ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক যে এলাকার জন্য ইফতারের ও মাগরিবের যে সময় হবার কথা লিখা থাকে, সেই সময় ইফতার করবেন। আগে ইফতার করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।
ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ﴿البقرة: ١٨٧
অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। [সূরা বাকারা-১৮৭]
সময়ের আগে খেয়ে নেওয়ার কারণে আপনার দাদার উক্ত রোযা ভেঙে গেছে। অবশ্য ইফতারের সময় হয়ে গেছে ভেবে ভুলে খেয়ে ফেলেছেন বিধায় তাকে ঐ রোযার শুধু কাযা করে নিতে হবে, কাফফারা লাগবে না।
عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَنْظَلَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ : شَهِدْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطّابِ فِي رَمَضَانَ، وَقُرِّبَ إلَيْهِ شَرَابٌ ، فَشَرِبَ بَعْضُ الْقَوْمِ وَهُمْ يَرَوْنَ أَنّ الشّمْسَ قَدْ غَرَبَتْ، ثُمّ ارْتَقَى الْمُؤَذِّنُ، فَقَالَ : يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللهِ لَلشّمْسُ طَالِعَةٌ لَمْ تَغْرُبْ، فَقَالَ عُمَرُ : مَنَعَنَا اللهُ مِنْ شَرِّكَ مَرّتَيْنِ، أَوْ ثَلاَثَةً، يَا هَؤُلاَءِ، مَنْ كَانَ أَفْطَرَ فَلْيَصُمْ يَوْمًا مَكَانَ يَوْمٍ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَفْطَرَ فَلْيُتِمّ حَتّى تَغْرُبَ الشّمْسُ.
আলী ইবনে হানযালা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রোযার মাসে ওমর রা.-এর নিকট ছিলেন। তার নিকট পানীয় পেশ করা হল। উপস্থিতদের কেউ কেউ সূর্য ডুবে গেছে ভেবে তা পান করে ফেলল। এরপর ময়াযযিন আওয়াজ দিল, হে আমীরুল মুমিনীন! সূর্য এখনো ডোবেনি। তখন ওমর রা. বলভ রোযা কাযা করবে। আর যারা ইফতারি করেনি তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৯১৩৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পাশের মসজিদের মুওয়াজ্জিন সাহেব যেহেতু এক মিনিট পূর্বে আজান দিয়েছেন, সাধারণ সূর্যাস্তের ২/৩ মিনিট পরই আজান দেয়া হয়, তাই এই রোযা আদায় হয়ে গেছে।