আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।‌

প্রশ্ন : একজন মেয়ে শিক্ষার্থী দরিদ্রতার কারণে একটা বেসরকারী ব্যাংক থেকে শিক্ষাবৃত্তি সহায়তা নিয়ে পড়াশোনা করে। তার পারিবারিক অবস্থা খুবই নাজুক এবং তার উপর অনেক দায়িত্ব। পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বোঝা মেয়ের মাথায়। এক্ষেত্রে আত্মীয় স্বজন কোনো সাহায্য করে না। মেয়েটা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাংক এ শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করে। এইসব বৃত্তি চার বছর যাবত মাসিক পরিমাণে দেওয়া হয়। এখন, একটা ব্যাংক থেকে বৃত্তির জন্য মেয়েটা মনোনীত হয়। এরপর আরেকটা ব্যাংক এ শিক্ষাবৃত্তির প্রাথমিক বাছাইয়ের সময় মেয়েটা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় যে, সে কোনো জায়গা থেকে বৃত্তি পায় না। আর ব্যাংক থেকে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার নিয়ম এটা যে, একসাথে একাধিক ব্যাংক থেকে বৃত্তি গ্রহণ করা যাবে না। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে আরেকটি ব্যাংক থেকে যে মেয়েটি বৃত্তি গ্রহণ করছে, এক্ষেত্রে কি আরেকজনের হক নষ্ট করা হচ্ছে?

আর মেয়েটি এখন কিভাবে এই হক নষ্টের পাপ থেকে মাফ পাবে?

প্রায় এক বছর যাবত মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে প্রাপ্ত ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৯০০০ টাকা বৃত্তি ভোগ করেছে মেয়েটা। এখন এই টাকা কি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে। মেয়েটার এখন দান করার সামর্থ্য নেই। তবে আল্লাহ চাইলে ভবিষ্যতে হতে পারে। কিন্তু এখন কিভাবে মাফ পেতে পারে?

আর বাকি তিন বছর এই বৃত্তি কি গ্রহণ করতে পারবে? নাকি অফ করে দিবে এবং হালাল টাকার সন্ধান করবে?

মিথ্যা এবং প্রতারণার এই গুণাহ থেকে তওবার উপায় কি?

মেয়েটা কি শিক্ষাবৃত্তি চলমান রাখবে এবং তওবা করে নিবে?

নাকি বৃত্তি বন্ধ করে তওবা করবে?

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/116440 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে, হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল, ব্যাংকের বৃত্তি যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তি ব্যতিত অন্য কারো জন্য জায়েয হবে না। কেননা ব্যাংক মূলত সুদ থেকেই এগুলো দিয়ে থাকে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

তাছাড়া মিথ্যা বলে এভাবে একাধিক ব্যাংক থেকে বৃত্তি গ্রহণও জায়েয হবে না, কেননা এটা ধোক ও প্রতারণা। যদি কেউ নিয়ে নেয়, এবং সে নেহায়ত গরীব হয়, তাহলে সেটা সদকাহ করতে হবে না। মিথ্যা ও প্রতারণার গোনাহ হবে মাত্র।

আপনি যদি নেহায়ত গরীব হন, একটা বৃত্তি দ্বারা চলে না, তাহলে এখন আপনি উভয়টাই নিতে পারবেন। আর গরীব না হলে কোনোটাই নিতে পারবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...