আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)

السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
সম্মানিত উস্তায।
১. আজকে সকাল ১১.৪৫-১২.২০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখন আমি স্বপ্নে দেখি আমি আমাদের বাড়ির সামনে কল পাড় দাড়িয়ে আছি তখন কেউ একজন এসে আমাকে অনেকগুলো বড়ো বড়ো পাতা দিয়ে বললেন, দাজ্জাল আসবে শীঘ্রই। এই পাতাগুলো প্রত্যেকের কাছে একটা করে রাখবে। তাহলে দাজ্জাল বেশি ক্ষতি করতে পারবে না। আমাকে কে পাতা দিয়েছে তা মনে নেই। পাতাগুলো  ছিল বহোই বা সেগুন পাতার মতো বড়ো, পাতার ডাট ছিল অনেক লম্বা, টাইপ অব কচু পাতার মতো লম্বা ডালের সাথে বড়ো পাতা।
আমি পাতাগুলো বাসায় না এনে সেই কলপাড়ই রেখে দিয়েছি। খুব একটা গুরুত্ব দেইনি।
এরপর আমি আমার বাসার একটু দূরে গিয়েছি সেখান থেকে আসতেছি পথিমধ্যে আমার দূরসম্পর্কের এক বয়স্ক ফুফুর সাথে দেখা করতে গিয়েছি। ফুফুর সাথে দেখা করে রাস্তায় চলে আসছি তখন ফুফুর নাতি দৌড়ে এসে বলে আন্টি কেমন আছেন? ওর সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে বলি, জানো! দাজ্জাল আসবে। আমার কাছে এক প্রকারের পাতা আছে তুমি বাসায় এসে নিয়ে যেও।
এরপর সেখান থেকে চলে আসি।
বাসায় এসে দেখি আমার বড়ো আপুরা একটি সাদা বোতলের মধ্যে লাল কালারের কর্ক ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছে বাসায়। বড়ো আপু ভাইয়ার সাথে কথা বলবে, কিন্তু ভাইয়া একটু বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন, কেননা বড়ো আপু ক্ষতি করছে এরকমটা ধারণা করছিলাম স্বপ্নে
এরপর ভাইয়ারা জুমুআ ছ্বলাত আদায় করতে যাবেন তখন আব্বার সাথে কী নিয়ে যেন তর্ক করছেন ভাইয়া। আমি খুব অবাক হয়ে মনে মনে বলতেছিলাম, ভাইয়া এভাবে তর্ক করছে কেন? কি হয়েছে ভাইয়ার?
এরপর আমি আবার কল পাড় যাই, সেখানে আমার সিনিয়র ২-৩ জন দ্বীনী বোন আসেন। তাদের লেবাস পরিপূর্ণ পর্দায় আবৃত ছিল না। পাশ থেকে কেউ একজন নাম ধরে বলে ঐ আপুর বয়ফ্রেন্ড আছে, রিলেশনশীপ এ আছেন। আমি বলি এটা আমি আগে থেকেই জানি আগেও দেখেছি। ঐ (বর্ণনা দিয়ে) ছেলেটা না আপুর বয়ফ্রেন্ড? 
এরপর মনে মনে বলি আর কাউকে বিশ্বাস নেই। সব বিশ্বাস যেন ভেঙে গিয়েছে।
.
এরপর দেখি আমার ভাইয়ের মেয়ে কলপাড় এসে আমার গলা ধরে জিজ্ঞেস করতেছে, উপি! এগুলো কিসের পাতা? আমি ওকে বলি, আম্মা এগুলো দাজ্জাল থেকে বেচে থাকার পাতা। একজন দিয়ে গেছে।
এরপর আমার ভাইয়া, ভাইয়ার ছেলে মেয়ে দুজনই নামাজ পড়তে চলে গেছে খুব তাড়াহুড়ো করে।
আমি বাসায় এসে দেখি ভাবি খুব কান্নাকাটি করতেছে। কষ্ট পেয়েছে খুব, আমি ভাইয়ের মেয়েকে যা বলেছি সেটা ভুল বুঝছে নিজের মতো করে।
তো আমিও একটু সিরিয়াস হয়ে ভাবছি,  নাহ আজকে আমাকে সঠিকটা বলতেই হবে, চুপ করে আর থাকা যাবে না, এভাবে সবসময় ভুল বুঝে কষ্ট পেলে হবে না।
এরপরই দেখি সবাই নামাজ পড়ে চলে আসছে। আার ভাইয়ের মেয়ে এসে আমার পিঠে উঠে গলা ধরে  খেলতেছে আর ওর মাকে দেখাচ্ছে। তখন দেখি ভাবিও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এরপর ভাবছি এ বিষয় নিয়ে আর কথা বলব না। স্বাভাবিক তো হয়েই গেছে, কথা বলতে গেলেই ঝামেলা হবে হয়ত।
.
এরপর দেখি কেউ একজন এসে বলতেছে দাজ্জাল চলে এসেছে বা আসতেছে, এটা শুনে বাসার সবাই সেই পাতা থেকে একটি করে নিয়েছি। এরপর আরও ২-৩ জন নিতে আসে পূর্বে বলেছিলাম আমার ফুফুর নাতি কিন্তু তাদের দিতে পারিনি। তখন যে ব্যক্তি পাতা দিয়েছিল তাকে খুজছিলাম মনে মনে.

