আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। বিবাহ প্রসঙ্গে একজন আল্লাহর বান্দা প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। আমি তাকে জানিয়েছি ইস্তেখারা সালাত আদায় করে জানাবো ইং শা আল্লাহ্। এরপর উনার পক্ষ থেকে এই উত্তরটা আসে-

আপনি আল্লাহর ওলী মানুষ,

আপনার ইস্তিখারা কল্যানময় হোক।


মানুষের যে কোন আমল কবুল হওয়ার জন্য ৫ টি শর্ত প্রয়োজন।

এগুলোর কোন একটি শর্ত,

আমাদের না জানা বা না মানার কারনে,

আল্লাহর পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ ইস্তিখারার ফায়দা হাসিল করতে পারি না অনেকক্ষেত্রেই।


তবে, নির্দিষ্ট রোগের বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসার জন্য যেমন বিশেষ উপকৃত হওয়া যায়।


ঠিক তেমনিভাবে,

আল্লাহতায়ালা, হক্কানি উলামায়ে কেরামের ছহী ইলমের(আমানতের) ভিতর,

বিবাহ কল্যানময় হওয়ার বিষয়গুলো,

অগ্রীম জানিয়ে রেখেছেন।


আমাদের কাজ শুধু তাদেরকে পাত্র/পাত্রীর অবস্থা জানিয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সেই পাওনাটুকু বুঝে নেয়া, সঠিকভাবে উপকৃত হওয়ার স্বার্থে।

কারন, সব পাত্রপাত্রীর বিবাহের ফায়সালা এক রকম নয়।

(যেমনিভাবে নাপা, সব ধরনের জ্বরের কার্যকরি ঔষধ নয়)


আপনি স্বপ্নের মাধ্যমে ফায়সালা পেলেও ব্যাখ্যার জন্য তাদের দ্বারস্থ হতে হবে।

কারন, একই স্বপ্ন ব্যক্তিভেদে ব্যাখ্যা ভিন্ন হয়,

আর সঠিক আলিম ছাড়া সঠিক ব্যাখ্যাও পাবেন না।

নিম্নের ছবিটিও দেখতে পারেন-

আপনার মধ্যে বিনয়ীভাব রয়েছে,

এজন্য কথাগুলো বললাম, হয়তো আপনার কাজে লাগতেও পারে।

আলিমদের সাথে পরামর্শ করা, না করার ফায়দা বিষয়ক কিছু কথা, অনুমতি পেলে জানাব, ইনশা-আল্লাহ।

ইমেইলের উত্তর প্রদান করার জন্য,জাযাকাল্লহু খইরন/ধন্যবাদ।


তারপর একটি ছবি দেন ছবিতে যা লিখা ছিল আমি হুবহু তাই তুলে দিচ্ছি......

দু'আ-দুরূদ

বি. দ্র. এক হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কাজের ইচ্ছা করলে এই দু‘আ পড়তেন,

اللَّهُمَّ خِرْ لِي، وَاخْتَرْ لِي

অর্থ: হে আল্লাহ! আমার জন্য কল্যাণের ফয়সালা করো এবং কল্যাণকর বিষয় নির্বাচন করো। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৩৫১৩)

ইস্তিখারার পর স্বপ্নে কিছু দেখা জরূরী নয়; বরং যে দিকে মন ধাবিত হবে সেটাকেই পরামর্শক্রমে কল্যাণকর মনে করা উচিত। উল্লেখ্য, শরী‘আতে পরামর্শের গুরুত্ব ইস্তিখারার চেয়ে অধিক।


তথ্যগুলো কতটুকু সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (640,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন, 
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ اللَّهِ لِنتَ لَهُمْ ۖ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ ۖ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِي الْأَمْرِ ۖ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ
আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান-১৫৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারা করার পর মন যে দিকে ধাবিত হবে, পরামর্শপূর্বক সেই দিককে গ্রহণ করা পরামর্শ শরীয়ত দিচ্ছে। কাজেই ইস্তেখারা করার পর পরামর্শের ভিত্তিতে সেই মতটাকে গ্রহণ করাই কল্যাণকর।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...