ভর্তি হওয়া নকল করে

Question

একজন ভাই একটা এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করেছেন। তো বিদেশি ইউনিভার্সিটি   এজেন্সির মাধ্যমে পরিক্ষা নেয়। তো পরিক্ষা নেয়ার সময় এজেন্সি অই ভাইকে প্রশ্ন দিয়েছে আর সাথে সাথে উত্তর দিয়েছে জেন ভুল খুবই কম হয়। ভাই প্রথমে নকল না করে ১০০ তে ৬৫ এর কাছাকাছি ঠিক উত্তর করেছেন। তবে এই নাম্বার এ চান্স হবেনা ভেবে উনি উত্তর দেখে লিখে অনলাইনে জমা দেন। এই পরিক্ষা সাধারনত জেইভাবে online এ হয় অভাবেও হইনি। মানে ওদের অভভাশ হোল- ভাই তুমি ভর্তি হবা। তোমাকে ভর্তি করার জন্য জা লাগে করব। নকল টাইপ। লিখিত পরীক্ষায় টিক্লে ভাইভা হয়।ভাইভা তে পাস না করলে চান্স হবেনা।  এখন অই ভাই কি ওই ইউনিভারসিটি তে ভর্তি হতে পারবেন যদি টিকে জান। উনার অনেক ইচ্ছা অইখানে জাওয়ার কিন্তু উনি ত পরিক্ষায় দেখে লিখসেন।
অই এজেন্সির কাছে সীট বরাদ্দ থাকে ছাত্র নেয়ার জন্য। সবাই এইভাবেই সাধারনত পরিক্ষা দেয়। তারাও মানে এজেন্সিও সাহায্য করে।
১।ভর্তির সুজগ পেয়ে ভর্তি হলে কি গুনাহ হবে?
 ২।আর তাও যদি ভর্তি হয় তখন ক্লাস করতে গেলে, হোস্টেল এ ধুক্তে গেলে জেগুলার জন্য উনার বাবা টাকা  দিবেন। সেইগুলাতে বিসমিল্লাহ বলে ঢুকলে কি গুনাহ হবে? অইখানে পরালেখা করলে কি প্রতিনিয়ত গুনাহ হতে থাকবে?ক্লাস এ ঢুকলে কি গুনাহ হবে? ভাইটি নকল করতে চান নি। কিন্তু আসলে  স্বাভাবিক পরীক্ষার seriousness লেভেল ছিলনা বলে উনি এইতা করে ফেলসেন। আমরা পরিক্ষা হল এ গেলে যেমন একজন  গারড থাকে যে আমাদের monitor করে অমন পরিস্থিতি ছিলনা তাই যারা দীন মানেনা তারা একটা chance পেয়ে করে ফেলসে। আর অই ভাই করতে চান নাই। কিন্তু করে ফেলসে। এমনকি ২ ঘন্তার পরিক্ষা ৪ ঘন্তাই দিসেন। কারন টাইম এর কথা খেয়াল ইই নাই। এই পরিক্ষা টা এমন ভাবে হইসে এভাবেই অন্ন ছাত্ররাও করসে। একজন বলল যে এই পরিক্ষা গুলা কেবল formality র জন্য। চান্স এজেন্সি পাওয়ায় ছাড়বে?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য। নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।

অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )

যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী এভাবে ঘুষ দিয়ে ভর্তি হওয়াটা অনুচিত ও গর্হিত কাজ। তবে কেউ ভর্তি হওয়ার পর যথাযথ পড়ালেখা করার পর কোনো চাকুরীতে জয়েন হলে, এবং যথাযথ কাজ করলে,  তখন ইনকাম নাজায়েয হবে না।

Comments

সায়েখ, উনি ঘুষ দিয়ে ভর্তি হচ্ছেন না। উনি ভর্তি পরীক্ষায় নকল করছেন। এমতাবস্থায় ভর্তি হওা কি জায়েয?
আর ভর্তি already হয়ে গেলে নিয়ম অনুশারে নিজের টাকা দিয়ে। সেখানে হালাল জিনিস পরলে কি গুনাহ হবে ?

---

সায়েখ 
একজন ব্যাক্তি এইভাবে করে university তে ভর্তি হয়ে গেসে। সে আর কোন দীন এই কাজ করবেনা। এখন সে যে university তে পরতেসে নিজের টাকা দিয়ে। অই দেশে গিয়েছে student visa নিয়ে। অইখানে পরালেখা করা, থাকা, খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলা। খাবার শেষে Alhamdulillah বলা, এইগুলা করলে কি গুনাহ হবে?

কারন উনি ইউনিভার্সিটি বা অই দেশে গিয়েছেন উপরে বলা পদ্ধতিতে।  আবার উনি থাকছেন অইখানে নিজের টাকা দিয়ে। পরতেসেন নিজের টাকা দিয়ে।
উনি কি এভাবে গুনাহগার হবেন?