আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়েখ।

শায়েখ, আমি প্রায়ই স্বপ্নে দেখি যে আমি অপরিচিত রাস্তা দিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছি। বেশিরভাগ সময় স্বপ্নে আমার সাথে আমার মা থাকেন। আমি আম্মুর সাথে রিকশায় বা হেটে বা বিভিন্ন ভাবে অনেক অপরিচিত জায়গায় যাই।

কখনো দেখেছি, হিন্দুদের বাড়িতে গেছি, কখনো দেখে অপরিচিত জায়গায় যেতে যেতে হঠাৎ এক এক বাড়ি, সেখানকার মানুষজনের জীবন যাত্রা একটু আলাদা সবার চাইতে, আর কি সব যেন বিক্রি করছিল তারা, আমি কিছু কিনেছিও হয়তো এমন দেখেছি।
বা কখনো দেখি যে আম্মুর সাথে রিকশায় কোথায় যেন যাচ্ছি আর যাচ্ছি, বা হাটছি তো হাটছি...।

এরকমও দেখি যে অপরিচিত বনে যেয়ে ফেরার রাস্তা আর পাচ্ছি না, বনের ভেতর হাটতে হাটতে কোনো রকম মেইন রাস্তা খুজে পেয়েছি। সেসব স্বপ্নে কখনো শত্রু তারা করছে এমনও দেখেছি।
মানে এই স্বপ্নগুলো অনেক বেশি পরিমাণে দেখি।

আর শায়েখ স্বপ্নে অনেক অপরিচিত বাড়িও দেখি। বড় বিল্ডিং, এক তলা বিল্ডিং, ছাপ্রা ঘর, মাটির ঘর, টিনশেড ঘর সহ বিভিন্ন রকম বাড়ি দেখি একেকদিন একেক স্বপ্নে। সেসব বাড়িতে গেছি... তারপর কি কি যেন বেশিরভাগই এখন মনে নেই। এমন দেখি না যে ঘর আমি বানাই, বা আমার জন্য বানাচ্ছি, অলরেডি বানানো ঘর দেখি, সেখানে যাই....
কোনো বাড়িতে ঢুকে আমার ঘর কোনটা হবে সব রুম ঘুরে ঘুরে আমার রুম কোনটা হবে আমি ঠিক করে নিচ্ছি।
এরকমও দেখেছি যে একটা রুম থাকার জন্য পছন্দ হয়েছে, কিন্তু ওই রুমের জানালা/বারান্দায় দাড়ালে কবরস্থান দেখা যায়, তাই ভয় পেয়ে সে রুমটা আর নিচ্ছি না অনেকটা এমন ও দেখেছি হয়তো।
শায়েখ, এরকম এতো বেশি পরিমাণে অপরিচিত রাস্তা, বাড়িঘর দেখার কারণ বা ব্যখ্যা কি হতে পারে?

জাজাকুমুল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
ago by (612,450 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে, সুতরাং কোন সমস্যা নেই।

নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা হবে না।

পরামর্শ থাকবে, প্রত্যহ রাতে ঘুমানোর আগে তিন কুল তিনবার করে পড়ে হাতে ফুক দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে দিবেন এবং আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...