতে বলেছেনঃ ‘‘সামি‘ আল্লাহু লিমান হামিদাহ্’’। অতঃপর ইমাম যখন তাকবীর বলে সিজদায় যাবে তখন তোমরাও তাকবীর বলে সাজদাহ্ করবে। ইমাম তোমাদের আগে তাকবীর বলবে এবং আগে সাজদাহ্ করবে। একথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা সেটার বিকল্প।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
ومتابعتہ لإمامہ فی الفروض أی بأن یاتی بہا معہ أو بعدہ ․․․․․․ فالمراد بالمتابعة عدم المسابقة ․ ردالمختار: ۲/۱۳۹، باب صفة الصلوة ، ط: زکریا۔
সারমর্মঃ
ফরজ এর ক্ষেত্রে ইমামের আনুগত্য তথা ইমামের সাথেই বা তার পরে করবে।
এখানে ইমামের আগে না হওয়া উদ্দেশ্য।
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 143101200024 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে ইমাম তাকবির শুরু করার সাথে সাথে মুক্তাদী নিজের তাকবির বলা শুরু করে দিবে।
,
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 69912 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে ইমামের রুকু সেজদার সাথেই মুক্তাদি রুকু সেজদায় চলে যাবে।
তবে কোনোভাবেই যেনো ইমামের আগে না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই ভাই বোন,
ইমাম রুকু থেকে উঠার তাসবিহ শুরু করার কিছুক্ষনের মধ্যেই মুক্তাদী রব্বানা লাকাল হামদ বলতে বলতে উঠবে।
এটা সুন্নাত।
আরো জানুনঃ