আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
السلام عليكم ورحمة الله و بركاته

সম্মানিত শায়খ,
আমার ৬ সপ্তাহ ৫দিনের গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত হয়। এরপর ৭ দিন মতো রক্ত যায়, তারপর কিছুদিন ব্রাউন ডিসচার্জ/খুব অল্প জমাট রক্ত যায়। তারপর ১৪ দিনের দিন থেকে আবার ৪-৫দিশ কিছু রক্ত যায়, তারপর থেকে এখন পর্যন্ত টানা সুতার মতো অল্প টিস্যু যাচ্ছে।
ডক্টর বলেছেন পরবর্তী পিরিয়ড পর্যন্ত এরকম যাবে।
আমি প্রথম দশদিন সলাত আদায় করিনি, তারপর ব্লিডিং কন্টিনিউ হওয়ায়, আমার অভ্যাসের সাতদিন হায়িদ্ব ধরে বাকি দিন কাযা করছি। আমার প্রশ্ন হলো, আমি কি ১০ দিন হায়িদ্ব ধরার পর ১৫ দিন তাহারাত ধরে এরপর আবার হায়িদ্ব ধরবো?
তাহলে পরে যখন আসলেই আমার হায়িদ্ব শুরু হবে তখন কীভাবে হিসাব মিলাবো, হতেই তো পারে আমার হায়িদ্ব তাহারাতের দিনগুলোতে শুরু হয়েছে।
নাকি আমার পরবর্তী হায়িদ্ব আসার আগ পর্যন্ত ইস্তিহাদার মাসআলা অনুযায়ী আমল করবো? যেহেতু এটা আমার স্বাভাবিক অবস্থা না, এটা পরবর্তী হায়িদ্ব এর পর থেমেই যাবে।
মিন ফাদ্বলিক জানাবেন শায়খ।

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/10209/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ  
সুরা মুমিনুন এর ১৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَۃَ مُضۡغَۃً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ٭ ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰهُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِیۡنَ ﴿ؕ۱۴﴾

তারপরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট বাঁধা রক্তে, অতঃপর গোশতপিন্ডকে পরিণত করি হাড্ডিতে, অতঃপর হাড্ডিকে আবৃত করি গোশতপিন্ড দিয়ে, অতঃপর তাকে এক নতুন সৃষ্টিতে উন্নীত করি। কাজেই সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কতই না মহান! 

শরীয়তের বিধান হলো ভ্রুন তৈরীর পূর্বে গর্ভপাত পরবর্তী রক্ত নেফাস নয়; বরং এই স্রাব শুরু হওয়ার আগে ১৫ দিন পবিত্র অবস্থায় কাটলে তা হায়েযের রক্ত হিসাবে গণ্য হবে। তবে যদি বর্তমান স্রাব তিন দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে তা ইসতিহাযার রক্ত হিসাবে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় হায়েয মনে করে ছেড়ে দেওয়া নামাযগুলো কাযা করে নিতে হবে।

আলবাহরুর রায়েক ১/২১৯; বাদায়েউস সানায়ে ১/১৬১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৩৯৪; রদ্দুল মুহতার ১/৩০২; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৪৫)

যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)

আরো জানুনঃ 
,
যদি ভ্রুন তৈরী তথা    
চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর মিসক্যারেজ,গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।
সর্বোচ্চ চল্লিশ দিন পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে হবেনা  
,
আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে।।
সর্বোচ্চ দশদিন পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে হবেনা।   
,
আর যদি তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হয়,অথবা নেফাসের ক্ষেত্রে চল্লিশ দিন থেকে বেশি অতিবাহিত হয়, তাহলে সেই রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত তথা অসুস্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে।
এক্ষেত্রে নামাজ পড়তে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গর্ভপাতের পর ৭ দিন যে ব্লিডিং হয়েছে,এই ৭ দিন হায়েজ ধরবেন। 
এই ৭ দিন নামাজ বন্ধ রাখবেন।

এরপর ১৪ দিনের দিন থেকে আবার ৪-৫ দিন যে ব্লিডিং হয়েছে,সেটিকে আপনি ইস্তেহাজা ধরবেন।
এসময়ে নামাজ আদায় করবেন।

গর্ভপাতের পর যে ৭ দিন ব্লিডিং হয়েছিলো,সেই ব্লিডিং বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে হিসাব করে ১৬ দিন পর থেকে ৭ দিন হায়েজ ধরবেন।
ব্লিডিং অব্যাহত থাকলে সেক্ষেত্রে, আবারো ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।

এরপর অর্থাৎ হায়েজ বন্ধ হওয়ার ১৬ দিন পর থেকে ৭ দিন হায়েজ ধরবেন।

এভাবে হিসাব চালু রাখবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
শায়খ, আমার তো মূলত আবার পিরিয়ড হবে। এরকম করে গণনা করতে থাকলে যদি তাহারাতের  সময় যদি আমার স্বাভাবিক পিরিয়ড আসে, তখন কী করণীয় হবে? সেটা তো আমার স্বাভাবিক পিরিয়ড, আর এখন তো অনেক অল্প ব্রাউন ডিসচার্জের মতো যাচ্ছে। 
তখন ঐ অবস্থাকে ইস্তিহাদা ধরবো? আমি তো জানি ওটা আমার স্বাভাবিক পিরিয়ড এজন্য একটু আনইজি লাগছে। 
by (611,730 points)
আপনার ব্লিডিং অব্যাহত থাকলে সেক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী হায়েজ ইস্তেহাজা গণনা করতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...