আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। বিবাহ প্রসঙ্গে একজন আল্লাহর বান্দা প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। আমি তাকে জানিয়েছি ইস্তেখারা সালাত আদায় করে জানাবো ইং শা আল্লাহ্। এরপর উনার পক্ষ থেকে এই উত্তরটা আসে-
আপনি আল্লাহর ওলী মানুষ,
আপনার ইস্তিখারা কল্যানময় হোক।
মানুষের যে কোন আমল কবুল হওয়ার জন্য ৫ টি শর্ত প্রয়োজন।
এগুলোর কোন একটি শর্ত,
আমাদের না জানা বা না মানার কারনে,
আল্লাহর পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ ইস্তিখারার ফায়দা হাসিল করতে পারি না অনেকক্ষেত্রেই।
তবে, নির্দিষ্ট রোগের বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসার জন্য যেমন বিশেষ উপকৃত হওয়া যায়।
ঠিক তেমনিভাবে,
আল্লাহতায়ালা, হক্কানি উলামায়ে কেরামের ছহী ইলমের(আমানতের) ভিতর,
বিবাহ কল্যানময় হওয়ার বিষয়গুলো,
অগ্রীম জানিয়ে রেখেছেন।
আমাদের কাজ শুধু তাদেরকে পাত্র/পাত্রীর অবস্থা জানিয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সেই পাওনাটুকু বুঝে নেয়া, সঠিকভাবে উপকৃত হওয়ার স্বার্থে।
কারন, সব পাত্রপাত্রীর বিবাহের ফায়সালা এক রকম নয়।
(যেমনিভাবে নাপা, সব ধরনের জ্বরের কার্যকরি ঔষধ নয়)
আপনি স্বপ্নের মাধ্যমে ফায়সালা পেলেও ব্যাখ্যার জন্য তাদের দ্বারস্থ হতে হবে।
কারন, একই স্বপ্ন ব্যক্তিভেদে ব্যাখ্যা ভিন্ন হয়,
আর সঠিক আলিম ছাড়া সঠিক ব্যাখ্যাও পাবেন না।
নিম্নের ছবিটিও দেখতে পারেন-
আপনার মধ্যে বিনয়ীভাব রয়েছে,
এজন্য কথাগুলো বললাম, হয়তো আপনার কাজে লাগতেও পারে।
আলিমদের সাথে পরামর্শ করা, না করার ফায়দা বিষয়ক কিছু কথা, অনুমতি পেলে জানাব, ইনশা-আল্লাহ।
ইমেইলের উত্তর প্রদান করার জন্য,জাযাকাল্লহু খইরন/ধন্যবাদ।
তারপর একটি ছবি দেন ছবিতে যা লিখা ছিল আমি হুবহু তাই তুলে দিচ্ছি......
দু'আ-দুরূদ
বি. দ্র. এক হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কাজের ইচ্ছা করলে এই দু‘আ পড়তেন,
اللَّهُمَّ خِرْ لِي، وَاخْتَرْ لِي
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার জন্য কল্যাণের ফয়সালা করো এবং কল্যাণকর বিষয় নির্বাচন করো। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৩৫১৩)
ইস্তিখারার পর স্বপ্নে কিছু দেখা জরূরী নয়; বরং যে দিকে মন ধাবিত হবে সেটাকেই পরামর্শক্রমে কল্যাণকর মনে করা উচিত। উল্লেখ্য, শরী‘আতে পরামর্শের গুরুত্ব ইস্তিখারার চেয়ে অধিক।
তথ্যগুলো কতটুকু সঠিক?