আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

ইসলামী পতাকা দেখতে কেমন?

এই পতাকা কী কালিমা খচিত?রাসূল সা কোন ধরণের পতাকা ব্যবহার করেছেন বা আদৌ পতাকার ব্যবহার কোনো ফজিলত বহন করে কী?

পতাকা ব্যবহারের শরয়ী নিয়ম কী?এটাকী শুধু যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার যোগ্য নাকি স্কুল,কলেজে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার যোগ্য?

1 Answer

0 votes
by (612,390 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামের পতাকার মধ্যে কালেমা খচিত থাকে,তার কালার সম্পর্কে হাদীস শরীফ গুলোতে অনেক রকমের রেওয়ায়াত পাওয়া যায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ جَابِرٌ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ وَلِوَاؤُهُ أَبْيَضُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেছেন যে, তার বড় পতাকাটি সাদা বর্ণের ছিল। 

(আবূ দাঊদ ২৫৯২, তিরমিযী ১৬৭৯, ইবনু মাজাহ ২৮১৭, মিশকাত ৩৮৮৯)

وَعَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ مَوْلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْقَاسِمِ قَالَ: بَعَثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ إِلَى الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ يَسْأَلُهُ عَنْ رَايَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: كَانَتْ سَوْدَاءَ مُرَبَّعَةً مِنْ نَمِرَةٍ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد

মূসা ইবনু ’উবায়দাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন মুহাম্মাদ ইবনু কাসিম-এর মুক্তকৃত গোলাম আমাকে বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পতাকার (বর্ণের) ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তা চতুষ্কোণ বিশিষ্ট কৃষ্ণ (কালো) বর্ণের যা নামিরাহ্ চাদর দ্বারা তৈরি ছিল।

(আবূ দাঊদ ২৫৯১, তিরমিযী ১৬৮০, আহমাদ ১৮৬২৭, মিশকাত ৩৮৮৮)

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَتْ رَايَةُ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوْدَاءَ وَلِوَاؤُهُ أبيضَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه 

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বড় পতাকাটি ছিল কালো বর্ণের এবং ছোট পতাকাটি ছিল সাদা বর্ণের।

(তিরমিযী ১৬৮১, ইবনু মাজাহ ২৮১৮, সহীহ আল জামি‘ ৪৮১২, মিশকাত ৩৮৮৭)

وروى أبو داود من رواية سماك بن حرب عن رجل من قومه عن آخر منهم، قال: رأيت راية رسول الله، صلى الله عليه وسلم، صفراء، 
হজরত সেমাক ইবনে হারব নামক একজন সাহাবি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য হলুদ বর্ণের পতাকা দেখেছি।’ (আবু দাউদ)

وروى ابن عدي من حديث ابن عباس، قال: كانت راية رسول الله، صلى الله عليه وسلم سوداء ولواؤه أبيض مكتوب به: لا إلاه إلا الله محمد رسول الله، صلى الله عليه وسلم، 

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পতাকার রং ছিলো কালোর ভেতর সাদা দিয়ে ইসলামের কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ।

وَعَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ مَوْلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْقَاسِمِ قَالَ: بَعَثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ إِلَى الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ يَسْأَلُهُ عَنْ رَايَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: كَانَتْ سَوْدَاءَ مُرَبَّعَةً مِنْ نَمِرَةٍ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد

মূসা ইবনু ’উবায়দাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন মুহাম্মাদ ইবনু কাসিম-এর মুক্তকৃত গোলাম আমাকে বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পতাকার (বর্ণের) ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তা চতুষ্কোণ বিশিষ্ট কৃষ্ণ (কালো) বর্ণের যা নামিরাহ্ চাদর দ্বারা তৈরি ছিল।

(আবূ দাঊদ ২৫৯১, তিরমিযী ১৬৮০, আহমাদ ১৮৬২৭, মিশকাত ৩৮৮৮।)

হিজরতের সময় থেকে ইসলামে পতাকার প্রচলন ঘটে। যখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় যাচ্ছিলেন, তখন রাস্তায় বারিদা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাত হয়। সে পুরস্কারের লোভে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ধরতে এসেছিলো। কিন্তু সে নবিজিকে ধরতে এসে মুসলমান হয়ে তাঁর হিজরতের সঙ্গী হয়ে যান। এই বারিদাই প্রথম ইসলামের পতাকা তুলে ধরেন। এ সম্পর্কে হাদিসের একাধিক বর্ণনা রয়েছে। তাহলো-


১. হজরত বারিদা রাদিয়াল্লাহু আনহু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন, মদিনায় প্রবেশকালে আপনার একটি পতাকা থাকা দরকার। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথা থেকে পাগড়ি খুলে, বর্শার মাথায় বেঁধে হজরত বারিদাকে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় প্রবেশের সময় হজরত বারিদা রাদিয়াল্লাহু আনহু সেটিকে পতাকা হিসেবে ব্যবহার করেন। শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে ওই পতাকা ব্যবহার হয়েছিলো। এটাই ইসলামের প্রথম পতাকা। তবে বারিদা নিজের পাগড়িকেই পতাকা হিসেবে ব্যবহার করেছিলো বলে অনেক বর্ণনায় পাওয়া যায়। (যারকানি, শরহু মাওয়াহিবিল লাদুনিয়্যাহ)

২. হজরত ইবনুল আছির আল-জাজারি তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল কামেল’ এ লেখেন, ‘হিজরতের প্রথম বছর সাত মাস অতিবাহিত হওয়ার পর, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হজরত হামজার হাতে পতাকা ওঠিয়ে দেন। পতাকার রং ছিলো সাদা। বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিলো ত্রিশজন। তাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছিলো কুরাইশদের একটি কাফেলাকে ধাওয়া করার জন্য। পথে আবু জাহেলের সঙ্গে সাক্ষাত হয়। কিন্তু মাজদি ইবনে আমর আল-জুহানি নামক একজন নেতার মধ্যস্ততায় যুদ্ধ থেকে উভয় পক্ষ বিরত থাকে। মুসলমানদের পতাকাবাহী ছিলেন আবু মুরছাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু। ওই পতাকাই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম বেঁধেছিলেন।’ (আল কামেল ফীত তারিখ)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পতাকা যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার যোগ্য,পাশাপাশি যেকোনো দল/গোষ্ঠির জন্যেও পতাকা হতে পারে, স্কুল,কলেজে বা কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যেও পতাকা হতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...