আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
431 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
মনে করুণ ১লোকের ৫০হাজার টাকা দরকার আর সে যদি কোন হিন্দু কিস্তি লোক হতে টাকা ধার নেয় এবং ১বছরের মধ্যে যদি টাকা পরিশোধ করে তা কি জায়েজ?

আমার কথা হলো কিস্তি নেয়া লোকটি যদি প্রত্যেক মাসের ৫০০০টাকা পরিশোধ করে আর তা দিয়ে যদি কিস্তি দেওয়া লোক সুদের কাজে লাগায় তা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে সূদ দেওয়া,গ্রহন করা সবই হারাম।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি সূদ ছাড়া কোনো কিস্তি নেয়।
যেমন প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে ৫০ হাজার টাকা করজ নিয়েছে,প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে পরিশোধ করবে, কোনো অতিরিক্ত টাকা দিবেনা।
,
এই ছুরতে যেহেতু কোনো সূদ নেই,তাই এটি জায়েজ।
,
তবে এই টাকা গ্রহনের পর মালিক যদি সেটি সুদে লাগায়,তাহলে তো এতে কিস্তি নেওয়া ব্যাক্তির কোনো গুনাহ নেই।
কারনে সে মূল মালিকের কাছে তার পাওনা টাকা ফেরত দিয়েছে।
এখন মালিক যদি সেটি অন্যায় কাজে লাগায়,এতে কিস্তি নেওয়া ব্যাক্তির কোনো হাত নেই।
,
তাই তার কোনো গুনাহ হবেনা।
তার সূদ বিহীন কিস্তি জায়েজ আছে। 

কুরআন শরীফে এসেছেঃ  
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ 
আল্লাহ তায়ালা  কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...