আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম,

ওজু অবস্থায় কাজ করার সময় আগুনে হাতে লোম সামান্য পুড়ে গেছে এবং পুড়া গন্ধ পাওয়া গেছে, সেক্ষেত্রে কি ওজু তে কোন সমস্যা হবে? এর পরে নামাজ ও পরে ফেলছি। এখন সন্ধেহ হওয়ায় জিজ্ঞেস করা?

যদি ওজু নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে নামাজ পড়ার কারনে কোন কাফফারা দিতে হবে?

জাজাকাল্লাহু খাইরন।

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওজু ভঙ্গের মৌলিক কারণ ১২টি।
(১) মলদ্বার ও মুত্রদ্বার থেকে যা কিছু বের হয়,তবে বিশুদ্বতম অভিমত অনুযায়ী, মুত্রদ্বার থেকে নির্গত বায়ুর কারণে ওজু ভঙ্গ হবে না।
(২)রক্তক্ষরণ ব্যতিরেকে সন্তানের জন্ম।
(৩)মুত্রদ্বার ও মলদ্বার ব্যতীত অন্য কোন স্থান থেকে প্রবাহিত নাপাক বস্তু,যেমনঃরক্ত,পুজ।
(৪)খাবার,পানি,জমাট রক্ত,অথবা পিত্তপানি,মুখভরে বমি করা।
(৫)থুথুমিশ্রিত রক্ত,যা পরিমাণে থুথুর চেয়ে বেশী হয় অথবা থুথুর সমপরিমাণ হয়।
(৬)এমন নিদ্রা যার ফলে নিতম্ব ভূমিতে স্থির থাকে না। 
(৭)ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত হওয়ার পূর্বে তার নিতম্ব উপরে উঠে যাওয়া,এতে যদি সে পড়ে নাও যায়,তথাপি ও তার ওজু ভেঙ্গে যাবে।
(৮)বেহুঁশ হয়ে যাওয়া।
(৯)উন্মাদ হয়ে যাওয়া।
(১০)নেশাগ্রস্ত হওয়া।
(১১)রুকু সিজদা বিশিষ্ট নামাযে প্রাপ্তবয়স্ক জাগ্রত ব্যক্তির অট্টহাসি।
(১২)কোন আবরণ ব্যতিরেকে দণ্ডায়মান পুরুষাঙ্গ দ্বারা যোনি স্পর্শ করা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5744

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অজু অবস্থায় কাজ করার সময় আগুনে হাতের লোম পুড়ে গেলে এতেকরে অজুতে কোনো সমস্যা হবে না। অজু ভঙ্গ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...