আসসালামু আলাইকুম
১)আমাদের ঘরের জায়নামাজগুলো নাপাকি না লাগলেও আমার আম্মা এগুলো ধুয়ে দেন,এখন উনি বাথরুমে যখন ধুয়ে দেন আমার ধারণা তখন কোনো না কোনো নাপাকি লাগবেই,কেননা উনি ফ্লোরে রেখেও ধুতে পারেন,আর আমার আম্মা কাপড় বা জায়নামাজ ধুয়ে দিলেও উনি সেটাকে চিপে পানি বের করেন না কারণ উনার হাতে সমস্যা বা পাক নাপাকির ওসব খুব একটা জানেন না,এখন আম্মার ধোয়া জায়নামাজ যেগুলো এম্নিতেই ধুয়ে শুকানো ওগুলোতেই আমরা আজীবন নামাজ পড়েই আসছি আমাদের সেই নামাজগুলো কি হয়নি?
২)বাড়িতে মেহমান আসলে তারাও পাক নাপাকি বুঝেন না,এজন্য তাদেরকে জায়নামাজ দিলে তারা জায়নামাজে নাপাকি নিয়েও নামাজ পড়তে পারেন,আমি যতটুকু জানি বা দেখেছি তারা বাথরুমে যেকোনোভাবে ওজু করে চলে আসেন,নাপাকির ছিটা অন্তত তাদের থাকতে পারে কাপড়ে বা হাতে পায়ে,এবং বাথরুমের বাইরের পাপোষ বা কার্পেট ওগুলোতে নাপাকি থাকে সেখানে তারা পা দিয়ে আবার জায়নামাজে এসে নামাজ পড়েন,আমার প্রশ্ন তাদের এভাবে নামাজ পড়ার কারণে তাদের হাত পায়ের নাপাক পানি জায়নামাজে লাগার কারণে জায়নামাজ কি নাপাক হয়নি?
৩)আমি কখনো জায়নামাজ ধুই নি,কিন্তু সেদিন আমি জায়নামাজ ভিজিয়েছি সেটা নাপাক ই আমি বুঝতে পারছি,২ বার আমি সেটাকে ধুয়ে চিপে পানি বের করেছি কিন্তু সেই দুইবারেও মনে হয়েছে নাপাকি লেগে গেছে ছিটেফোটা তাই তৃতীয় বারে আমি ডুবিয়ে রেখেছি বেশি পানি দিয়ে তারপর সেটাকে যতটা সম্ভব চিপে পানি বের করার চেষ্টা করেছি।জায়নামাজ তো একা পুরো চিপে নিংড়িয়ে পানি বের করতে পারবো না তাই যতটা পেরেছি করেছি।
আমি জেনেছিলাম একবার যেকোনো নাপাকি কাপড় ভালো করে ডুবিয়ে ধুইলেই পবিত্র হয়ে যায় তাই তৃতীয় বার ভালো করে ডুবিয়ে রেখেছিলাম বাল্টিতে বেশি পানি দিয়ে, জায়নামাজ ডুবে যাতে এর উপরে পানি থাকে এরকম।
এখন আমার এইভাবে ধোয়ায় কি সেটা পাক হয়নি?
৪)আমি দেখেছি নাপাকি চুষে নিলে নাকি আর পবিত্র হয় না,আর জায়নামাজের ধোয়ার নিয়মও নাকি আলাদা কিন্ত এসব তো আমি জানতাম না।আমি ৩ বার ধুলেও একবার শেষের দিকে এভাবেই ভালো করে ধুয়েছি এখন এই জায়নামাজে কি নামাজ পড়লে নামাজ হবে না?
৫)জায়নামাজের এই বিষয়ে আমি অনেক পেরেশান হয়ে আছি,আমাদের ঘরের সকল জায়নামাজ ই তো এমন,আম্মার ধুয়া,আর ১ টা আমার ধোয়া।যেকোনো কিছুতে নাপাকি লাগলে পানিজাতীয় নাপাকি সেটা তো চুষে নিবেই কাপড় হোক বা জায়নামাজ এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার তাহলে এটা কেনো আর কখনো পবিত্র হবেনা?আই ফতোয়াতেই দেখেছি একজন ইমাম বলেছেন এটা যে নাপাকি চুষে নিলে আর পবিত্র করা যায় না।
আমাদের ঘরে অনেক গুলো জায়নামাজ এখন সেগুলো কীভাবে পবিত্র করতে পারি।সবগুলোকেই আমার নাপাক মনে হয় কারণ আমার আম্মা সেগুলোকে ধুয়েছেন উনার স্টাইলেই,আর মেহমান দ্বারাও সেটা নাপাক হয়েছে।এখন আমার করনীয় কী?
৬)আমাদের একটা মকমল কাপড়ের কম্বলের কাপড়ের মতো জায়নামাজ আছে সেটাকেও আম্মা বাথ্রুমে ধুয়েছেন ওটা তো চিপাও সম্ভব না এম্নেই ধুয়ে রোদে শুকায় ফেলছেন এতে কি ওটা নাপাক রয়ে গেছে?
৭) আমাদের পুরো ঘরে পানিকাপড় জাতীয় কার্পেট বিছানো যেগুলো টেবিল ক্লথ হিসেবেও থাকে ওরকম কার্পেট।এখন ওটাতে৷ নাপাকি লেগে গেলে শুকিয়ে গেলে আমি মনে করি পাক হয়ে গেছে।তাই ওখানে নামাজও পড়ি আবার শুকানোএ পর ভেজা পা নিয়েও চলাফেরা করি নামাজ পড়ি জায়নামাজ বিছিয়েই।এখন এই কার্পেট শুকানোর পর ভেজা লেগে গেলেও নাপাক আর হবে কি?
৮)এই কার্পেটে বা কোথাও যদি নাপাকি থাকে আর জায়নামাজের নিচের অংশে সেটা লেগে যায় তাতেও জায়নামাজ নাপাক হয়ে যাবে?কারণ জায়গা নাপাক হলেও তো যেকোনো কিছু বিছিয়ে নামাজ পড়া যায়,নাপাক জায়গায় যা বিছিয়ে নামাজ পড়া হয়েছে সেটাও তো নাপাক হয়ে যাবে তাই না?
~আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন প্লিজ,আমি খুব পেরেশানিতে আছি এসব নিয়ে।