ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/72847/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
অনিচ্ছাবশত গলায় ধোঁয়া, ধুলাবালি,
মশা, মাছি চলে গেলে রোজা ভঙ্গ হয় না। (শামি: খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা-৩৬৬)।
এছাড়াও ফতওয়ার কিতাবে উল্লেখ আছে যে, ‘চাই তা পেটের ভেতরে চলে যাক না কেন। কেননা এগুলোকে মানুষ
খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে না। যদিও মুখে তার স্বাদ অনুভব হয়।’ (ফতওয়ায়ে কাজিখান:
১/২৯৮)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) এক লোকের কণ্ঠনালিতে মাছি ঢুকে
গেলে তাকে বললেন, এতে তোমার রোজা ভঙ্গ হয়নি। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা-৩৪৯; ফাতহুল
কাদির, খণ্ড: ০২,
পৃষ্ঠা : ২৫৮)
,
রাস্তা দিয়ে হাঁটছে, মরিচ গুঁড়া করে এমন দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছে, তখন বাতাসের
সাথে মরিচের গুঁড়া পেটে চলে গেলে, রোজা ভাঙবে না।
অনিচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে, ইচ্ছাকৃত
ধোঁয়া নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে। (হেদায়া: ১/১০৮; বাদায়িউস
সানায়ি : ২/৯০)
সেই হিসেবে ধুমপান করলেও রোজা ভেঙে যাবে। এমনকি সামান্য
পরিমাণ ধূমপান করলেও রোজা ভেঙে যাবে। আর স্বেচ্ছায় ধূমপান করার কারণে কাজা-কাফফারা
উভয়টি অপরিহার্য হবে। (সূত্র: আদ্দুররুল মুখতার: ২/৩৯৫; হাশিয়াতুত
তহতাভি আলাদ্দুর: ১/৪৫০; ইমদাদুল ফাত্তাহ-৬৮১)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) ও ইকরিমা (রহ.) বলেন, ‘(পেটে) কোনো কিছু প্রবেশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।’ (সহিহ বুখারি: ১/২৬০-তালিক)
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে না। কারণ, অনিচ্ছাবশত
গলায় ধোঁয়া, ধুলাবালি,
মশা, মাছি চলে গেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
২. নাপাক শুকিয়ে গেলে এবং তাতে নাপাকির চিহ্ন দেখা না গেলে
সেখানে কাপড় বা কিছু লাগলে তা পাক থাকবে (যদি নাপাকির চিহ্ন কাপড়ে না আসে)