আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
১) শাইখ, আমি ভারত থেকে। আমি একটা কোর্স করেছিলাম। আমি ত্রিপুরা রাজ্যের৷ কোর্সটা করেছি ভারতেরই অন্য একটা রাজ্যে। কোর্সের জন্য ত্রিপুরা সরকার একটা বড় অঙ্কের টাকা স্টাইপেন্ড হিসেবে দেওয়ার ঘোষনা দেয়,  নির্দিস্ট নাম্বারের ভিত্তিতে। আমার যথেষ্ট নাম্বাার ছিলো। তাই আমি পেয়েছিলাম।  দুই কিস্তিতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।।  কিন্তুু একটা সমস্যা আছে। তা হলো ১) সরকারি শর্ত অনুযায়ী পরিবারের ২,৫০,০০০ টাকা বাৎসরিক ইনকাম থাকলে এই অনুদান পাবেনা। আমার পরিবারের ইনকাম অনেক কম ছিলো। তাই এইদিক থেকে আমি ঠিক ছিলাম। এর জন্য প্রমান হিসেবে  ইনকাম সার্টিফিকেট দেখাতে হয়। ঐখানে আমার ভয়ে অনেক কম টাকা লিখতাম। যদি তারা স্টাইপেন্ড না দেয় এই ভয়ে। যেমন পরিবারের ইনকাম ১৫০০০ মাসিক,  আমরা লিখতাম সাতহাজার। এটা মিথ্যা লিখে দিতাম। ভয়ে। ২) কলেজে আমরা রেগুলার থাকতাম না। শুধু পরীক্ষা দিতে যেতাম।  কিন্তুু স্টাইপেন্ডের জন্য কলেজ থেকে certificate লাগতো। যেমন কত দিন কলেজে উপস্তিত থাকে। কলেজও লিখে দিতো ৮৪% বা ৮৪ দিন। যা মিথ্যা। ৩) Graduation এর মার্কের উপর ভিত্তি করে স্টাইপেন্ডটা পেতাম। কিন্তুু করোনা থাকাকালিন আমারা দুটো অনলাইন পরীক্কা দিয়েছি। যার উত্তর দেখে দেখে দিয়েছি মানে নকল করে, বা অন্য কারোর থেকে সাহায্য নিয়ে। যা প্রতারণা ও ধোকা। কিন্তুু এই কোর্স এর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন ছিলো। কলেজ ফি ৮৬০০০, তারপর যখন কলেজে যেতাম নিজের থাকা,  খাওয়া খরচা আরো অনেক টাকা লাগতো৷ যা এই স্টাইপেন্ডের কারনে সুবিধা হয়েছিলো। হুজুর এতো প্রতারণার মাঝে হালালের কোনো পথ দেখিনা। হুজুর এই টাকাটা কি সরকারকে ফেরত দিতে হবে৷ আমার কোনো পথই নাই হুজুর৷ কি করবো? আমার মা বাাবার ও এতো টাকা নাই। তাদের কে বললেও পাত্তা দেবে না। কোনো আমল আছে হুজুর,  যদি আল্লাহ সাহায্য করে।

২) হুজুর যে কোনো বিপদ থেকে মুক্তির জন্য,  আমার মতো পাপীরা যদি আল্লাহর কাছে ঐ পাপ গুলো থেকে মুক্তহওয়ার জন্য পথ চায় আল্লাহ কী পাপীদের সাহায্য করবেন যাতে তার প্রিয় হতে পারে? (যেমন মানুষের হকযুক্ত পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য)

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মিথ্যা কথা বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়। 
নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম। 
শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে।

পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে   
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١

তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}

হাদিস শরিফে এসেছে,
 সাফওয়ান ইবন সুলাইম বলেন,
قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা মালিক ২/৯৯০) অর্থাৎ মুমিনের বিভিন্ন চারিত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, তবু সে মিথ্যা বলতে পারে না।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে ওই অনুদানের টাকা আপনার জন্য হালাল।
এ টাকা সরকারের নিকট ফেরত দিতে হবে না।

(০২)
হ্যাঁ আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...