আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমি আগে কিছু  গুনাহের কাজে আসক্ত   ছিলাম। বিয়ের পর আল্লাহর নামে কসম করি যে আমি যদি কখনো ঐ গুনাহের করি তাহলে আমার বউ এক তালাক হয়ে যাবে। আর দুই তালাক বাকি থাকবে। এর পর আবার বিষয়টি বুঝতে পেরে আল্লাহর নামে যে কসমটি করি তা ভেঙে ফেলি কিন্তু কসম ভাঙার কোন কাফফারা দেই নাই। সেদিন আমি শুনলাম যে কাফফারা না দিলে কসম ভাঙে না। আমি কসম ভাঙার পর ঐ সব কাজ গুলো করে থাকি তাহলে আমার বউ কি এক তালাক হয়ে গেছে? আর এ কসমের ব্যাপার টা কাউকে জানানো হয় নাই।। এটা শুধু পাপ কাজগুলো থেকে ফিরতে করেছিলাম। আর যদি ঐসব কাজ দ্বারা এক তালাক হয়েও থাকে তাহলো কি করনীয়?এক তালাক মাঝখানে কোন এক সময় যদি হয়েও থাকে, আমি যেহেতু কসম ভাঙে দিয়েছিলাম। আমরা তো কখনো আলাদা হয় নাই এক সাথে ছিলাম। তাহলে নতুন করে বিয়ে করা বা বউকে জানানো এসব তো কিছুই করি নাই। এখন কি করনীয়?|

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/52124/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো, স্পষ্ট বাক্যে এক তালাক বা দুই তালাক দেয়ার পর স্বামীর অধিকার থাকে, স্ত্রীকে ইদ্দত তথা তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রাজআত করা তথা স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনা। এতে কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। 

কিন্তু যদি তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগে স্ত্রীকে ফিরিয়ে না আনা হয়, তাহলে স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে নতুন করে মোহর ধার্য করে বিবাহ করা আবশ্যক। নতুবা স্বামী স্ত্রী হিসেবে উভয়ের বসবাস করা জায়েজ নয়। (ফাতওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ-৯/৪৪১,২৪৫)

এক্ষেত্রে স্বামীর অধিকার আছে যে, স্ত্রীকে ইদ্দত তথা তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রাজআত করা (মৌখিক ভাবে বা স্বামীসুলভ আচরনের মাধ্যমে) তথা স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনা। এতে কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। 
,
তাই যদি ইদ্দত কাল শেষ না হয়ে থাকে,তাহলে স্বামী এক্ষেত্রে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে। 
,
কিন্তু যদি তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগে স্ত্রীকে ফিরিয়ে না আনা হয়, তাহলে স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে নতুন করে মোহর ধার্য করে বিবাহ করা আবশ্যক। নতুবা স্বামী স্ত্রী হিসেবে উভয়ের বসবাস করা জায়েজ হবেনা।
,
এক তালাকের পর ফিরিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ 

সুরা বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آَتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229)

"এ তালাক দু'বার, অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিসম্মতভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে। আর স্ত্রীকে দেয়া কোন কিছু ফেরৎ নেয়া তোমাদের পক্ষে উচিত নয়। তবে যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে (সে অবস্থায়) স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে (স্বামী থেকে) নিষ্কৃতি পেতে চাইলে তাতে (স্বামী-স্ত্রীর) কারো কোনো পাপ নেই। এসব আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর (নির্দিষ্ট) সীমারেখা লংঘন করে তারাই অত্যাচারী।" (২:২২৯)
,    

وفي الهندية : وإذا أضافه إلى الشرط وقع عقيب الشرط اتفاقا مثل أن يقول لامرأته: إن دخلت الدار فأنت طالق (ج ۱ ص ۴۲۰)
وفیہ ایضا : وليس للزوج أن يرجع في ذلك ولا ينهاها عما جعل إليها ولا يفسخ كذا في الجوهرة ( ج ۱ ص ۳۸۷).

সারমর্মঃ-
কেউ যদি তার স্ত্রীকে শর্ত যুক্ত তালাক দেয় সে ক্ষেত্রে শর্ত পাওয়া গেলে সর্বসম্মতিক্রমে তালাক পতিত হয়ে যাবে স্বামীর জন্য অধিকার নেই যে সে শর্ত উঠিয়ে নেবে বা ফসখ করে দিবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
তালাক দেয়ার পর তাহা আর বাতিল করা যায়না। তবে শরীয়ত সম্মত পন্থায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া যায়।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু স্পষ্ট বাক্যে শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছেন,সুতরাং এক্ষেত্রে সেই কাজ করে থাকলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।

এমতাবস্থায় আপনারা যেহেতু একসাথেই স্বামী স্ত্রী হিসেবে ছিলেন,ঘর সংসার চালিয়ে গিয়েছেন,সুতরাং এক্ষেত্রে রজ'আত হয়ে গিয়েছে।

তাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য নতুন করে আর কিছু করতে হবেনা।

সে আপনার বৈধ স্ত্রী, সুতরাং তার সাথে নিশ্চিন্ত মনে ঘর সংসার চলে যেতে পারেন।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...