আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

স্বপ্নে দেখছি আমি নানু বাড়িতে। আমার নানা রুমে আসলো। উনাকে একটু রাগান্বিত মনে হচ্ছিল দেখে। মনে হলো আমার উপরে ই রেগে আছেন। উনি একটু রেগে ই বলছিলেন যে কাল এখানে বৃষ্টি / ঝড় হবে। তখন আমার মনে পড়লো যে আমি তো আজ গোসল করিনি। বৃষ্টি/ ঝড় হলে তো কালও গোসল করতে পারব না। এজন্যই মনে হয় নানা আমার উপর রাগান্বিত।  এরপর আমার মনে হলো কাল কেও একজন আসবে। স্বপ্নের মধ্যেও স্বপ্নে দেখছি যে, গুটি কয়েকজন মিলে একটা লোকের কাছে চিঠি বা কিছু একটা দিচ্ছে।  সেই লোকটার মুখ পুরো হুজুরদের রুমালে আবৃত, ঠিক যেভাবে হামাসের মুখ ঢাকা থাকে ওমন। শুধু উনার মাথায়  সৌদীদের মত একটা চাকতির শেইপও আছে। কিন্তু উনার চোখ! সেটা  তো দেখা যাচ্ছিল না! সেখানে সাদা হয়ে ছিলো৷ মনে হয় আলো ছিলো। আর পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছিলো যেন সেই আশেপাশের লোক গুলো এই লোকটার কাছ থেকে বাইয়াত নিচ্ছে।  আর এই লোকটাইই ইমাম মাহদী। এটাই মনে হচ্ছিলো। আর যারা যারা বাইয়াত নিয়েছে তারা সবাই এই একই স্বপ্ন দেখছিলো। সবাই যেন একই বৈঠকে স্বপ্ন দেখছে এমন।
এরপর আমার স্বপ্নে দেখি। একজন ছেলেকে সবাই ঔ স্বপ্নে বাইয়াত নিতে দেখেছে। বাট সেই ছেলেটা স্বপ্ন দেখেনি তাই তার মন খারাপ। তাকে এই দলে নেওয়া হবে না, যতক্ষণ না সে স্বপ্নে বাইয়াত নিতে দেখে৷ কিন্তু সে ২-৩ দিনের মধ্যে স্বপ্নটা দেখবে৷ এমন কিছু অগোছালো জিনিস দেখি।
এরপর হুট করে ঘুম ভেঙে যায় আমার। কেনো জানি একটু অস্থির লাগছিলো। মালাকুল মউতের ভয় হচ্ছলো।  এরপর দেখি ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। আর ৩০ মিনিট বাকি

এরপর আমার হুট করে ই মনে পড়লো, যে আমার নানা তো নেই, মারা যাওয়া ১ বছর পার হয়েছে। আর বর্তমানে আমার ইমান আমল অনেকক বেশি দূর্বল।  অনেক বেশি।
এর কি কোনো ব্যাখ্যা আছে?

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে। 

তদুপরি ঈমানের উপর অটল অবিচল এবং সুন্নাহ মোতাবেক নিজের জীবনকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে সাজিয়ে আমলের উপর ইস্তেকামাতের সাথে থাকার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...