আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
السلام عليكم ورحمه الله و بر كا ته

আমাদের এখানে একজন হুজুর আছে যে অনেক আগে থেকে তুলারাশি ওয়ালা একটা লোক দিয়ে আর আয়না পরা লোক দিয়ে মানুষ দের চিকিৎসা করেন,হুজুর মনে করে তার কাছে গেলে সবাইরে তাবিজ, আংটি, পানি পরা দেয় তার কাছে চিকিৎসা করতে যাওয়ার পর আমার ফুপু এর তালাক হইসে,আর এমনিতেও ফুপু এর শ্বশুর বাড়ির ওখানে নিয়ে গেছে আমাকে চিকিৎসা করতে যারা পাগলের মেলায় যারা যায় তাদের নিয়ে আসে গান বাজায় নদী থেকে মুখ দিয়ে কলশি দিয়ে পানি আনে জীন আনে পরে উত্তর নেয়, তারা মেলা দেয় সেখানে রোগীদের দান করতে ও আসতে বলে, মন্দিরে টাকা দিতে বলে, নদীতে পানি তে ডুব দিয়ে কলা ফেলতে বলে, রাস্তার মোড়ে মিষ্টি দিতে বলে, অনেক গুলা নদীর ঘাটের পানি আনতে বলে তার পর সেগুলো দিয়ে গোসল করতে বলে আর মাটির পাত্রে ক্রস কাচি দিয়ে কাটতে বলে সেই পানি , নিম পাতা খেতে বলে, আর গলায় অনেকগুলা গিরা দেওয়া সুতা বাঁধতে দেয়, আর বকরী দিতে বলে, তাবিজ বানায় দেয়, কতগুলো লুঙ্গি আর অনেক পদের ফল দিতে বলে আসন সাজাতে এখানে ফুপা এর বন্ধু এগুলা করত. যদিও আমি এগুলো বিশ্বাস করি না তার পর ও আমাকে তারা জোর করে নিয়ে গেছিলো সেখানে পরে ফুপু এর তালাক হয়ে গেছে আর সেই ফকির সৌদী চলে গেছে,
আমাদের এখানে একটা কবিরাজ আছে যার কাছে আমার দাদী ,ভাই ,আম্মু জোর করে আমাকে নিয়ে গেছিল হুজুর বলে পরে উনি আমাদের কাছে আমার মা ,বাবা,ভাই, দাদী সবার নাম চাইছিল ,তারপর আমার হাত মোজা খুলে হাত দেখল ,তারপর আমার নিকাব খুলে চুল দেখল মাথার সামনের ভাগ তারপর কি পরে জানি ফু দিছে , তিনি আমাকে বলছে বাসায় নিয়ে মেরে মেরে ওষুধ খাওয়াতে । পরে ভাইয়া আমাকে অনেক মারছে ।আর তারপর থেকে আমার স্বামী আমার কোন খোঁজ নেয়া বন্ধ করে দিছে ,আমার সাথে কথাও বলতে চায় না সেই কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে,আমাকে খালি ব্লক করে রাখে । তার কারন আমার ভাই আর আম্মু,আব্বু কেউ তার সাথে ভাল আচরন করে না ।আর এই কবিরাজের কাছে যাওয়ার আগে আমার স্বামী আমাকে নিতেই চায় না খালি । কথা বলতে চায় না আমার সাথে ।আর আমার বড় বোন আছেন যাকে দেখে আমি মিশনারী স্কুলে এ পরছি ছোট বেলা থেকে আমার মাথা নষ্ট করত বিয়ে না করার ,যাতে আগে পরা শেষ করি পরে বিয়ে করি তার ছেলের নাম তৈমুর রাখছে এতে কি কোন সমসা আছে ?আচ্ছা আমার পরিবারের মানুষ সবাই আমার বড় তাদের দেখেই আমি শিখি আর তারা সব কিছু করলে দোষ হয় না আমি করলেই সব দোষ ।  