এরপর দেখি দাজ্জাল আসতেছে শুনে আমার কেমন ভয় লাগছে। আর আল্লহর কাছে দুয়া করছি দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য। তখন আমার পরীক্ষা চলছিল। আর কয়েকটা পরীক্ষা বাকি। আমি মনে মনে খুবই হতাশা ফিল করছি আর তাওবা করছি, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল সোশ্যাল প্লাটফর্ম থেকে চিরতরে লিভ নিব আমার পরীক্ষার পরে, আর কয়েকদিন পরেই যেহেতু সেমিস্টার শেষ হয়ে যাবে। আর IOM এর ক্লাস শেয়ার অন্য বোনেরা করবে,আমি শুধু আলিমে পড়ব মনোযোগ দিয়ে, টেলিগ্রাম,জুম ব্যবহার করব শুধু। আর পৃথিবীর খোজ খবর নিতে 'মাহফিল' এপ ব্যবহার করব প্রয়োজন হলে হিকমাহ একাউন্ট খুলে নিব।
আমার খুব মন খারাপ হচ্ছিল, মেইবি কান্না করছিলাম এটা ভেবে, আমি তো এখনই প্রস্তুত না, আমার ঈমান তো নড়বড়ে। আর দুয়া করছিলাম আমি যেন একজন সাচ্চা ঈমানদার হতে পারি এরপরই ঘুম ভেঙে যায় তখন দুপুর ১.১০ বাজে। 

বি.দ্র. আজকে জুমুআ ছিল। স্বপ্নেও দেখেছি আজকে জুমুআ। স্বপ্নে যে সময়টা দেখেছি বাস্তবেও আমি সে সময়ই ঘুমিয়েছি। স্বপ্নেও আমি হায়েজরত ছিলাম, বাস্তবেও হায়েজরত আলহামদুলিল্লাহ। স্বপ্নে দেখেছি আমার পরীক্ষা চলছে, বাস্তবেও আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। স্বপ্নে দেখেছি আমি সি আর হিসেবে আছি ক্লাস করছি। কিন্তু বাস্তবে আমি নতুন ব্যাচে কেবল ভর্তি হয়েছি, ক্লাস এখনও শুরু হয়নি। তবে পূর্বে আলিম কোর্সে ছিলাম, সি আর হিসেবে সিলেক্ট হওয়ায় ক্লাস শেয়ার করা হতো।

উস্তায আমি দাজ্জালকে ভীষণ ভয় পাই। এ স্বপ্নে আমাকে কী কী ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? এখানে আমার করণীয় কী?

২. গতোপরশুদিন স্বপ্নে দেখি আমি বাসার পাশে কোথাও যাচ্ছি পর্দা করেই। যাওয়ার পথে একটা ছোট খালের পাড়ে আমার ভার্সিটির দুজন জুনিয়র সাথে একটা পিচ্চি মেয়ে মাছ ধরতেছে, শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ। আমিও ওদের কাছে গিয়ে বলি দেন আমি মাছ ধরে দেই। এরপর ওদের থেকে বড়শি নিয়ে মাছ ধরতে ছিলাম খাল থেকে।  আমি বড়শি পাতার সাথে সাথেই মাছ পাচ্ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। এভাবে অনেক মাছ ধরতেছিলাম। ওরা দেখে বলছে আপু এতো মাছ কিভাবে ধরতেছেন? আমরা তো পাচ্ছি না। ওদের বলতে ছিলাম ছোট বেলায় আমি প্রচুর মাছ ধরেছি বড়শি দিয়ে। একবারে ৭১/৮০/১০০ টা করেও মাছ ধরতাম।
.
মাছ ধরতে ধরতে আসরের আজান হয়। তো ওদের মধ্যে একজন সাথে সাথেই পাশে ছ্বলাত আদায়ের জন্য দাড়িয়ে যায়।
আমিও অনেকগুলো মাছ ধরে দিয়ে আসার সময় বলেছি, মাছ ধরতে হলে আমাকে বলবেন আমি মাছ ধরে দিব ইংশাআল্লহ

.
এরপর দেখি আমরা বাড়ি থেকে ঢাকায় যাব বা গুরুত্বপূর্ণ কোথাও যাব যেটা অনেক দূরে। আমার মা লঞ্চে অলরেডি চলে গিয়েছে। আমি আর ভাবি কেবল যাচ্ছি পথে এখনও। এরপর আমার ভাবি পথিমধ্যেই খাবার বাটি বের করে খাবার খাওয়া শুরু করেছে রাস্তায় বসে। গরুর গোস এবং ভাত খাচ্ছিেেন। কিন্তু উনি বসে বসে খাবার খেয়েই যাচ্ছেন। এদিকে লঞ্চ ছেড়ে দিবে সে টেনশন।  আমি শুধু হাঁটাহাঁটি করছিলাম কিন্তু ভাবিকে কিছু বলছিলাম না। আবার ভাবতেছিলাম আমরা কী তাহলে পরের লঞ্চে একা একাই যাব এরপরই ঘুম ভেঙে যায় রাত ২.৪৯ এএম এ।

এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী হবে উস্তায?
جزاك الله خيرا في الدنيا والأخرة

1 Answer

0 votes
ago by (643,650 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩) শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।( সহীহ বুখারী-৭০১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দাজ্জাল ইমানদারদের জন্য শত্রু। স্বপ্নে দাজ্জাল দেখার অর্থ সমাজে বিপর্যয় নেমে আসা। আপনি সাধ্যানুযায়ী দান সদকাহ করবেন।এবং নফল ইবাদত করবেন। সূরা কাহাফ বেশী তিলাওয়াত করবেন।সম্ভব হলে  সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (25 points)
উস্তায ২ নাম্বার স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা হয়নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...