ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বান্দা যত গোনাহই করুক না কেন, বান্দা তাওবাহ ইস্তেগফার করে নিলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা যুমার-৫৩)
তাওবাহ করলে আল্লাহ সকল প্রকার গোনাহকেও ক্ষমা করে দেন। তাওবাহ করার পর নেক কাজ করলে, আল্লাহ তা'আলা পূর্বে গোনাহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা ফুরকান-৬৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) বান্দা তাওবাহ করে নিলে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে না।
(২) কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করে নিলে ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।
(৩) বান্দা তওবা করে নিলে আল্লাহ তওবা কবুল করে নিবেন।
(৪) অতীতের কাজের উপর লজ্জিত হয়ে বর্তমানে পরিত্যাগ করে ভবিষ্যতে না করার দৃঢ়সংকল্প করার নামই তাওবাহ।
আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, এগুলো আপনার অনিচ্ছাকৃত হয়ে থাকে। এবং এগুলো ওয়াসওয়াসার কারণেই হচ্ছে। তাই আপনি নিম্নোক্ত লিংকে বর্ণিত লিখাটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।