ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অমুসলিম দেশে বসবাস, স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী হোক, যখন এ এমন আলোচনা আসে, তখন তাদের ধর্মীয় নিয়ম নীতি বা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন আসে?
তাছাড়া হাদীসে এসেছে,
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/3447
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেখানে বিশেষভাবে অমুসলিম দেশে বাস্তবিক পড়াশোনা করতে বা বসবাসের জন্য যেতে হলেও বিভিন্ন শর্তাবলি রয়েছে। সেখানে মিথ্যা বলে যাওয়া কখনো অনুমোদিত হতে পারে না। বরং দেশেই উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। হ্যা, যদি কেউ দাওয়াহর নিয়তে অমুসলিম দেশ সমূহে যেতে চায়, তাহলে রুখসত থাকবে।
মুসলিম দেশ সমূহেও মিথ্যা বলে যাওয়া জায়েয হবে না।
(১) এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গেলে, যেখানে এজেন্সি মিথ্যা বলবে, আপনার জানা রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।
(২) পড়ালেখার ভিসা গিয়ে পড়ালেখা না করলে গুনাহ হবে না। তবে প্রথম থেকেই ধোকা দেয়ার নিয়ত থাকলে যাওয়াও জায়েয হবে না।
(৩)হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর দুআ পড়তে পারেন। আপনার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে মশক করে নিবেন।