আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (14 points)
আমি ইন্ডিয়ান একজন (হিন্দু) ক্লাইন্টের কাজ করি। তাকে আমি $940 অর্থের বিনিময়ে Y নামের একটি সাইটের প্রায় ৬/৭ পেইজ ডিজাইন করে দেই। কিন্তু সব পেইজের (৬/৭) কাজ শেষ হওয়ার পর সে বলতেছে কাজের কোয়ালিটি নাকি ভালো না, তাই সে আমাকে $250 দিতে চায়, সে $940 দিতে পারবে নাহ। তো আমি তাকে বললাম, কাজের কোয়ালিটি ভাল না, এটা সব পেইজের কাজ শেষ হওয়ার পর বা সব কাজ শেষ হওয়ার পর কেনো বলতেছে, যখন ১ম পেইজের কাজ শেষ হয় তখন কেনো কাজের কোয়ালিটি দেখে আমাকে থামতে বলে নাই। সে এটার সৎ কোনো উত্তর দিতে পারে নাই, খালি বলে $250 দিবে। তাছাড়া সে হঠাত করেই কাজ টি কেনসেল করে দিয়ে, ডিজাইনের ফাইল থেকে আমাকে এক প্রকার ব্লক করে দেয় বা Edit Access Block করে দেয়, Just View Mode এ রাখে আমাকে। মোট কথা ফাইলের এক্সেস থেকে সরিয়ে রাখে আমাকে। যে ফ্রিলেন্সিং সেকটরে খারাপ বিষয় এটা বা এমন বিহেভ। কারন ডিজাইন আমার, আমাকেই ফাইল থেকে বাদ দেয়া, বিষয়টা কিরকম।

তো আমি দাবি করি আমাকে 50% পেমেন্ট করতে হবে। পরে সে রাজিও হয়, কিন্তু আমার কেন জানি তার প্রতি দয়া হয়, তো আমি তাকে বলে ফেলি স্পষ্ট করেই যে, "আচ্ছা ঠিক আছে ফাইলের সব কিছু ইউজ করার পার্মিশন আমি দিলাম, টাকা লাগবে নাহ"

পরে আমি রিয়ালাইজ করি এটা কি আমি বোকামী করলাম কিনা। পরে এক জায়গায় জানলাম যে, কাউকে কিছু দান করে দিলে সেটা আর চাওয়া যায় না, এখন এটা কি দান এর পর্যায়ে পরে নাকি আমি আমার ন্যায্য মূল্য আবার চাইতে পারবো এখন?? কারন আমি তো কষ্ট করে কাজ করে দিয়েছি, সেটার মূল্য চাওয়া তো যুক্তিক ই। এখন দানের যেই বিষয়টা এটা কি মুসলিম আর মুসলিমদের মধ্যেই নাকি সব মানুষের মধ্যেই?

মোট কথা, আমি এখন কি করবো, টাকা চাইবো নাকি এই বিষয় যা হয়ে গেছে তা বাদ দেবো?

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

কাউকে কিছু দেওয়ার পর দাতা স্বাভাবিকভাবে সেটি ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার রাখেন না। যারা কাউকে কিছু দেওয়ার পর তা আবার ফিরিয়ে নেয়, হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) তাদের ব্যাপারে কঠিন ভাষা ব্যবহার করেছেন। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْعَائِدُ فِيْ هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَقِيءُ ثُمَّ يَعُوْدُ فِيْ قَيْئِهِ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, দান করে তা ফেরত গ্রহণকারী ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে এরপর তার বমি খায়। (বুখারী ২৫৮৯.২৬২১, ২৬২২, ৬৯৭৫, মুসলিম ২৪/২ হাঃ ১৬২২, আহমাদ ২৬৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১৮,নাসায়ী ৩৬৯৯, তিরমিযী ১২৯৮, আহমাদ ১৮৭২, সহীহ আল জামি‘ ৫৪২৬।)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرْجِعُ أَحَدٌ فِي هِبَتِهِ إِلَّا الْوَالِدُ مِنْ وَلَده» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه

’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পিতা তার স্বীয় পুত্রের হিবা (দান করা) ব্যতীত কেউই নিজ হিবার জিনিস ফিরিয়ে নিতে পারে না।
(নাসায়ী ৩৬৮৯, ইবনু মাজাহ ২৩৭৮, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৮৬,মিশকাত ৩০২০।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু সন্তুষ্টি চিত্তে বলে দিয়েছেন যে বাকি টাকা লাগবে, না সুতরাং বাকি টাকা আপনার জন্য চাওয়া জায়েজ হবে না।

হ্যাঁ যদি সে নিজ আগ্রহে টাকাটি আপনাকে দিয়ে দেয়,তবে আপনি তাহা গ্রহন করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...