জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ أَسْرَعَ الدُّعَاءِ إِجَابَةً دَعْوَةُ غَائِبٍ لِغَائِبٍ "
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অনুপস্থিত ব্যক্তিদের পরস্পরের জন্য দু‘আ অতি দ্রুত কবুল হয়।
(আবু দাউদ ১৫৩৫)
حَدَّثَنَا رَجَاءُ بْنُ الْمُرَجَّى، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ ثَرْوَانَ، حَدَّثَنِي طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ كَرِيزٍ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ الدَّرْدَاءِ، قَالَتْ حَدَّثَنِي سَيِّدِي أَبُو الدَّرْدَاءِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا دَعَا الرَّجُلُ لأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ آمِينَ وَلَكَ بِمِثْلٍ "
আবুদ দারদা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু‘আ করে, তখন ফিরিশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরূপ হবে।
(মুসলিম, আবু দাউদ ১৫৩৪)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাবা মার গুনাহ মাফের জন্য সন্তান আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সেটা জায়েজ আছে।
বাবা মা কবিরা গুনাহ করলে তাদের পক্ষ থেকে সন্তান তাওবা করলে সেই তাওবা আল্লাহ তাআলার কাছে গৃহিত হবেনা।
আর বাবা মায়ের দীর্ঘ নামাজ, রোজা কাযা থাকলে সেগুলো বাবা মা জীবদ্দশায় আদায় করবে।
আর বাবা মা মারা গিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে ফিদইয়াহ আদায়ের অসিয়ত করে গেলে তাদের এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে ফিদিয়া আদায় করবে।
ফিদিয়া আদায়ের সামর্থ্য না রাখলে বা এতটা সম্পদ যদি না থাকে সেক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে যতটুকু আদায় করা যায় ততটুকু আদায় করবে, বাকি অনাদায়ী ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে মাফ চাইবে।
সকাল সন্ধ্যার আযকার নিজেরটা করার সময় বাবা মায়ের জন্য ঈসালে সওয়াবের নিয়ত করা যাবে।
আরো জানুনঃ-