তারা আমাকে ছোট বেলা থেকে হিন্দু ,মিশনারী স্কুলে এ পরিয়েছে,মন্দিরের পাশে বাড়ি  বানিয়েছে যে জায়গার আমাদের হিন্দুরা ইউজ করছে কিন্তু টাকা আমরা এতে কি আমরা মুশরিক হব?  সেগুলার খারাপ সব কিছু আমার উপর পরছে তাও আমাকে সব সময় খালি বকে আর মারে ।আর খালি বলে ঝগড়া লাগলে সব তোমার দোষ ,খালি বলে আমাকে নাকি গলায় রশি দিয়ে টেনে নিয়ে যাবে কোথায় ।আর খিস্টান যাকে বিয়ে করে আনছে তাকে ইসলামের কথা কিছু বললেই আমার ভাইকে দিয়ে বকা আর মার খাওয়ায় ।উল্টা আরও আমার ভাইয়ের নামাজ কালাম শেষ হয়ে গেছে পরা ।তার কারনে বাসায় আর একটা বাথরুম বানাচ্ছে হাই কমোড ওয়ালা ।আমার ছোট বেলায় আকিকা দেওয়া হয় নাই আমি খালি অসুস্থ থাকি সেটা না করে একটা বাথরুম আছে তাও  আর একটা হাই কমোড বাথরুম বানাচ্ছে ।সে নাকি পেন বাথরুমে বসতে পারে না এতে কি কোন সমসা আছে তাকে হাই কমোড বাথরুম দিলে । আর সবচেয়ে বড় সমসা আমার বিয়ে নিয়ে আমি কাওকে কিছু বলতেও পারছি না , স্বামী আমার কোন খোজ নেয় না আমি তাকে তালাক ও দিতে পারি না । তাকে তালাক দেওয়ার কথা বললে অনেক রাগ উঠে মনে হয় সবাই খারাপ আমার স্বামী ভালো শুধু কিন্তু আমাদের কোন যোগাযোগ নাই । আব্বু আম্মুর সাথে আমার ঝগড়া লাগে খালি ।তাকে তালাক দেওয়ার কথা শুনলেই আমার রাগ উঠে আমার তার সাথে কোন সম্পক ও নাই এভাবে কেমনে চলে সম্পক ।এখন আমি কি করব বুঝি না ।ঝগড়া লাগলে গালাগালী মারামারী করার স্বভাব সবারই আছে আমার বাড়ির তারপরও আমার স্বামীর  উপরই লেগে থাকে সবাই বাড়ির।আমার ভাই ওর সাথে খারাপ আচরন করে শুধু যার কারনে আমার স্বামী তার বাবা মাকে নিয়ে এসে আমাকে বাসা থেকে নিয়ে যায় না ।তদের কারনে আমার এখনো কোন সংসার আর বাচ্চা নাই কোন ।আর আমার আব্বু আম্মু আমাকে যে হিন্দু ছেলে টিচার এর কাছে পড়তে দিয়ে ছিলেন তখন যখন তারা করো মুখে আমার বিয়ের কথা শুনতে পারছিলেন যে আমি বিয়ে করে ফেলছি আর আমার স্বামীর বাড়ি চট্টগ্রাম তখন সে আমাকে বলছিল তোমার জন্য ওই ছেলে ভালো হবে না। কেউ কুরআন খতম দিয়ে পুরি আর সিংগরা খাওয়ালে খুশি হয়ে তা খাওয়া জাবে?

1 Answer

0 votes
by (640,980 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

ﻭَﻟَﻤَﻦ ﺻَﺒَﺮَ ﻭَﻏَﻔَﺮَ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻤِﻦْ ﻋَﺰْﻡِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ ) ﺍﻟﺸﻮﺭﻯ 43/ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।(৪২/৪৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ চেয়ে চেয়ে দু'আ করতে থাকুন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...