মুহতারাম উস্তাদ ঠিকই বলেছেন,
নবী সা. দ্বীনের ব্যাপারে যা কিছু বলতেন, করতেন,আদেশ দিতেন , তার সবকিছুই ওহী ছিলো। যেমন আল্লাহ আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىإِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা।
তবে উনি মাঝে মধ্যে নিজ ইজতেহাদ দ্বারা তথা নিজের পক্ষ থেকেও নিজ বিবেচনা দ্বারা দুনিয়াবী কথা বলতেন। যেমন বর্ণিত রয়েছে,
তাল্হাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : " مَرَرْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْمٍ عَلَى رُءُوسِ النَّخْلِ ، فَقَالَ : ( مَا يَصْنَعُ هَؤُلَاءِ ؟ ) فَقَالُوا : يُلَقِّحُونَهُ ، يَجْعَلُونَ الذَّكَرَ فِي الْأُنْثَى فَيَلْقَحُ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( مَا أَظُنُّ يُغْنِي ذَلِكَ شَيْئًا ). قَالَ فَأُخْبِرُوا بِذَلِكَ فَتَرَكُوهُ ، فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ فَقَالَ : ( إِنْ كَانَ يَنْفَعُهُمْ ذَلِكَ فَلْيَصْنَعُوهُ ، فَإِنِّي إِنَّمَا ظَنَنْتُ ظَنًّا ، فَلَا تُؤَاخِذُونِي بِالظَّنِّ ، وَلَكِنْ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنِ اللهِ شَيْئًا فَخُذُوا بِهِ ، فَإِنِّي لَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ) .
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে খর্জুর বৃক্ষের মাথায় দাঁড়ানো একদল লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরা কি করছে? মানুষেরা বলল, এরা খেজুর গাছের পরাগায়ণ করছে। নরকে মাদীর (কেশর) সংমিশ্রণ করে, ফলে তা গর্ভ ধারণ করে। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার মনে হয় না এতে কোন লাভ হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বক্তব্য সাহাবাদের নিকট পৌঁছলে তাঁরা প্রজনন কর্ম থেকে বিরত থাকেন। তারপর এ সংবাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেয়া হলো। তিনি বললেন, এতে যদি তাদের লাভ হয়ে থাকে তবে তাঁরা করুক। আমি তো ধারণাপ্রসুত- এ কথা বলেছি। তাই তোমরা আমার অনুমানকে ধরে রেখো না। কিন্তু আমি যদি আল্লাহর তরফ হতে কোন কথা বলি, তবে সেটার উপর ‘আমাল করো। কারণ আমি আল্লাহর উপর কখনই মিথ্যা অপবাদ দেই না।সহীহ মুসলিম-(শামেলা)২৩৬১ (ই.ফা. ৫৯১৪, ই.সে. ৫৯৫২)