আসসালামু আলাইকুম , আমার সাথে প্রায়ই এমন কিছু ঘটে, যার দরুন নিজেকে মুনাফিক মনে হক্য, আমাকে দয়া করে উত্তর দিবেন এগুলা মুনাফিকের লক্ষন নাকি?
১. আমি মিথ্যা বলতে না চাইলে এমন ভাবে উত্তর দেই, যেটা মিথ্যা নয় কিন্তু আসল সত্য গোপন থাকে, এটা প্রায়ই হয়। যেমন: আমার সন্তানকে কেউ পশুপাখির ছবি আকা জামা দিলো এবং সাথে চকলেট দিলো, তো আমি জামাটা লুকিয়ে ফেলে, আমার সামিকে বল্লাম ওরা চকলেট দিয়েছে, জামার কথা জানতে পারলে তিনি ওই জামা সন্তানকে পড়াতে চাইবেন। তাই আমি আড়ালে নষ্ট করে ফেলি।
এটা কি মুনাফিকের লক্ষন?
২. আমি নন মুসলিম দেশে আমার সামি সন্তান সহ বাস করি, আমি জানি এইদেশে থাকা উচিত না। কিন্তু এখানে আমি অনেকটাই নিজের মতো করে সংসার সামলাতে পারছি। দ্বিনি ইলম আমার পরিবারে কম থাকায় এখানে আমার জন্য দ্বিন পালন সহজ হয়, যেমন টিভি না রাখা, বিশেষ কোনো দিবস উদযাপন না করা। এইভাব্র আমি আমার বাচ্চাকে যথাসম্ভব ফিতনা থেকে বাচানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু দেশে গেলে হয়তো পরিবারের জোর জবরদস্তিতে আমি তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু এখানে আমার সামি মসজিদে যায়, আমি বল্লেও যায় না, দেশে থাকলে হয়তো যেতো (আল্লাহু আলাম)। কিন্তু তবুও আমি আমার এবং আমার সন্তানের সার্থে এখানে থেকে যেতে চাচ্ছি, এটা কি মুনাফেকি ?
৩. সফরে গেলে নামাজ কসর পড়া নিয়ে আমার আনন্দ হয়, বিশেষ করে যোহরের ১০ রাকাত নামাজকে ২ রাকাত পড়া যায় তাই। কারন , শিশু থাকায় আমার লম্বা সময় নামাজে প্রায়ই ব্যাঘাত ঘটে , এটা কি মুনাফেকি?
৪. আমার সামি নিয়মিত নামাজ আদায় না করা সত্তেও আমি তাকে ভালোবাসি কারন সে পরিবারের প্রতি যত্নশীল। নিজে দ্বিন পরিপুর্ন ভাবে না মানলেও, আমার দ্বিন পালন নিয়ে সে সহনশীল। আর আমিও তাকে ভালোবেসে দ্বিনের পথে ডাকতে চাই, তার প্রতি মায়া কমাতে পারি না। এটা কি মুনাফেকি?
৫. কখনো কখনো নামাজের মধ্যে মনে হয়, অজু ভেঙে গেলো, কিন্তু আমি সম্পুর্ন নিশ্চিত না থাকায়, নামাজ চালিয়ে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে খুবি অসস্তি লাগে, তাই কখনো কখনো ২-৩ দিন পর আবার ওই নামাজ কাযা করি, কিন্তু আমি যে ওয়াক্তের মধ্যে ওই নামাজ আবার আদায় করলাম না, এটা মুনাফেকি?
৬. আমার এক আত্মীয়ের হারাম হালাল মেশানো ব্যাবসা , যার মধ্যে হালাল টাই বেশি, আমি তার থেকে উপহার গ্রহন করি এবং দাওয়াত নেই, মনে মনে এই নিয়ত করে যে এটা হালাল থেকেই নিচ্ছি। এটা কি মুনাফেকি?
৭. আমার পরিবারে ফ্রি মিক্সিং খুবি নরমাল ব্যপার। কেউ বাসায় বেড়াতে আসলেও ফ্রি মিক্সিং করে। আমি তাদের মধ্যের মহিলাদের আলাদা খেতে বলি আমার সাথে বেডরুমে বসে, কারন আমার বাসায় উভয়পক্ষের জন্য আলাদা সুন্দর ভাবে খাবার ব্যবস্থা নেই, তাই মেয়েদের আমাদের বেডরুমে খেতে হবে আলাদা খেতে হলে, কিন্তু তারা তা করতে চায় না অনেক সময়, এই ক্ষেত্রে আমি তাও তাদের আপ্যায়ন করি, কারন আমার আশে পাশের দ্বিন মানে কিন্তু ফ্রি মিক্সিং থেকে বেচে থাকার মতো মানুষ কম আছে। এটা কি মুনাফেকি?