হায়েয নাকি ইস্তিহাযা ধরে নিবো

Question

আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্নটি আগেও করেছি আমি প্রশ্নে স্পষ্টভাবে ডিটেইলস বলেছিলাম যাতে বুঝতে সুবিধা হয়। কিন্তু বুঝাতে পারিনি আফওয়ান তাই আবার করছি। আমি দুইটি ঘটনা উল্লেখ করছি। এই দুইটি ঘটনার মধ্যে কোনটা পিরিয়ড আর কোনটা ইস্তিহাযা এই ব্যাপারে আমি জানতে চাচ্ছি ইনশাআল্লাহ৷
প্রথম ঘটনা:
আমার ৪মাস ধরে পিরিয়ড অফ ছিলো। কিন্তু ২৪ রমাদানের দিন আমি টিস্যুতে ছোটো তিল পরিমাণ লাল দাগ দেখতে পাই। সেটার সাথে কোনো স্রাব ছিলো না। এটা রক্ত ছিলো নাকি শুধু টিস্যুতে থাকা কোনো দাগ সে বিষয়ে আমি শিউর নই। কারন টয়লেট টিস্যু গুলোতে এমনিতেই এমন দাগ থাকে। ২৬ রমাদানের মধ্যরাতে মানে ২৭ রমাদানের রাতে ২৮তারিখে আমি শুধু একবার হাল্কা রক্ত দেখি টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করার সময়। এরপর আবার সাদাস্রাবই দেখি আর কোনো রক্ত যায়নি বা স্রাবের সাথেও কিছু যায়নি। পিরিয়ডের ব্লিডিং এর মতো কোনো স্মেলও ছিলো না। এখন এটাকে কি আমি ইস্তিহাযা ধরে নিবো নাকি পিরিয়ড?
দ্বিতীয় ঘটনা:
ঈদের পর ৮ তারিখে আমি স্রাবের সাথে রক্ত দেখতে পাই। এবং ১১তারিখ পর্যন্ত তা স্থায়ী থাকে। এই সময়ের ব্লিডিং ছিলো পিরিয়ডের ব্লিডিং এর মতোই। তাই এটাকে হায়েয ধরে নিয়েছিলাম আমি।
এখন আমার মূলত কনফিউশান প্রথম ঘটনা নিয়ে। সেটা কি ইস্তিহাযা ছিলো নাকি হায়েয তা বুঝতে পারছিনা৷ কারন প্রথমবার টিস্যুতে তিল পরিমান লাল দাগ দেখেছি, তা দাগ ছিলো নাকি রক্ত ছিলো তা আমি জানি না। আমার কাছে এমনি টিস্যুতে থাকা কোনো দাগ মনে হয়েছে কিন্তু এই ব্যাপারে আমি ১০০% শিউর নই। তাই আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি। কারণ টিস্যুতে সেটা কেবল দাগ হয়ে থাকলে প্রথমবারের ঘটনাটা ইস্তিহাযা গন্য হবে। আর দ্বিতীয় বারের ঘটনায় যা আমি পিরিয়ড ধরে নিয়েছি তা সঠিক হবে।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

https://www.ifatwa.info/78

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.

«الفتاوى الهندية» (1/ 37)

মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রথম ঘটনা

যেহেতু তিনদিন তিন রাত রক্তস্রাব যায়নি, তাই এটা ইস্তেহাযা।

দ্বিতীয় ঘটনা

যেহেতু এটা তিনদিন তিনরাত গিয়েছে, তাই এটা হায়েয।