আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (21 points)
আমার বাবা ব্যবসা করার প্রয়োজনে আমার ভাইকে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছেন, আমার বড় বোনকে ২০ লাখ এবং আমাকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। তার জীবদ্দশায়  এই টাকা তিনি আমাদের আর ফেরত দিতে বলেননি। কিন্তু বলেছেন যে তার মৃত্যুর পর এখান থেকেই যেন ওয়ারিশনামা ভাগ করে দেয়া হয়। এভাবে করা কি জায়েজ? যেমন, আমাকে যে ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন, বলেছেন যদি ওয়ারিশনামা ভাগ হয়ে দেখা যায় ফাইনালি আমি ১০ লাখ টাকা (for example) পাবো, তাহলে ৫ লাখ যেহেতু আগেই দিয়ে দিয়েছিল, তাহলে এখন আর বাকি ৫ লাখ পাবো শুধু। এভাবে কি করা যাবে আসলেই? যে, জীবিত অবস্থায় যেটা দিয়েছে সেটা ওয়ারিসনামা থেকে মাইনাস করে দিবে?

আরেকটা ব্যপার হলো,  এই যে ৪০ লাখ টাকা আমার ভাইয়ের কাছে রয়ে গেলো, বা বোনের কাছে যে ২০ লাখ টাকা রয়ে গেলো, যেটা  আমার ভাইবোন, বাবার মৃত্যুর পর আমাদের সবার মধ্যে ওয়ারিশ অনুসারে ভাগ করে দিবে, এটা কি বাবার মৃত্যুর সাথে সাথেই করতে হবে? যদি ভাই বা বোন সেটা করতে অনেক দেরি  বা অনেক বছর সময় নেয় এজন্য কে গুনাহগার হবে? আমার ভাইবোন নাকি বাবা? ওয়ারিশনামা ভাগের জন্য কি বাবার উচিত ছেলেকে কোন সময় বেধে দেয়া যে আমার মৃত্যুর পর ১ মাসের মধ্যে (for example) সবার ওয়ারিশ ভাগ করে দিবে। নাকি তারা এই টাকা ওয়ারিশদের মধ্যে ভাগ করতে ইচ্ছামতো সময় নিতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাদের বাবা উনার জীবদ্দশায় যা দিয়ে গেছেন, যেহেতু তিনি বলেছেন, উনার মৃত্যু পরবর্তী যে যতটুকু অংশ পাবে, সেই অংশ থেকে এই প্রদত্ত টাকা কর্তন হবে। তাহলে উনার মৃত্যুর পর এমনটাই হবে।

আপনার বাবার মৃত্যুর পর উনার সম্পত্তি উনার সকল ওয়ারিছদের হয়ে যাবে। তাই দাফন কাফন সম্পন্ন করার পর উনার সম্পত্তিকে ওয়ারিছদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া জরুরী। কেননা তখন ঐ সম্পত্তি সকল ওয়ারিছদের যৌথ মালিকানাধীন। সকল ওয়ারিছদের সম্মতি ব্যতিত সম্পত্তির কোনো একটি অংশ কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...