আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্ সম্মানিত উস্তাজ।
বিয়ের পর থেকেই সমস্যার শুরু যদিও স্বামী তখন এরকম ছিলনা।প্রধান সমস্যা হলো মেয়েটি পর্দা করে এটা অনেক সমস্যা সবাই তো বেশি কথা শোনায়ই এখন স্বামীও বদলে গেছে মোট কথা মেয়েটির জীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে।এখন সমস্যা পচুর বেড়ে গিয়েছে ইদের মেয়েটিকে ননদের জামাই সরাসরি বললো যে মেয়েটি খারাপ,মেয়েটি প্রথম থেকে ধৈর্য্য ধারন করার অনেক চেষ্টা করেও সেদিন প্রতিবাদ করে ফেলে এজন্য মেয়েটিকেই দোষারোপ করা হয় সেই নাকি সংসারে আগুন লাগিয়েছে। মেয়েটিকে পর্দা করার কারনে কেউই তেমন পছন্দ করে না বাড়ির বেশিরভাগ বেশি কথা শোনা লাগে।এখন ননদ আর তার জামাই তার সাথে কথা বলেনা।আর তার পক্ষে কেউই নেই তেমন সবাই মনে হয় জুলুম করছে। স্বামীও তার ইচ্ছার গুরুত্ব দেয়না,স্ত্রীর ছোট ভাইকে নিয়ে নানা নোংরা গালি দেয়, হারাম কাজ করতে বলে না করলে অনেক রাগারাগি হয়,আবার মেয়েটিকে বাপের বাড়ি যেতে দিবেনা মেয়ের মাকে নাকি এসে দেখে যেতে হবে,মেয়েটি গর্ভবতী সংসারে এই জুলুমের স্বীকার হয়ে সে মানসিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েছে শরীরও অনেক অসুস্থ, মেয়েটির মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছে স্বামী অনুমতি দেয়নি,আবার প্রসবকালীন সময়েও বাবাড় বাড়ি যেতে দিবেনা,আর শশুরবাড়িতে পর্দার পরিবেশ নেই হুটহাট পরপুরুষ ঢুকে পড়ে,গর্ভাবস্থায় নাজুক সময় মেয়েরা তো মায়ের কাছেই থাকেতে চায় সেটা হবেনা সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত আবার মেয়েটি ওয়াসওয়াসার রোগী মাঝে মাঝে অসুস্থতার কারনেরাগ করে ফেলে অনেক চেষ্টা করেও ধের্য্য রাখতে পারেনা।কয়েকদিন অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে,অসুস্থতা নিয়েও ব্যাঙ্গ করে মেয়েটি প্রসবকালীন সময় বাবার বাড়ি থাকতে চায় কারন শশুর বাড়িতে সে একটি পরগাছা,উঠতে বসতে কথা শুনতে হবে আর পর্দা করাও কঠিন। মা বাবার কাছেও বলতে পারে না গীবতের ভয়ে,শশুরবাড়ির মুরব্বিদের কাছেও বলেছে ন্যায়বিচারের আশায় তেমন কোনো লাভ হয়নি।স্বামী ছেড়েও দিবেনা আবার অধিকারও দিবে না, ছোট খাটো কারন নিয়ে রাগারাগি করবে, কষ্টও দিবে,মেয়েটি ছেড়ে দিতে চাইলে সুইসাইডের ভয় দেখায়, মেয়েটিকে একপ্রকার বন্দি করে রেখেছে, মেয়েটি কষ্ট ছটফট করে কেউ নেই মহান আল্লহ ছাড়া তা দেখার,কোনো একটা আদেশ পালন করেতে না পারলে তা নিয়ে অনেক কিছু হয় মাঝে মাঝে,মেয়েটি চেষ্টা করে স্বামীর আনুগত্য করতে সুন্দর ব্যাবহার করতে অনেক সময় অনেক ভুল হয়ে যায় এবং সে ক্ষমা চায়।
স্বামী ভালোওবাসে কিন্তু মেয়েটির মনে হয়না যে সেটা ভালেবাসা কারন ভালোবাসলে কি কেউ এমন আচরন করতে পারে? কতবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে বাট ব্যার্থ।পরিবার দ্বীনদ্বার নয়।
এখন মেয়েটির করনীয় কি?