আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্ সম্মানিত উস্তাজ।
বিয়ের পর থেকেই সমস্যার শুরু যদিও স্বামী তখন এরকম ছিলনা।প্রধান সমস্যা হলো মেয়েটি পর্দা করে এটা অনেক সমস্যা সবাই তো বেশি কথা শোনায়ই এখন স্বামীও বদলে গেছে মোট কথা মেয়েটির জীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে।এখন সমস্যা পচুর বেড়ে গিয়েছে ইদের মেয়েটিকে ননদের জামাই সরাসরি বললো যে মেয়েটি খারাপ,মেয়েটি প্রথম থেকে ধৈর্য্য ধারন করার অনেক চেষ্টা করেও সেদিন প্রতিবাদ করে ফেলে এজন্য মেয়েটিকেই দোষারোপ করা হয় সেই নাকি সংসারে আগুন লাগিয়েছে। মেয়েটিকে পর্দা করার কারনে কেউই তেমন পছন্দ করে না বাড়ির বেশিরভাগ বেশি কথা শোনা লাগে।এখন ননদ আর তার জামাই তার সাথে কথা বলেনা।আর তার পক্ষে কেউই নেই তেমন সবাই মনে হয় জুলুম করছে। স্বামীও তার ইচ্ছার গুরুত্ব দেয়না,স্ত্রীর ছোট ভাইকে নিয়ে নানা নোংরা গালি দেয়, হারাম কাজ করতে বলে না করলে অনেক রাগারাগি হয়,আবার মেয়েটিকে বাপের বাড়ি যেতে দিবেনা মেয়ের মাকে নাকি এসে দেখে যেতে হবে,মেয়েটি গর্ভবতী সংসারে এই জুলুমের স্বীকার হয়ে সে মানসিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েছে শরীরও অনেক অসুস্থ, মেয়েটির মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছে স্বামী অনুমতি দেয়নি,আবার প্রসবকালীন সময়েও  বাবাড় বাড়ি যেতে দিবেনা,আর শশুরবাড়িতে পর্দার পরিবেশ নেই হুটহাট পরপুরুষ ঢুকে পড়ে,গর্ভাবস্থায় নাজুক সময় মেয়েরা তো মায়ের কাছেই থাকেতে চায় সেটা হবেনা সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত আবার মেয়েটি ওয়াসওয়াসার রোগী মাঝে মাঝে অসুস্থতার কারনেরাগ করে ফেলে অনেক চেষ্টা করেও ধের্য্য রাখতে পারেনা।কয়েকদিন অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে,অসুস্থতা নিয়েও ব্যাঙ্গ করে মেয়েটি প্রসবকালীন সময় বাবার বাড়ি থাকতে চায় কারন শশুর বাড়িতে সে একটি পরগাছা,উঠতে বসতে কথা শুনতে হবে আর পর্দা করাও কঠিন। মা বাবার কাছেও বলতে পারে না গীবতের ভয়ে,শশুরবাড়ির মুরব্বিদের কাছেও বলেছে ন্যায়বিচারের আশায় তেমন কোনো লাভ হয়নি।স্বামী ছেড়েও দিবেনা আবার অধিকারও দিবে না, ছোট খাটো কারন নিয়ে রাগারাগি করবে, কষ্টও দিবে,মেয়েটি ছেড়ে দিতে চাইলে সুইসাইডের ভয় দেখায়, মেয়েটিকে একপ্রকার বন্দি করে রেখেছে, মেয়েটি কষ্ট ছটফট করে কেউ নেই মহান আল্লহ ছাড়া তা দেখার,কোনো একটা আদেশ পালন করেতে না পারলে তা নিয়ে অনেক কিছু হয় মাঝে মাঝে,মেয়েটি চেষ্টা করে স্বামীর আনুগত্য করতে সুন্দর ব্যাবহার করতে অনেক সময় অনেক ভুল হয়ে যায় এবং সে ক্ষমা চায়।
স্বামী ভালোওবাসে কিন্তু মেয়েটির মনে হয়না যে সেটা ভালেবাসা কারন ভালোবাসলে কি কেউ এমন আচরন করতে পারে? কতবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে বাট ব্যার্থ।পরিবার দ্বীনদ্বার নয়।

এখন মেয়েটির করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ পাক সৃষ্টিকাল থেকেই প্রত্যেক মানুষকে তার ব্যক্তিগত নিজস্ব কিছু অধিকার দান করেছেন।স্ত্রীর উপর স্বামীর কিছু অধিকারও হক্ব দান করেছেন যেমনঃ-চাহিবামাত্র স্বামীকে সঙ্গ দেয়া ও স্বামীর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা এবং লালন-পালন করা ইত্যদি স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার ও হক্ব। তদরূপ স্বামীর উপর স্ত্রীরও কিছু অধিকার ও হক্ব রয়েছে যেমন, বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ও হক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পর্দা করার কারণে আপনার প্রতি যদি তারা এত কঠোর হয়, তাহলে বুঝে নিবেন, আল্লাহ আপনার পর্দা পালনকে হয়তো কবুল করে নিয়েছেন। স্বামী যদি আপনাকে পর্দা সম্মত জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে না দেয়, তাহলে তাকে অবশ্যই এজন্য জবাবদিহিতা করতে হবে। আপনি ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করুন। প্রয়োজনে পিতামাতাকে অবগত করতে পারেন। এক্ষেত্রে গিবত হবে না। সফলতা আপনার পদচুম্বন করবে, ইনশাআল্লাহ।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1715


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...