আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, উস্তাজ।‌ অনেক সময় বাবা মা গুনাহগার হলে তাদের পক্ষ থেকে সন্তান তাওবা করলে কি সেই তাওবা আল্লাহ তাআলার কাছে গৃহিত হবে? যেহেতু কবিরা গুনাহ? এবং নিজের গুনাহের তাওবা তো নিজেকেই করতে হয়। তবুও কি সন্তানের পক্ষে থেকে করা জায়েজ? এবং ফলপ্রসূ?

আর বাবা মায়ের দীর্ঘ নামাজ, রোজা কাযা থাকলে সেগুলোর ব্যাপারে কী করণীয়? মানে যদি ফিদিয়া দেওয়ার সামর্থ্যই না থাকে, এত বেশি পরিমাণ নামাজ, রোযা কাযা হলে?


আর সকাল সন্ধ্যার  আযকার কি নিজেরটা করার সময় বাবা মায়ের জন্য ঈসালে সওয়াবের নিয়ত করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (612,390 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ أَسْرَعَ الدُّعَاءِ إِجَابَةً دَعْوَةُ غَائِبٍ لِغَائِبٍ "

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অনুপস্থিত ব্যক্তিদের পরস্পরের জন্য দু‘আ অতি দ্রুত কবুল হয়।
(আবু দাউদ ১৫৩৫)

حَدَّثَنَا رَجَاءُ بْنُ الْمُرَجَّى، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ ثَرْوَانَ، حَدَّثَنِي طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ كَرِيزٍ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ الدَّرْدَاءِ، قَالَتْ حَدَّثَنِي سَيِّدِي أَبُو الدَّرْدَاءِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا دَعَا الرَّجُلُ لأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ آمِينَ وَلَكَ بِمِثْلٍ "

আবুদ দারদা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু‘আ করে, তখন ফিরিশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরূপ হবে।
(মুসলিম, আবু দাউদ ১৫৩৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাবা মার গুনাহ মাফের জন্য সন্তান আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সেটা জায়েজ আছে।

বাবা মা কবিরা গুনাহ করলে তাদের পক্ষ থেকে সন্তান তাওবা করলে সেই তাওবা আল্লাহ তাআলার কাছে গৃহিত হবেনা।

আর বাবা মায়ের দীর্ঘ নামাজ, রোজা কাযা থাকলে সেগুলো বাবা মা জীবদ্দশায় আদায় করবে।

আর বাবা মা মারা গিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে ফিদইয়াহ আদায়ের অসিয়ত করে গেলে তাদের এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে ফিদিয়া আদায় করবে।

ফিদিয়া আদায়ের সামর্থ্য না রাখলে বা এতটা সম্পদ যদি না থাকে সেক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে যতটুকু আদায় করা যায় ততটুকু আদায় করবে, বাকি অনাদায়ী ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে মাফ চাইবে।

সকাল সন্ধ্যার আযকার নিজেরটা করার সময় বাবা মায়ের জন্য ঈসালে সওয়াবের নিয়ত করা যাবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...