জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মনে মনে কিছু চাইলে আল্লাহ তায়ালা চাইলে সেটিও কবুল হবে।
তবে এক্ষেত্রে দোয়ার আদব অবলম্বন করা হলোনা।
দোয়ার আদব সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০২)
এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".
‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)
আরো করনীয় জানুনঃ-
(০৩)
দুনিয়াবি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য মুনাজাত (দোয়া) করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
(০৪)
তওবার পরেও এমনটি করলে আল্লাহ তায়ালা তো তার তওবা কবুল করবেনা।
কারন তওবা কবুলের অন্যতম শর্ত হলো তওবার উপর অটল অবিচল থাকা।
সুতরাং এক্ষেত্রে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ তাকে পড়তেই হবে।
(০৫)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি আপনার হায়েজ ১০ দিন অতিক্রম না করে,তাহলে যেই ওয়াক্তে হায়েজ বন্ধ হবে,সেই ওয়াক্তেই ফরজ গোসল করে নামাজ শুরু করবেন।
যদি ১০ দিনের পরেও ব্লিডিং চলতে থাকে,সেক্ষেত্রে পূর্বের মাস গুলোর অভ্যাস অনুযায়ী আপনি হায়েজ ধরবেন।
পূর্বের মাস গুলোতে যদি আপনার হায়েজ ৭ দিন এসে থাকে,সেক্ষেত্রে এই মাসেও ৭ দিন হায়েজ ধরবেন।
পূর্বের মাস গুলোতে যদি আপনার হায়েজ ৫ দিন এসে থাকে,সেক্ষেত্রে এই মাসেও ৫ দিন হায়েজ ধরবেন।
পূর্বের মাস গুলোতে যদি আপনার হায়েজ ৯ দিন এসে থাকে,সেক্ষেত্রে এই মাসেও ৯ দিন হায়েজ ধরবেন।
আর যদি এটা আপনার জীবনের প্রথম হায়েজ হয়,আর হায়েজ যদি ১০ দিন অতিক্রম করে বা প্রতি মাসে আপনার ১০ দিন করেই হায়েজ হয়,সেক্ষেত্রে ১০ দিন ১০ রাত পূর্ণ হওয়ার পর (১১ তম দিন) থেকে আপনি ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় করবেন।